আশেপাশে মানুষগুলো যে মুখোশ পরে থাকে, সময় মত পাল্টে ফেলে চেহারাটা, বলা ভালো মুখোশটা, বুঝতে অনেক দেরি করে ফেলেছিলাম, ১৮ বছর বয়সে প্রথম বুঝেছিলাম। তারপর থেকে নিজেও মুখোশ তৈরি করেছি অনেক, পরেছি, বদলেছি, কখনো কখনো একসাথেই পরে নিয়েছি একাধিক মুখোশ।
একসময় টের পেলাম, দম বন্ধ লাগছে এভাবে বেঁচে থাকতে, মুখোশকে কখনো আপন করে নিতে পারিনি আর দশটা মানুষের মতন। খুলে দুরে ছুঁড়ে ফেলেছি, নিজেকে সম্বল করে নিয়ে আবার পথ চলা শুরু।
যতই সামনে এগিয়েছি, দেখেছি, মুখোশ ছাড়া মানুষ গুলো বড়ই অসহায়, চারপাশের মুখোশধারীরা সমাজের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে আমাদের, একঘরে করে রাখে, ঠকতে ঠকতে বাকি থাকে শুধু হাড়-চামড়া, সভ্যসমাজের দুরে, অনেক দুরে, অন্ধকার স্যাৎসেতে ছোট্ট জগৎটা বরাদ্দ আমাদের জন্যে, সভ্য মুখোশধারী এই সমাজের যোগ্য নই আমরা।
বারবার পিঠে ছুরি খাই আমরা, তবুও কিভাবে যেনো টিকে থাকি, বেঁচে থাকি। বিশ্বাস ভাঙ্গা নিত্যকার ঘটনা, যেনো স্বাভাবিক এসমাজে। নিজের একটু লাভের জন্যে সামনের মানুষটার গলা কাটাই যেনো সভ্যতা। সবথেকে ভয়ঙ্কর লাগে, নিজের স্বার্থের জন্যে আপন সেজে, মনের মাঝে স্থান করে নিয়ে প্রানহীন কমোডিটির মত ব্যাবহার করে দুরে ছুঁড়ে ফেলা, যেনো নোংরা রুমাল অথবা তলাখসা জুতো আমরা।
বিদ্রোহী মনোভাবটা সময়ের সাথে সাথে নিস্তেজ হয়ে আসে, বুড়োদের মত দিন গুনি, কবে শেষ হবে বেঁচে থাকার।
কেনো এই মুখোশে ঢেকে বাঁচা? মুখোশের আড়ালে দমবন্ধ হয়ে একটুও কি ছটফট করে ওঠেনা আমাদের মুখগুলো?
(অসমাপ্ত)
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:২৩