খ্রীষ্টোফার কলম্বাস ইটালিয়ান মেরিন এক্সপ্লোরার। যিনি স্পেনের রানীর পৃষ্ঠপোষকতায় পিন্টা নিনা এবং সান্তা-মারিয়া নামক তিনটি জাহাজের বহর নিয়ে আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিয়ে ১২ই অক্টোবর ১৪৯২ সালে আমেরিকা আবিষ্কার করেন।
বোস্টনে আমেরিকার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ হারভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভ্রমন করে আসতে আসতে সন্ধ্যা হয়ে যায়। এমআইটির পাশ ঘেষে আসার সময় দেখতে না পারার আফসোসটা মনকে ছুঁয়ে দিলো।
শহরে ফিরে এসে রাতের বোস্টনে মার্কেট এবং ঐতিহাসিক কয়েকটা স্হান পরিদর্শন করতে বের হলাম। বোস্টন ঘোরার পর্ব এখানেই শেষ পরে যাবো ওয়াশিংটন ডিসিতে।
১।
সন্ধ্যার আঁধার ঘনিয়ে আসছে।
২।
মার্কেটে যাচ্ছি কোন ফেস্টিভ্যাল নেই তারপরও লাইটগুলো বৃক্ষের
অলঙ্কার হিসেবে শোভাবর্ধন করছে।
৩।
মার্কেট চত্তরে ফুলের বাহার।
আলোক সাজে সজ্জিত ইমারত।
হলোকাষ্ট (জেনোসাইড) মেমোরিয়াল। এই মেমোরিয়ালটি স্থাপন করেছেন ষ্টিফেন রস জার্মানীর নাৎসী ক্যাম্প থেকে বেঁচে ফিরে আসা একজন ইহুদী। এখানে কাঁচ দিয়ে ঘেরা ছয়টি টাওয়ার রয়েছে। নাৎসী ক্যাম্পের বন্দীদের কোন নাম ছিলোনা। প্রত্যেকের সনাক্তকারী নম্বর ছিলো। ছয়টি টাওয়ারের সমস্ত কাঁচ জুড়ে ইউরোপিয়ন ইহুদীদের সনাক্তকারী নম্বর লেখা আছে। তাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে এটি উৎসর্গ করা হয়েছে।
একজন সারভাইবারের কোট।
অনেক পূরনো এবং বিখ্যাত একটি হোটেল। ১৮২৬ সালে প্রতিষ্ঠিত।
এটিও একটি হোটেল তবে এর অন্য একটি পরিচয়ও আছে।
এই গ্রীন ড্রাগন হোটেলের পুরনো বিল্ডিংটা ছিল বিপ্লবীদের হেড কোয়ার্টার। আমেরিকাকে বৃটিশ কলোনি থেকে মুক্ত করার জন্য প্রথম আনন্দোলন এই বোস্টন থেকে শুরু হয়। বৃটিশ নৌবাহিনী ১১ মাস বোস্টন অবরোধ করে রাখে তারপর প্রতিরোধের মুখে পুরো বাহিনী ওখান থেকে সরিয়ে নিয়ে নোভাস্কসিয়ায় গিয়ে ঘাটি গাঢ়ে। (বর্তমান কানাডার দক্ষিন পূর্বে অবস্থিত)
ফ্রীডম ট্রেইল নামে খ্যাত এই লাল ইটের গাথুনী দিয়ে তৈরী সড়কের মাঝখানের অংশটি। বৃটিশদের সাথে যুদ্ধের সময় যে সকল স্মরনযোগ্য ঘটনা ঘটে এরকম ১৬ টা দর্শনীয় স্পটকে এই রাস্তা সংযুক্ত করেছে। এই রাস্তা দিয়ে ভ্রমন করলে যে কোন ব্যাক্তি আমেরিকার স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাস সম্পর্কে অবগত হবেন তাই এই রাস্তাকে ফ্রীডম ট্রেইল বলে।
(অসমর্থিত সূত্র থেকে জানা গেছে অগ্রসরমান বৃটিশ নৌবাহিনীর জাহাজ দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর ওয়াচম্যান যে পথে ঘোড়া দাবড়িয়ে সবাইকে তথ্যটি সরবরাহ করে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য সেই পথটিই ফ্রীডম ট্রেইল বা মুক্তি সড়ণী)
হোটেলের সামনে প্রতীকী পাহাড়াদার।
আমেরিকার প্রাচীন সরাইখানা বোস্টনে অবস্থিত। এখানে লেখক, নাবিক, মুদ্রাক্ষরিক, পথিক সবার সমাগম ঘটতো এবং মিঃ জিমি সবার কাছ থেকে সংবাদ সংগ্রহ করে বোস্টনবাসীকে অবগত করাতেন।
এখানে বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিনের (One of the Founding Father of United States of America) ভগ্নীপতি থাকতেন ।
ডলারে বেঞ্জামিন ফ্র্যাংকলিনের ছবি।
রাস্তার উপর ধাতু দিয়ে ঢালাই করা আর্ট ।
হেটে হেটে ক্লান্ত হলে এখানে দোলনায় বসে বিশ্রাম নেওয়া যায় বই পড়া যায়।
আমেরিকার অনেক জায়গাতেই বিশিষ্ট শহর বা ঐতিহাসিক স্থানের নামে এলাকার, রাস্তার নামকরন করা হয়েছে, আমরা যেমন নিউ ইংল্যান্ডে বেড়াচ্ছিলাম। এখানে জায়গা/রাস্তার দিক নির্দেশ প্রদর্শন করা হচ্ছে।
একটা ইটালিয়ান রেস্তোরার ভূগর্ভে প্রবেশ করলাম রাতের ডিনারের জন্য।
ডিনারের পর চলে এলাম বোস্টন হারবারে। এটা সরাসরি আটলান্টিক মহাসাগরের সাথে সংযুক্ত। পাশের স্থাপনায় ফুলের বাগান।
হারবারের বিপরীত দিকে আলোকিত ভবন।
হারবারে অপেক্ষমান ফেরী।
হারবার।
হারবারের মাঝে মুরিং করা শীপ।
আলকোজ্জ্বল হরবার।
কিছু তথ্য ঝালাই করতে সাহায্য করেছেন গুগলমামু।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ১০:২২