মালয়েশিয়াতে শীতকাল নেই, শুধু গ্রীষ্মকাল আর বর্ষাকাল, ডিসেম্বর মাসেও আমরা ঘামছিলাম। কুয়ালালামপুরে দেখলাম আন নোটিসড প্রচুর বৃষ্টি হয় । আমরা গাড়ীতেই উচুতে উঠতে উঠতে খুব কাছেই পাহাড়ে মেঘ দেখলাম একটু পরেই বৃষ্টিতে সব সয়লাব হওয়ার দশা ওই জায়গাটা পেরিয়েই ঝলমল আকাশের নির্মেঘ রোদের ছোঁয়া আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে গেল।
ডিসেম্বরের বৃষ্টি গরম কমিয়ে সুশীতল ঠান্ডার পরশ
বৃষ্টি পেরিয়ে
গেনটিং হাইল্যান্ডে সরাসরি গাড়ী নিয়ে যাওয়া যায় আবার ক্যাবল কারে চড়ে এ্যাডভেঞ্চার করেও যাওয়া যায়। দুরকম কার আছে একটার ফ্লোর কাঁচের এটার টিকিটের মূল্য বেশী বসে বসে নীচের গাছপালা পাহাড়রাজী দেখা যায় ছবি তোলা যায় অন্যটির ফ্লোর মেটালিক টিকিটের মুল্য কম তবে বর্তমান ক্যাবল কার এবং স্টেশনগুলি নূতন তৈরী। পাহাড়ের অনেক উঁচুতে উঠে কারগুলি মেঘের রাজ্যে হারিয়ে যায়, মনে হয় যেন কুয়াশা, আসলে তা নয়, মেঘের ভিতর দিয়ে ডানা মেলে যেন উড়ে চলে যাওয়া কোন স্বপ্নের দেশে।
ক্যাবল কার ষ্টেশন: এখান থেকেই ক্যাবল কারে উঠতে হয় প্লাটফর্মের নির্দিষ্ট জায়গায় পৌছালে গতি কমে ধীরে চলতে থাকে ওর মধ্যেই উঠানামা করতে হয় একদম থেমে দাড়ায় না কখনো। প্লাটফর্ম এরিয়া পার হলেই গতি বেড়ে গিয়ে ছুটতে থাকে।
গাছ পালার উপর দিয়ে মেঘের রাজ্যের দিকে এগিয়ে চলা
পথে একটি প্যাগোডার মত মন্দির চোখে পড়লো
আরেকটা স্টেশন এটাকে পেরিয়ে আবার শূন্যে ভেসে পড়া
অনেক উঁচুতেও হাইরাইজ বিল্ডিং এবং নীচের দিকে তাকালেও কন্সট্রাকশন চলছে দেখা যায় মেঘ বৃষ্টি উচ্চতা কোন বাধাই নয়
গ্যান্টিং ল্যান্ডিং স্টেশন মার্কেট নূতন করা হয়েছে এখনও কোন কোন অংশে নির্মান চলছে। দেওয়াল গুলি এলইডি লাইটের প্যানেল দিয়ে ঢাকা এখানে কালারফুল ডিসপ্লে চলছে।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুলাই, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:২৮