৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ স্বীকৃতি পাওয়ায় ২৫শে নভেম্বর নাগরিক সমাবেশ হবে এটা জানা ছিল। জানতাম সেটা হবে সার্বজনীন একটা সমাবেশ। কিন্তু দেখলাম তা শুধু আওয়ামীলীগ ইস্যুতে সমাবেশ। তাই তো আমাদের ইন্টারমিডিয়েট কলেজের শিক্ষার্থীদের সাথে যাচ্ছে নৌকা প্রতিকি। আওয়ামীলীগ ইস্যুতে যা হয় আরকি! কলেজ কর্তৃপক্ষের কাছে আমি নিজে গিয়েছিলাম বন্যার্তদের জন্য ত্রাণ সংগ্রহের অনুমতি নিতে ছাত্র ইউনিয়নের হয়ে কয়েক মাস পূর্বে। কিন্তু তখন কলেজ কর্তৃপক্ষ সরাসরি বলে দিয়েছিলো যে রাজনৈতিক কোন কিছু কলেজে এলাও করা হবে না। তাই মাত্র ৪-৫ জন বন্ধু মিলেই প্রত্যেক ক্লাসে গিয়ে বন্ধুদের থেকে স্ব-উদ্যোগে ত্রাণ উত্তোলন করেছিলাম। কলেজ কোন ঘোষণাও করেনি। তবে আমার কয়েকজন স্যার এবং মিস আমাকে অনেক সাহায্য করেছিলো বাধা থাকা সত্ত্বেও। যাই হোক, আজকে কলেজের সামনে দেখলাম নৌকা প্রতিকি দেখে ১ম বর্ষের একটা ছোট ভাইকে জিজ্ঞাসা করলাম যে কলেজ কি এলাও করেছে এইসব। ও উত্তর দিলো যে হ্যা করেছে।
বুঝতে আর কিছু বাকি রইলো না। কয়েকটা বন্ধুকে জিজ্ঞাসা করলাম, সার্বজনীন ভাবে এবং কোন দল কেন্দ্রিক না হয়ে যাওয়াটা কি উচিৎ ছিল না? উত্তরে একটা বন্ধু বলল, অত্যধিক ত্যালবাজি এটা। বলে কোন কাজ নেই। যেতে ইচ্ছে হচ্ছে না এখন।
মুক্তিযুদ্ধ ছিল একটা জন যুদ্ধ। বঙ্গবন্ধু কারোর একার সম্পত্তি নয় এটা একেবারেই বাস্তব। তবে জোটের রাজনীতিতে একদল বঙ্গবন্ধুকে একেবারেই ব্যক্তিগত সম্পত্তি মনে করে, আরেকদল দেশদ্রোহী বলে আখ্যায়িত করে।
সব শেষে মন্তব্য একটাই, আমার সমাজটা পূঁজির দালাল আর ক্ষমতার পূজারী। তাই তো আমার দেশের বন্যার্তদের পাশে কেউ থাকেনা, ক্ষমতার পূজায় আবার ঠিকই লিপ্ত হয়!
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৭ সন্ধ্যা ৬:৪২