somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঝটিকা সফরে নারায়ণগঞ্জ - সিরাজ শাহির আস্তানা

১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গত বছর ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসের ২৪ তারিখে গিয়েছিলাম নারায়ণগঞ্জ সফরে। সদস্য আমরা এক পরিবারের চারজন। উদ্দেশ্য ছিল নারায়ণগঞ্জের কিছু প্রাচীন ও দর্শনীয় স্থান ঘুরে দেখা। সেই উদ্দেশ্যে আমরা সকাল সকাল বেরিয়ে যাই বাড়ি থেকে। বাড্ডা থেকে আসমানই পরিবহনের বাসে ১ ঘণ্টায় চলে আসি মদনপুর চৌরাস্তায়। রাস্তা পার হয়ে সকালের নাস্তা করে নিয়ে একটা সিএনজি অটোরিকশা রিজার্ভ করি ৩০০ টাকায় গোটা আটেক স্থানে যাবো বলে।


প্রথম লক্ষ্য ছিল “বন্দর মসজিদ” (মিলের মসজিদ) বলে একটি পুরনো ৩ গম্বুজ মসজিদ দেখার। কিন্তু সেটি খুঁজে বের করতে না পেরে চলে যাই কাছাকাছি থাকা “১নং ঢাকেশ্বরী দেব মন্দিরে”। মন্দিরটি দেখে আমরা চলে আসি নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জে অবস্থিত “T Hossain House” দেখতে। শত বছররে পুরনো কিন্তু এখনো ঝকঝকে চমৎকার বাড়িটি দেখে আমরা চলে আসি “কদম রসুল দরগা”তে। দরগার সুউচ্চ তোরণ এবং আশপাশটা দেখে আমরা চলে যাই “বন্দর শাহী মসজিদ” দেখতে। প্রাচীন এক গম্বুজ মসজিদ দেখা শেষে আমরা বন্দর সমরক্ষেত্রের পাশে “নির্মাণাধীন মাজার” দেখতে। সেখান থেকে আমাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল “সিরাজ শাহির আস্তানা”।

সিরাজ শাহির আস্তানা






























এটিও একটি মাজার। তবে এটি বিখ্যাত বাউল সাধক সিরাজ সাঁই এর আস্তানা কিন্তু নয়। এটি চিশতিয়া তরিকার একজন পীরের মাজার। বেশ বড় একটা এলাকা নিয়ে সুন্দর সাজানো গোছানো একটি যায়গা। মাজারের স্থাপত্য খুবই আকর্ষণীয়। অর্থাৎ সিরাজ শাহির কবরের উপরে যে ইমারতটি তৈরি করা হয়েছে আমি সেটির কথা বলছি। খুবই সুন্দর সেটি। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিম যেদিক থেকেই আপনি দেখেন না কেন আপনার কাছে সব পাশ থেকে একই মনে হবে। অর্থাৎ ইমারতটি চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম। উঁচু এক প্লাটফর্মের উপরে এর অবস্থান। বেশ কিছু সিঁড়ি টপকে উঠতে হয় উপরে।






















চারপাশ থেকে দেখতে একই রকম হলেও এর প্রধান ফটক দক্ষিণ মুখী। এইখানে সিঁড়িটা শুধু দুই ভাগে বিভক্ত এবং উপরে একটি কাঠগোলাপের গাছ রয়েছে। আমি আরো বেশ কিছু মাজারেই কাঠগোলাপের গাছ দেখেছি। এর বিশেষ কোন মাহাত্ব আছে নিশ্চয়। এখানে আরো দেখেছি কয়েকটি খাওয়ারা অযোগ্য বোম্বাই বেল বা তানপুরা ফলের গাছ। পাশেই পীর পরিবারের বাসস্থান অংশের গেটে ছিল লতা পারুল, ভিতরে একটি চমৎকার হাসনোহেনার ঝোপ। পুকুর পারে বিশাল এক আমলকী গাছে দেখেছি প্রচুর আমলকী ধরে আছে। তাছাড়া সামনের বাগান অংশে নানান ধরনের মৌসুমি ফুল করা হয়। দেখেছি পঞ্চমুখী জবাও।









জানা যায় কিছু দিন পরে ফেব্রুয়ারির ৪ ও ৫ তারিখে উরস হবে, তাই কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ চলছে। প্রচুর লোক নাকি হয় উরসের সময়। আমাকে দাওয়াত দিয়ে দিলের ওখানকার এক খাদেম প্রচারপত্র সহ।




যাইহোক, আস্তানায় বেশ কিছুটা সময় কাটাই, এর ফাঁকে ছোট মেয়ের খাবারও খাওয়ানো হয়। এবার আমাদের ফিরতি পথে চলতে হবে। এবার যাব ঐতিহাসিক সোনাকান্দা দূর্গ দেখতে। সেখানেই দেখা হবে ঝটিকা সফরের আগামী পর্বে।



জিপিএস কোঅর্ডিনেশন : 23°37'18.5"N 90°32'01.8"E
পথের হদিস : ঢাকা থেকে বাসে মদনপুর, মদনপুর থেকে শেয়ার সিএনজি বা ইজি বাইকে সিরাজ শাহির আস্তানা।
তাছাড়া বাস বা ট্রেনে নারায়ণগঞ্জ গিয়ে নৌকায় নদী পার হয়ে ইজি বাইক নিয়ে সিরাজ শাহির আস্তানা।


বি.দ্র. : বেড়াতে গিয়ে যেখানে সেখানে ময়লা না ফেলি। চিপস, চকলেট, বিস্কিটের খালি প্যাকেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলা থেকে বিরতো থাকি। সেখানে ময়লা না ফেলি। চিপস, চকলেট, বিস্কিটের খালি প্যাকেট রাস্তায় ছুড়ে ফেলা থেকে বিরতো থাকি।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:১৫
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×