somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

খোলা চিঠি : প্রাপক: নেত্রীদ্বয় : আওয়ামিলীগ ও বিএনপি

১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১০ রাত ১০:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রিয় নেত্রীদ্বয়,

এই কুকুরের মত কামড়াকামড়ি বন্ধ করতে হবে। হ্যাঁ, অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। বয়স খুব একটা বেশি না আমার, তবে আজন্ম কুত্তাকামড়াকামড়ি ছাড়া ভালো কিছুতে দেখিনি কোন রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠন গুলোকে।

যে লাইব্রেরীর কার্ড ছাত্রছাত্রীরা নিজেরাই অফিস থেকে তুলে আনতে পারে সেখানে আপনাদের ছাত্রসংগঠন সেগুলো নিজেদের দখলে নিয়ে বিলি করছে - দরকার নেই তো! তাতে বরং বাড়ছে কার্ডটা হাতে পাবার সময় আর মধ্যবর্তি ঝামেলা।

বিভিন্ন দিবসে খিচুড়ি মিছিল, মহড়া, আলোচনা সভার নামে অপরপক্ষকে নীচু করবার আপ্রান চেষ্টা - মাইকের গুঁতোয় আশেপাশের সাধারন ছাত্র-ছাত্রীদের যে নাভি:শ্বাস উঠে সেটা ভাবেন একবারও? আপনাদের ঐ আলোচনা সভার থেকে অনেক গুরুত্বপূর্ন হলো পরের হপ্তার পরীক্ষার জন্যে পড়া তৈরী - সেটা বাপবাপ করে পালায় মাইকের গুঁতোয়।

ভর্তি পরীক্ষার সময় আপনাদের সাইনবোর্ড নিয়ে জনদরদী স্বেচ্ছাসেবকের দরকার নেই, আমাদের ছেলেমেয়েরা এত বোকা না যে সীটপ্ল্যান আর ম্যাপ বুঝবে না ভবন আর কক্ষ নাম্বার পরিষ্কার লেখা থাকলে।

দলীয় বড়ভাইদের হাত না ধরলে হলে সীট পাবে না - কেন পাবে না? কারন শুরুটা, গোড়াটা। গোড়াতেইতো হল বরাদ্দ করছেন দলীয় কর্মীদের, কেন? কেন মেধা অথবা দারিদ্র আসছেনা ভাবনার মানদন্ডে?

একজন শিক্ষক, এজন শিক্ষাগুরু - তাঁর কেন পলিট্যিক্যাল ইতিহাস থাকবে? তবে নিরপেক্ষতা আর ন্যায় শেখাবেন কিভাবে তিনি?

রাজনৈতিক দল কি হবে ক্যাম্পাসে? ছাত্রছাত্রীদের দেখভাল? তাদের অধিকার নিশ্চিত করার জন্যে? অন্যায়ের প্রতিবাদ করার জন্যে? সেটা কি রাজনৈতিক সীল নাথাকলে সম্ভব না? স্বত:স্ফুর্তভাবে ছাত্রছাত্রীরা ধর্ম-অঞ্চল-রাজনৈতিক মতভেদ ভুলে একজোট হয়ে সেটা করলে বরং ন্যায়ের আর মানবাধিকারের সমুন্নত থাকবার সম্ভাবনাটা বেশি না?

ক্যান্টনমেন্টের আওতার স্কুল-কলেজগুলোর দিকে দেখুন একটু। স্কাউটস, বিএনসিসি আর কিছু কালচারাল ক্লাব - পরিবেশ যেমন শান্ত আর সুশৃংখল তেমনি আছে পড়বার পরিবেশ। অন্তত: পাগলা কুকুরের কামড়ে মরবার ভয় নেই।

নাকি আপনাদের ধারনা কোন না কোন রাজনৈতিক মতবাদের ব্যানার না থাকলে গলার জোর থাকেনা? মানুষের মানবতা থাকে না? গলায় একটা ডগ-ট্যাগ ছাড়া মানুষ আদর্শবাদী হয়না না নাকি? বলুন একটু প্লিজ।

মানুষের জণ্যে অনেক কিছুই করা যায়। এই তো, স্কাউটিং, বিএনসিসি, লায়নস, রোটারাক্ট এর মত সুনামওলা দলের পাশাপাশি আছে সন্ধানি, বাঁধন, কোয়ান্টাম ক্লাব। আছে সাংস্কৃতিক দল। কৈ? এদের নামে তো ক্যাম্পাস দখল, খুনোখুনি, মারামারি, মহড়া দেওয়া - কোন দূর্নাম নেই? তবে?

শেখ মুজিব আর জিয়াউর রহমান - দুজনাই গুনি ব্যাক্তি, দেশের জনয়ে অবদান কারো কম নেই। আসুন না ওঁদের আত্মার সত্যকার শান্তি চেয়ে আমরা আর লাশদুটো টানা হেঁচড়া না করি। তাঁদের নাম পাথরে আর মানুষের রক্তে খোদাই করবার চাইতে অনেক বেশি স্থায়ী হবে তাঁদের আদর্শগুলো আদর্শপন্থায় মানুষের সামনে তুলে ধরি। ছাত্ররাজনীতির নামে সন্ত্রাস করে নয়।

ছাত্রছাত্রীদের পড়তে দিন, রাজনীতির জন্যে সারাটা জীবন পড়ে আছে। আদর্শ মাথায় ঢোকাবার জিনিষ, তবে সেটা মাথায় হাতুড়ি ঠুকে ঢোকানো সম্ভব নয়। যুক্তি দিয়ে মন জয় করুন, সেটা চীরস্থায়ি, অস্ত্র ধরে মন জয় করবার চেষ্টাটা অসার ছাড়া কিছুই নয়।

প্রমান করুন আসলেই আপনারা মানুষের জন্যে রাজনীতি করেন, মানুষ মোটিভেটেড হবে এমনিতেই, প্রান কাড়তে হবে না, স্বেচ্ছায় দিয়ে যাবে ওরা।

দেশ থাকলে তবেই মোড়লি করবার সুজোগ পাবেন পাঁচসালা চুক্তিতে, দেশ গেলে তখন কি হবে একবার ভেবে দেখবেন দয়া করে।

একে অপরের দোষারোপ বন্ধ করুন, অন্তত: দেশের জন্যে। আপনাদের এই বিভেদের সুজোগ নেওয়া পাকিস্থানি প্রেতাত্মাগুলোর বিরুদ্ধে একজোট হন।


* এই বিষেদগার শুধু মাত্র বাংলাদেশি রাজনৈতিক দলগুলোর জন্যে। রাজাকার কুত্তার প্রেতাত্মারা দুরে থাকিস।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ১:২০
৩৪টি মন্তব্য ৩০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×