somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমার বিলাইটোগ্রাফী

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
কয়েকটি ছবি আগেও দিয়েছিলাম, কিন্তু এবার বর্ণনা সহ নতুন কিছু দিলাম


এক সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানায় বসে ঝিমোতে ঝিমোতে জানালা দিয়ে দিয়ে তাকিয়ে দেখি ইনিও ঝিমোচ্ছেন। এরপর থেকেই ভালোলাগা এবং বন্ধুত্ব:)


মুরগী খাওয়ার পরে হাড়গোড় থাকলে রেখে দিতাম। আমার কলিগরাও রাখতো। বলতো, "তোমার বন্ধুরে দিও।" এরপর থেকে ওর নাম হয়ে যায় আমার বন্ধু


আমার বন্ধু খুবই সুন্দর। চোখের দুপাশে দুটো দাগ পিছনে চলে গিয়েছে। দেখতে খুবই ভালো দেখায়। সেদিন হঠাৎ জানতে ইচ্ছে হলো, ওকি ছেলে নাকি মেয়ে। ছেলে বিড়াল গুলো নাকি লুলগিরি করে বেড়ায়, আর মেয়ে বিড়াল গুলো খালি ঢং দেখায়:P। কিন্তু অনেক পর্যবেক্ষণ করেও আমার বন্ধুর মাঝে এর কোন কিছুই পাইনি। তবে যেহেতু এই দশমাসে একবারও ওর পেট ফুলতে দেখিনি, তাই মনে হচ্ছে বন্ধুটি ছেলেই হবে;)


এই কৃষ্ণ ভদ্রলোককে আবার বাসার সামনের চেয়ে পিছনে রান্না ঘরের দিকেই বেশী দেখা যায়। আমার মনে হয়, সব কালো বিড়ালই এরকম ছ্যাঁচড়া টাইপ হয়X(


একদিন দেখি, এই লাল বিড়ালীটি (যেহেতু ঢং করছিল, তাই বিড়ালীই হবে) আমার বন্ধুর সামনে এসে অনেকক্ষণ মেকি কান্নার সুরে প্রেম নিবেদন করছে /:) । কিন্তু আমার হ্যান্ডসাম স্মার্ট বন্ধুটি ঐ বদখৎ বিড়ালীকে পাত্তাই দিলনাB-)


এবার অফিসের গল্প। অফিসের গেটের পাশে এই বিড়ালটিকে সেই প্রথমদিন থেকেই বসে থাকতে দেখছি। আমার কলিগরা যখন পাশ দিয়ে যায়, বিড়ালটি তখন খামচি দিয়ে প্যান্ট ধরার চেষ্টা করে।


অফিসে অনেক গুলো বিড়াল আছে। একবার একসাথে মোট ৬টা গুণেছিলাম। বিড়ালগুলো আমাদের কোম্পানীর জনৈক জাপানী উর্ধ্বতন কর্মকর্তার স্নেহ, মমতা, আদর আর ভালোবাসায় মানুষ হচ্ছে:P


আমার দুই কলিগ বিড়ালগুলোর উপর মহাক্ষ্যাপা। সুযোগ পেলেই কোনটার লেজে পাড়া দেয় অথবা জুতো দিয়ে ওদের মাথায় হালকা ধাক্কা দেয়:|। কিন্তু সেই জাপানী ভদ্রলোকের কারণে ওদেরকে বেশী ঘাটাতে পারেনা:D। অফিস ছেড়ে যাবার দিন আমার কলিগরা নকি চান্সে বিড়ালগুলোকে কষে লাত্থি মেরে যাবে:|


মাঝে মাঝে ওদেরকে বেশ মজার ভংগিতেও দেখা যায়:D


একবার দেখি অফিসে অনেক কিউট দুটো বিড়াল ছানা (এটি বেশ কয়েকমাস আগের ঘটনা):D


তবে কয়েকদিন পরেই ছানাদুটি হাওয়া হয়ে গেল/:)


সবচেয়ে ছোট আকৃতির বিড়ালছানা দেখেছিলাম কান্দান বাজারে গিয়ে। সাদাকালো ছানাটির অভিভাবক হিসেবে একটি কালো রঙের বিড়াল ছিল। তবে চর্মরোগে আক্রান্ত ছিল বলে ছানাটিকে খুব একটা কিউট লাগেনি :-< ।


এবার বড়দিনের ছুটিতে আমাদের সেই জাপানী কর্মকর্তা ছুটি কাটাতে জাপানে গিয়েছিলেন। তখন এইটাকে একা পেয়ে আমার কলিগ খুব খুশী (অনেকটা আজকে তোরে পাইছি, খাইয়ালামু টাইপ) B-)) । কিন্তু কাছে গিয়ে আবিষ্কার করল, আসছে নতুন শিশু যাকে ছেড়ে দিতে হবে স্থান। নতুন অতিথির অনাগত ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আমার কলিগ গর্ভবতী বিড়ালীটিকে ছেড়ে দেয়:-/


অবশেষে সেই নতুন অতিথির আগমন। লোমগুলো খাড়া খাড়া, অনেকটা সজারুর মত:-*


আবার ঘরের গল্প বলে বিদায় নিচ্ছি। কৃষ্ণ কুমারের সাথে আমার বন্ধুর যে ভালো বন্ধুত্ব আছে, তা এই কিছুদিন আগে টের পেলাম। দেখি দুজনে মিলে খুব সুন্দর গল্প করছে:)


বিদ্র: সবগুলো ছবি আমার মোবাইলের ক্যামেরায় তোলাB-)



সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১০ সকাল ১০:১৮
২৮টি মন্তব্য ২৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×