ইকোনমিক্স পাশ করিয়া চাকুরী খুজিতেছিলাম। হতাশ হইয়া এক চৈত্রের বিকালে বৃক্ষতলায় বসিয়া কল্পনার সহিত তামাশায় মজিয়াছিলাম। ইহা আমার যন্ত্র। যন্ত্রের মতন ইহাদেরও মজ্জায় কিছু তৈল ঢালিতে হয়! কাহারও তৈলের মুল্য ব্যপক কাহারও যত সামান্য। তৈল পাইলে ইহারা ভালই চলেন না পাইলেই উবে চলে যান। এই দুঃশ্চরিত্রের মন আছে তৈল নাই। তাই ইহাদের সহিত দু এক সন্ধ্যা রস করিতে হয়। কল্পনাকে যাহাই জিজ্ঞাসা করি তাহাতেই বিরক্তি। গত সন্ধ্যায় তৈলের বড় অভাব ছিলো কিনা। ভাবিলাম পীড়া না দিয়া আমার বাদাম আমিই চিবাইয়া খাই। এ দেখিয়া কল্পনা রানী বড্ড ক্ষেপিলেন! বলিলেন, তোমার কি বাবু বিবেক বুদ্ধি বলিতে কিছুই নাই একা একা বাদাম গিলিতেছো? কতক অবাক হইয়া চক্ষু দুটি বড় করিয়া তাহার দিকে তাকাইয়া বলিলাম, এ আমার বাদাম আমি খাইতেছি ভাগ বইসাইবার ইচ্ছাটি জলাঞ্জলি দিন। রানী ক্ষিপ্র কন্ঠে কহিলেন, তোমরা জ্বালা কিসে বুঝিবে? তোমরা সুধা পানে ব্যস্ত। আধারে আমরা কামনার ফুল হয়ে ফুটিয়া উঠি আর তোমরা ফুল ছিড়িয়া মালা গাথিয়া সংসারে মনযোগ দাও। তোমাদের জীবন যৌবনে কত ফুল! মধু! আমরা ফুল হইয়া ফুটিয়াও দাম পাই নে তাই বলে কপালে বাদামও জুটিবে না তা কি হয়! বাদাম লইয়া কল্পনা রানী বিদায় হইলেন। আমি বসিয়া রইলাম, ভাবনায় পড়িলাম। মনে মনে কহিলাম, নিশিথে যে ফুলের জন্ম তাহার কদর কেবল নিশিতথেই বাড়ে। এ সমাজে যাহারা দেয় না তাহাদের বড়ই কদর, যাহারা দিতে পারে না তাহারাই কদাকার। ভাবিলাম কল্পনার হয়তো এবেলায় বাদাম জুটিবে, পরের বেলায় খীল! ইহাদের এ বেলা ও বেলা, ওই বেলা, পরের বেলা তাহার পরের বেলা ইহাদের উপরেই নির্ভর করে। অসুস্থ হইলে দায়, পীড়ায় পড়িলে দায়, চাহিদা মিটাইতে না পাড়িলে দায়। ইহারা সাধারনের কল্পনার নায়িকা। সাধারনের কল্পনার বাস্তবতা ইহাদের দ্বারাই সাধিত হয় পরিবর্তিতে ইহারা হয় চাতক। বর্ষায় পানি পাইলে পায় নয়তো চৈত্রের রোদ্দুরে জ্বলিয়া পুড়িয়া মরে, বিষম জ্বালায় মরে। আর তাহাতে আসনে বসিয়া কল্পনার নায়কগন নানান দেশী লাল জল লইয়া খেলা দেখে, হাত তালি দেয়। হায়! এ জগৎ, কেহ দাহনে পুড়িয়া মরে, কেহ সুখ দর্শন করিয়া মরে। সকলেই মরে। সহস্র বছর ধরিয়া কল্পনারা আমাদের জন্য আর আমরা তাহাদের পুড়িয়া মরিবার আগুন। এতক্ষনে একখানা লাইন মনে পড়িল। ঈশ্বর এইখানে থাকেন না… ঈশ্বর থাকেন ভদ্রপল্লীতে … ব্যথায় কাতর হইলাম। ঈশ্বর যদি এই অন্তরেই বসবাস করেন তবে উনি সর্বত্রই আছেন। তবে কেন ঈশ্বরের ব্যর্থতা! দেখিবার বিষয়। উপরেও যখন আছেন নিচেও আছেন। তবে ব্যর্থতার ভাগাভাগি উভয়ই করিতে বাধ্য। ভাবিতে ভাবিতে এ হৃদয় বড় ক্লান্ত। ইহাদের ভবিষৎ লইয়া কল্পনায় কাজ নেই। যাহাদের ভাবনা তাহারাই ভাবিবেন। আমার অত শত ভাবিয়া কাজ নেই। ও নারীতে আমার অনেক রাগ। সে আমার বাদাম লইয়া প্রস্থান করিয়াছেন।
আলোচিত ব্লগ
মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?
কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।
এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন
একটা গাছ কাঠ হলো, কার কী তাতে আসে গেলো!
ছবিঃ একটি ফেসবুক পেইজ থেকে
একটা গাছ আমাকে যতটা আগলে রাখতে চাই, ভালো রাখতে চাই, আমি ততটা সেই গাছের জন্য কিছুই করতে পারিনা...
তাকে কেউ হত্যা করতে চাইলে বাঁধাও দিতে পারিনা...
অথচ... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কালবৈশাখী
গত পরশু এমনটি ঘটেছিল , আজও ঘটলো । ৩৮ / ৩৯ সে, গরমে পুড়ে বিকেলে হটাৎ কালবৈশাখী রুদ্র বেশে হানা দিল । খুশি হলাম বেদম । রূপনগর... ...বাকিটুকু পড়ুন
একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!
ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...
ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।
মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন