২য় পর্ব
ভূত দেখার জন্য খুব ভোরবেলায় ঘুম থেকে উঠলাম। শীতের কুয়াশাচ্ছন্ন ভোর, তার মাঝেই একা হেঁটে হেঁটে চললাম শ্বশানঘাটের উদ্দেশে , বিভিন্ন ভয়ের কৌতুহল মনের মাঝে ভেঁসে উঠছে। তারপরও শ্বশানঘাটের কাছে যেতে শুরু করলাম, হঠাৎ দেখি কি যেনো একটি আমাকে দেখে দৌড়দিলো আমি থমকে দাঁড়িয়ে গেলাম। সেকেন্ডের মধ্যে উধাও হয়ে গেল ঠিক বুঝলাম না। হঠাৎ করে বুকটা তরতর করে কেঁপে উঠল। কিছু সময় দাঁড়িয়ে থেকে ভাবলাম, সম্ভবত এটা শিয়াল হবে। দূরে কিছু মানুষের আসার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে.
মানুষের আওয়াজ শুনার পর কিছুটা ভয় দূরে গেলো। কিন্তু চোখের দুষ্টিতে মানুষ দেখা যাচ্ছে না, তারপরও গভীর ভাবে কিছু একটা ভাবছিলাম যে ভূত বলে কিছু নেই। হয়তো বা ভূত বিশ্বাসীদের কাছে ভূত থাকতে পারে। তবে কিছু মানুষকে বলতে শুনি ভূত বিশ্বাস করি না কিন্তু জ্বীন বিশ্বাস করি। তবে অনেকে কাছে শুনাযায় ধর্মীয় গ্রন্ধগার পবিত্র কোরানে আছে জ্বীন তাই জ্বীন সত্য। কিন্তু ভূতে কথা আছে কি-না তা জানি না। বেশকিছু দিন আগে কোথায় যেনো সঠিক জাগাটির কথা মনে করতে পারছিনা কোন এক হুজুরের ওয়াজের মাঝে শুনেছিলাম -আল্লাহ বলেছেন আমি জ্বীন ও ইনসান কে আমার ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করেছি । হুজুরে ওয়াজ শেষ হওয়ার পর ভাবছিলাম একবার ভূত-পেত্নী কথা হুজুরে কাছে বলবো কিন্তু সাহস পেলাম না কারণ আমি যদি এই ভূত-পেত্নী কথা নিয়ে হুজুরে কাছে যাই তাহলে আমাকে না-জানি কি বলে ফেলে।
বারহাট্টা শ্বশানঘাটে পশ্চিম পাশে একটি রাস্তা রয়েছে আমি রাস্তার মাঝে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আমার মাথার মাঝে ভূত পেত্নীর বিষয়ে হাবিজাবি চিন্তা জাগছে হঠাৎ আমার পাশে কে যেনো একটি ঢিল চুড়ে মারলো আমি তমকে গেলা ভাবছি জায়গাটি ভয়ঙ্কর এখানে বেশি কখন থাকা যাবে না আমাকে এখনি এই জায়গা ত্যাগ করতে হবে। একটু সামনে দিকে পা বাড়াতে শুরু করলাম হঠাৎ দেখি আবার ঢিল মারলো প্রায় আমার মাথার উপর দিয়ে সামনে এসে পরলো দেখাগেলো একটি কচি নারিকেলকে ডাব। একটু উপর দিকে থাকিয়ে দেখি বিরাট উঁচু আকারের নারিকেল গাছ। আমার ধারণা আগে যে ঢিলটি পরেছিলো সেটিও নারিকেল হবে। আমাদের নেত্রকোনা বারহাট্টা অঞ্চলে নারিকেল গাছের সংখ্যা খুবই কম দেখা যায় উপকূলীয় জেলাসমূহে নারিকেল গাছ অনেক বেশি সেখানে নারিকেলের উৎপাদন বেশি হয়। নারিকেল বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান অর্থকরী ফসল বলা চলে তাছাড়া ডাবের পানি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। আবার মেইকআপ উঠানোর জন্য দারুণ কার্যকর নারিকেল তেল।
আমি রূপচর্চা বিষয়ক একটি টিপস পড়েছিলাম। কিন্তু পুষ্টিকর আর সুস্বাদ যাইহোক না কেনো যদি মাথার উপর এসে পরতো তাহলে কি অবস্থা হতো। মনে ভিতরে আবার একটু ভয় ভয় সৃষ্টি হচ্ছে, এমনও তো হতে পারে ভূত আমার উপরে মারা জন্য চেষ্টা করেছিলো। আবার ভাবছি যে এখানে কোন ভূতের অস্তিত্ব নেই এটা একপ্রকার আমার মনের ভয়। কিন্তু নিজে নিজের মনকে শান্তনা দিতে পারছিনা। বেশকিছুদিন আগে একজন মানুষের লাশ এই শশ্বানে এনে তাঁর শেষ ক্রীয়া সম্পন্ন করা হয়। দূর থেকে আমি একটি মাটির কলস দেখছি পাশে একটি মাটি পাতিল ভাঙ্গা পরে রয়েছে । আঁধাপুরা কয়েটি বাঁশও পরে রয়েছে। আমার শরীরটা প্রচন্ড ভাবে ঘামতে শুরু করলো ভয়ে মনেহয় গলাটাও শুকিয়ে আসছে মনের ভিতরে প্রচন্ড ভয় । মনে মনে ভাবছি এখানে আর একমুহূর্ত সময়ও থাকা যাবে না । আমি বাড়ির দিকে হাঁটতে শুরু করলাম আমার মনে হচ্ছে আমার পিচন পিচন কেউ যেনো হেঁটে আসছে আমি ভয়ে পিচনদিকে তাকাই না। যদি ভূত হয়। শশ্বান থেকে আমার বাসা প্রায় দুই কিঃমিঃ হবে কিন্তু এই মুহূর্তে মনে হচ্ছে ২০০ কিঃ মিঃ । একবার ভাবলাম যে পিচন দিকে তাকাই দেখি কে আমার পিচনে পিচন আমার সাথে সাথে আসছে, পিচন দিকে তাকিয়ে দেখলাম ...............
আজ আর নয় বাকিটুকু পরের লেখায় হবে।