অতি সম্প্রতি বাংলাদেশের সরকারী বাস সার্ভিস BRTC স্বল্প কিছু রুটে তাদের নিজস্ব বাস সার্ভিসে ফ্রি ডিজিটাল সেবা চালু করেছে। এই বাসগুলোতে Wifi ইন্টারনেট সংযুক্ত থাকায় স্মার্টফোন ব্যবহারকারী যে কোন যাত্রী ভ্রমন সময়কালে স্মার্টফোনের Wifi অপশন চালু করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। এর জন্য বাড়তি কোন ভাড়া গুনতে হবে না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে পাবলিক বাসের ভিতর Wifi ব্যবহার কিছুটা বিলাসিতা হলেও উন্নত বিশ্বে এই ধরনের ফ্রি ইন্টারনেট সুবিধা অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হচ্ছে।
BRTC সার্ভিসের বাসগুলোতে দুটি করে টেলিটকের থ্রিজি সীমসমেত রাউটার যুক্ত করা হয়েছে
স্মার্টফোনের Wifi অপশন চালু করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন কিভাবে?
BRTC বাসের ভেতরে দরজার পাশে লেখা দেখবেন ‘ডিজিটাল বাস’। তার পাশেই দেখবেন একটি QR কোডের ছবি।
বাসযাত্রী তার ব্যবহৃত স্মার্ট ফোনের মাধ্যমে বাসের ভেতরে স্টিকারে থাকা QR Code স্ক্যান করে ফ্রি ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবেন। QR Code স্ক্যান করার জন্য বাসযাত্রীর স্মার্ট ফোনে QR Code স্ক্যান উপযোগী একটি Application থাকতে হবে।
BRTC বাসের Wifi এর কার্যক্ষমতা কেমন?
বাসে বসে মোটামুটি ইন্টারনেট ব্রাউজ করা যাবে। ফেসবুক ব্যবহার করা যাবে। ইউটিউব চালানো যাবে তবে গতি নিয়ে কিছুটা অসন্তুষ্টি হয়ত থাকবে। তবে নেটের গতি পর্যায়ক্রমে উন্নত করা হবে।
BRTC বাসের Wifi এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা কেমন করা হয়েছে?
BRTC বাসের Wifi এর নেটওয়ার্ক বেশ নিরাপদ করা হয়েছে। বাসের বাইরে থেকে ইচ্ছে করলে কেউ এই নেটওয়ার্কে ঢুকতে পারবে না। বাসে উঠে QR Code স্ক্যান করলেই কেবল এই নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হওয়া সম্ভব।
Android এ ব্যবহার উপযোগী কিছু QR Code স্ক্যানার Apk এপ্লিকেশনঃ
গুগল প্লে ষ্টোর থেকে নীচের যে কোন একটি এপস ইন্সটল করে নিন
গুতা দিন!!
এবার হাতে কলমে শিক্ষা!
গ্যালাক্সি ট্যাব থ্রি ও Barcode Scanner এর সাহায্যে পিসির একটি ছবির স্ক্যান রেজাল্ট!
যদি ভাবেন বারকোড কিভাবে সংগ্রহ করব?
নীচের ছবির দিকে তাকান।
বারকোড রেজাল্টের উপর আঙ্গুল রাখলেই কপি অপসন আসবে। টেক্সট সিলেক্ট করে কপি বাটন চাপুন।
এবার wi-fi fiture open করুন। পাসয়ার্ডের ঘরে আঙ্গুল ধরে পেস্ট কমান্ড আনুন। পেস্ট করে ওকে দিন।
আশা করি সব ঠিক থাকলে wifi কানেকশন পেয়ে যাবেন।
পুর্বে প্রকাশিত এইখানে!!
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৩:৪২