# নব্য বিবাহিতা এক স্ত্রী তার মাতাল স্বামীর জন্য দরজার কড়ায় কান রাখে প্রতিদিন। স্বামীটি খেয়াল করেনা তার স্ত্রীর এই নির্বাক দাঁড়িয়ে থাকা। দিনের পর দিন যায়। না থাকতে পেরে স্ত্রী একবার নিজেই মাতাল হয়ে যায়। স্বামী ফিরে এসে দরজায় দাড়াতেই তার স্ত্রী জড়ানো আক্রোশে জিজ্ঞেস করে, তুমি কোনদিন আমাকে ছুয়েছো? স্বামীটি তার স্ত্রীর লাল চোখ দেখে স্তব্দ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। গল্পটি এগোয়নি।
# একজন সদ্য টিনেজ পেরোনো ছেলে প্রতিদিন তার হাত কাটে। এত এত ব্যান্ডেজ নিয়ে কখনোই তার মাথা ব্যাথা ছিল না যদিনা ক্লাসের একজন রমণী তাকে ছাদে নিয়ে গিয়ে খোলা পিঠ দেখিয়ে বলত, কেউ দুখী কারন সে জগতের কোনকিছুই অনুভব করতে পারেনা বিধায় হাত কাটে। আর কেউ চায় তার পিঠে চেইনের দাগ একদিনের জন্য না লাগুক। একদিন যন্ত্রনা ছাড়া পৃথিবী কেমন দেখা যাক। সুস্থ মানুষিক গল্প নয়। বাদ।
# সিলিং ফ্যানে ঝুলে থাকা মেয়েটি কেউ হয়না। ক্লান্ত বিকেলে ফুলের টবে পানি দিতে আসত। দর্পন সবসময় তার দিকে নোংরা দৃস্টিতে তাকাতো। milf. perfect milf. একদিন দর্পনের বাসায় এসেছিল মেয়েটি। বলে ফেলেছিল, তুমি অমন নও। তোমার চোখে অনুতাপ আছে। দেহে কিছু নেই। সকালে যখন মায়ের মুখে শুনল মেয়েটি আর নেই বিদ্যুৎ বেগে ওর ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকল। ঠায় বসে থেকে সে একটি প্রশ্নের উত্তর খুজে মেঝেতে গড়িয়ে পরা নিজের চোখের জলের কাছে। ও এভাবে ঝুলে আছে কেন? সাউন্ডবক্সে তখনো বাজছে, বধু কোন আলো লাগল চোখে,,,,,,। ফাউল প্লট। হট নায়িকার আত্মহত্যা। ধুর
# অন্ধকার রুমে একজন কবি দেয়াশলাইয়ের ঘর্ষনের আওয়াজ শুনে। ভাবে আরেকটু জোরে বৃস্টি আসলেই তার কবিতা শুরু হয়ে শেষ হয়ে যাবে। কবিতার মধ্যে এমন সব বিশেষণ দেওয়া হবে যায়ে পাঠক না বুঝেও খানিক বিষন্নতায় ভুগবে। মহান কবি বলেছেন বহির্চক্ষু দিয়ে হবে না। না থাকলেও চলবে। ভেতরের চোখ দিয়ে দেখা উচিত। মোমবাতির দিকে তাকিয়ে কবি ভাবছেন এই চোখ তবে কেন দিলে প্রভু? একটু পরেই সবাই চিৎকার করে উঠল, কারন আইসে। আর কবি বললেন কই? লন্ঠনে বিদ্যুৎ প্রবাহিত কর। আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছিনা। বাপরে। ছাগলে অন্তর্দৃষ্টি দিয়ে দেখবে বিধায় মোমবাতি দিয়ে বহির্চক্ষু গালিয়ে ফেলেছেন।।
# একজন পাকা অভিনেতা হিসেবে রিক্তর নাম গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ডে নাম উঠা উচিত। তার বিপরীতে হিংসা আর ঈর্ষায় ভুগা এক ফ্রেন্ড সদ্য এক ট্যুর শেষ করে এসে ছবি দেখিয়ে বলছে, তুই থাকলে অনেক ভাল হত। রিক্ত কাদো কাদো গলায় বলল, আমার খুব খারাপ লাগছে। আমারে দেখাস ক্যান? এরই মধ্যে আরেকজন বলে ওঠে, এখন জ্বলে হা হা হা। রিক্ত আপন মনেই হাসতে শুরু করে, amateur. ধরতেই পারল না গুরুত্বই দেইনি। অসামাজিক সাইকো। কি দরকার লেখার?
# মাদকাসক্ত একজন ছেলের পকেটে অবশিষ্ট ১৫ টাকা ছিল। এইটাকাতেই এক পুরিয়া গাজা আর একটা পাইলট সিগারেট অনায়াসে কেনা যায়। রাস্তার মধ্যেই তার পুরাতন প্রেমিকার সাথে দেখা হয় তার। আকুল আবেদন জমা পড়ে তার কাছে, আমি এখানে অনেক একা, I need you to hold my hand again. ছেলেটি কতক্ষন মাথা চুলকায় আর বলে, তোমার কাছে পিল কেনার টাকা নেই? হা হা হা। কিন্তু দেখো আমার কাছে গাজা কেনার টাকা আছে। আপামনি রাস্তা দেখো। কি ভয়ংকর মুখ খারাপ ছিহ। এই নায়ক নিয়া কিভাবে কেউ লিখতে পারে?
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৩:৫৮