এখন আর উত্তপ্ত বোধ করি না
পথে প্রদর্শনবাদী বালিকার -
সযত্নে প্রদর্শিত শরীরের ভাঁজে চোখ বুলিয়ে।
এখন আর ভ্রুকুটি হেনে ঠেকিয়ে দেইনা
পুরুষ শিকারী প্রাক্তন সহকর্মিনীর ইচ্ছে করে নিরাভরন করে তোলা
সুডৌল বুকের খাঁজ।
এমনকি আগের মত সরেও বসি না
তার পাশাপাশি বসে থাকার ফাঁকে
শরীরে শরীর ছুঁইয়ে ডাকা উত্তপ্ত গোপন আহ্বানে।
সন্ধেয় আলোআঁধারীতে চায়ের দোকানে
ফিসফিসে কন্ঠে নারীসঙ্গ কেনবার প্রস্তাবে
আগের মত রক্ত চক্ষু ফেরাই না,
নিরুত্তাপ কন্ঠে জানিয়ে দেই, "সামনে যান।"
বাসা থেকে বিয়ের জন্যে চাপাচাপি করলে,
এখন আর আগের মত বজ্র কন্ঠে বলিনা, "বিয়ে করবো না",
বরং শান্ত গলায় বলি, "ইট'স মাই লাইফ, লেট মি লিভ ইট মাই ওয়ে।"
ভেঙেচুরে আমার উপরে পড়া প্রেমটা ঠেলে দেই দুরে - প্রতিনিয়ত।
মেয়েটার কান্না আমার বুক স্পর্শ করে না মোটেও।
শারীরীক পৌরষহীনতা -
একটু একটু করে কাপুরুষ করে তুলতে থাকে মনটাকেও।
শীতলতা গ্রাস করতে থাকে একটু একটু করে।
পৌরষহীন আমি একটু একটু করে হয়ে উঠতে থাকি নিষ্কাম সিদ্ধপুরুষ।
তবু, -
সারাদিন হাড়ভাঙ্গা খাটনির পর,
ঘরে ফিরে একজোড়া কোমল হাতের স্পর্শ পেতে চায় মন,
যারা আমাকে টেনে নেবে কাছে,
উষ্ণ কোমল বুকে টেনে নিয়ে শোনাবে ঘুমপাড়ানি গান।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৫ রাত ৯:১০