গতকাল ১৫ই ডিসেম্বর স্থানীয় সময় বেলা ১টা ৫৫ মিঃ নিউইয়র্ক পৌঁছালাম । এয়ারপোর্ট থেকে বের হওয়ার সময় চোখে পড়লো সাজানো খৃস্টমাস ট্রি।
আজ ১৬ই ডিসেম্বর সকালে বের হলাম হাটতে তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড। প্রকৃতি আর পরিবেশের আমূল পরিবর্তন চোখে পড়লো । যে গাছগুলি দেখেছিলাম সবুজের প্রাচুর্য্যে ভরপুর সেগুলোই এখন কেমন পাতা বিহীন, নেড়ে এবং রুক্ষ রূপ ধারন করেছে। নীচে পড়ে আছে অজস্র শুকনো পাতা বিষয়টা ভাবনার কারন একটু স্ফুলিঙ্গ পেলে আর কথা নেই, তবে ভরসার কথা এখানকার মানুষের অভ্যাস জীবনাচরনের সাথে যুক্ত হয়ে গেছে তাই ভুলেও কেউ জ্বলন্ত সিগারেট ফেলেনা অন্তত আমার চোখে পড়েনি। মানুষজন নিজের এলাকার পাতা জড়ো করে রাস্তার পাশে ঢিপ করে রাখে এবং সিটি কর্পোরেশনের গাড়ী এগুলো সংগ্রহ করে ডাম্পিং গ্রাউন্ডে নিয়ে যায় এবং সেখানে প্রসেস করে গ্যাস সার ইত্যাদি তৈরী করে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাষে দেখলাম বৃষ্টি হবে সকাল ৯টার পরে। বেশ কিছুদুর যাওয়ার পর পৌনে আটটাতেই টিপ টিপ বৃষ্টি শুরু হলো । কি করি! ছাতা নিয়ে বের হইনি যদি মূষলধারে বৃষ্টি শুরু হয় তাহলে আমি গেছি! (আমেরিকার আবহাওয়া মনে হয় আবহাওয়াবিদদের কথা শুনতে চায়না।) ওখান থেকে ডবলমার্চ,জগিং করে ফিরে এলাম। গা ঘেমে গেল কিন্তু রিয়েল ফিল ছিল মাইনাস ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ফলে গা ঘেমে গেলেও হাত খোলা থাকায় একেবারে অবশ হয়ে গেল।
কাশফুলের মত ঘাস, শিরে ধারন করে আছে বৃদ্ধের পক্ক কেশের মত ঝালর
ব্যাতিক্রম হলো খৃস্টমাস ট্রি এগুলো এবং কিছু ঝোপঝাড় যেগুলো মনে হয় চির সবুজ।
এগুলো মনে হয় সবুজের স্বাক্ষর ধারন করে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, হুম ! আমরা আবার ধরাতলে সবুজের বন্যা বইয়ে দেবো।
ডিসেম্বর মাস বড়দিনের মাস সারা আমেরিকা জুড়ে বড়দিনের আয়োজনের জন্য হিসাবে সাজ সাজ রব পড়ে গেছে তারই অংশ হিসাবে বাড়ীর সামনে আলোকোজ্জ্বল হরিনের আকৃতি।
ঐ
রাতের বেলা সাজানো হরিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৫৯