ডেনমার্ক, নিউজিল্যান্ড, সুইডেন ইত্যাদি রাষ্ট্র গুলোতে কোন মেয়ে স্মোক করলে কোন ছেলে হা করে তাকিয়ে থাকে না। সেখানে শর্টস পরে বের হলে মেয়েদের আমাদের দেশের মতো আক্রমণের শিকার হতে হয় না। তো বাংলাদেশের বেলায় এমন চো*নময়ি কথা শুনতে হয়ে একটা মেয়ে যখন রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্মোক করে তখন?
তখন চমৎকার ভাবে একটা বিখ্যাত উক্তি শুনতে পাওয়া যায়,"আমি টি-শার্ট খুলে হাটতে পারলে, তুমি একটা মেয়ে হয়ে কি পারবা?"
আবালের বাচ্চা, টি-শার্ট খুলে হাটার কথা কেন বলিস? সেখানে একেবারে ন্যুড হয়ে যাওয়ার কথা বলতে পারিস না? ওহ, তখন মান সম্মানের ব্যাপার! একেবারে ন্যুড হয়ে গেলে যে ইলাহি লিঙ্গ মোবারক খানা জনগণ দেখে ফেলবে। এই যে বড় লজ্জার ব্যাপার!
আচ্ছা, এখন কেন লজ্জা? কারণ কি এটাই নয় যে সভ্যতার ক্রমবিকাশের সাথে আমাদের সংস্কৃতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি এমন যে, ছেলেরা তাদের প্রাইভেট পার্টস এবং মেয়েরা তাদের ডেকে রেখে লজ্জা নিবারণ করে। সেখানে নারী স্তন টাকেও একটা পার্ট হিসেবে রাখা হয়। কিন্তু যদি একবার তাকাই Jesus Christ (যিশু খ্রিষ্ট) এর জন্মের কিছু আগের সময়কার করা শৈল্পিক চিত্র গুলো, তবে দেখা যায় সব নারীদের স্তন অনাবৃত। সময়ের কাল ক্রমে ক্রাইস্টের জন্মের পরে শুরু হয় নারীদের স্তন আবৃত করা। এবং ধীরে ধীরে আসে বক্ষবন্ধনী (ব্রা) টাইপের পোশাক। তাই এখন এটাই নারীর চরম দুর্বলতা। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে চমৎকার ভাবে বার বার বলা হয় টি-শার্ট খুলে অনাবৃত বক্ষে ঘুরে বেড়ানর কথা।
তেমনিই মেয়েদের স্মোক করাটা নিয়ে বেশি চুলকানিটা মূলত আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতার সমস্যা। তবুও বেশি লাফালে আমি বলবো, পুরা ন্যুড হয়ে হেটে দেখে ফাদার চো*!
বিষয়টা অবশ্যই মানসিকতার অবস্থান প্রথমত, পুরে বৈষম্য নামক শর্ট ফিল্মটা
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১:৪৫