somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

IUT তে ভর্তি পরীক্ষা এবং IUT নিয়ে কিছু প্রশ্নের উত্তর

৩১ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৫৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
প্রিয় এইচ.এস.সি ২০১২ ব্যাচের ছাত্রবৃন্দ প্রথমেই তোমাদের শুভেচ্ছা। ইতিমধ্যে তোমাদের ফলাফল দিয়েছে এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের admission test এর date দেয়া শুরু হয়েছে,

IUT কি?? এই প্রশ্নটা অনেক সময় অনেককেই ফেস করতে হয়, অস্বীকার করি না ঢাকার বাইরে পরিচিতি কম, অনেকে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সময় ই IUT এর সাথে পরিচয় হয়, যদিও পরবর্তীতে যারা ইঞ্জিনিয়ারিং এ থাকেন তাঁরা IUT কে ভালভাবেই চিনতে পারেন, তাই প্রথমেই কিছুটা পরিচয় দিয়ে নেই। ISLAMIC UNIVERSITY OF TECHNOLOGY (IUT) ঢাকার উত্তরা থেকে কিছু দূরে গাজীপুরের বোর্ডবাজারে, যা ORGANISATION OF ISLAMIC CO-OPERATION (OIC) এর একটি subsidiary organ সরাসরি OIC এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এবং বাংলাদেশের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে OIC এর ৫৭ টি দেশের শুধু মাত্র মুসলিম ছাত্ররা পড়ার সুবিধা পায়। যেহেতু বাংলাদেশ OIC এর একটি সদস্য এবং host country তাই মোট ছাত্রের প্রায় ৬০%-৭০% বাংলাদেশি এবং বাকিরা অন্যান্য দেশের ছাত্র, এখানে BSC পড়ার জন্য ৪টি department আছে, যেগুলো হল EEE (Electrical & Electronics Engineering), CSE(Computer Science & Engineering), MCE (Mechanical & Chemical Engineering) এবং CEE (Civil & Environmental Engineering). EEE, CSE, MCE এর maximum ১২০-১৩০ রেগুলার (স্কলারশিপ) এ পরতে পারে, বাকি প্রায় ৪০ জন এবং CEE এর ৫০ জন self-finance এ পড়ে। আর IUT এর পরিবেশ, খাবার, আবাসন ব্যবস্থা, চিকিৎসা বা অন্যান্য সুযোগ সুবিধা সম্পূর্ণরুপে আন্তর্জাতিক মানের, আর হ্যাঁ অবশ্যই এবং অবশ্যই ক্যাম্পাসে সম্পূর্ণভাবে রাজনীতি শুধু নিষিদ্ধই না, ছাত্ররা স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই রাজনীতি থেকে দূরে থাকে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ কোন ঘটনাই IUT এর academic calendar কে কোন ভাবে প্রভাবিত করতে পারে না, ছোট্ট একটা উদাহরণ দেই যখন তোমাদের এইচ.এস.সি পরীক্ষা হচ্ছিল টানা প্রায় ৩-৪ দিন হরতালে তোমাদের পরীক্ষা দীর্ঘ হচ্ছিল, সে সময় আমাদের semester exam চলছিল যা ১ মিনিটের জন্যও পেছানো হয়নি এবং ঠিক ৩ বছর ৯ মাসের মধ্যেই এজন্যই বিএসসি কোর্স সম্পন্ন সম্ভব হয়।
এখন ভর্তি পরীক্ষার প্রসঙ্গে আসি, যে বিগত বছরের আলোকেই বলব, IUT এর ভর্তি পরীক্ষার বিগত কোন বছরের প্রশ্ন বাহিরে পাওয়া যায় না তাই এখানে পরীক্ষা দেবার আগে অনেকেই confusion এ থাকে। এখানে ৪টি বিষয়ে পরীক্ষা হয়, PHYSICS (30), MATH (30), CHEMISTRY (20), ENGLISH (20), এই ১০০ নাম্বার এর MCQ ও তোমার SSC এবং HSC এর ১০০ নাম্বার মোট ২০০ নাম্বার। অন্যান্য ভার্সিটির মতই প্রশ্নের মান হয়, কিন্তু এখানে প্রশ্ন হয় সম্পূর্ণ English Medium এ।
যেমন যদি প্রশ্ন আসে উত্তল/অবতল লেন্সের ফোকাস দূরত্ব দেয়া আছে, ক্ষমতা বের করতে হবে তাহলে খুব সহজেই তোমরা পারবে কিন্তু এখানে যদি Convex/Concave লেন্সের কথা বলা থাকে অনেক ক্ষেত্রেই তোমরা প্রশ্নই বুঝতে পারবে না, তাই সহজ প্রশ্ন ভুল করলে পরীক্ষা খারাপ হতে পারে, এজন্য IUT তে ভর্তি পরিক্ষায় ক্যাডেট কলেজের ছাত্ররা ভাল করতে পারে বেশি। তাই সহজ কিছু উপায় বলি।
PHYSICS এর সবগুলোর English terms জানতেই হবে, MATH এ ত্রিকোণমিতি/ ক্যালকুলাস খুব বেশি English terms জানার দরকার হয় না কিন্তু বীজগণিত/ জ্যামিতি/ বলবিদ্যা/ বিচ্ছিন্ন গনিতে জানতে হবে। CHEMISTRY এ reaction গুলো জানলেই হবে কিন্তু রসায়নের অন্যান্য বিষয় এর ইংরেজি টার্ম গুলো জানতে হবে।
এখন আসি English question এ যা অন্যান্য ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষার চেয়ে IUT এর English পরীক্ষার প্রশ্ন কঠিন আসে, English 20 marks এর হয়, যেখানে (গত বছর অনুযায়ী) Synonym/Antonym, Passage, Fill in the gaps এবং MCQ থাকে, IUT এর প্রশ্নের pattern এর সাথে IBA এর pattern এ কিছু মিল থাকে (GRE/GMAT/SAT টাইপ এর), কিন্তু এটা নিয়ে বেশি টেনশন করার দরকার নেই, কারণ অন্যান্য বিষয়ে খুব ভাল করতে পারলেই chance পাওয়া সহজ হয়ে যায়।
তোমরা আশা করি IUT এর ভর্তির নোটিশ দেখেছ (না দেখলে ৪ আগস্টের প্রথম আলোর ১৫ পৃষ্ঠা দেখো), টেলিটক সিমের মাধ্যমে apply করতে হবে, যার জন্য ৫০০ + সার্ভিস চার্জ ৫০ = ৫৫০ টাকা লাগবে, ফিরতি এসএমএস এ পরবর্তী করনীয় জানতে পারবা, আবেদন শুরু ১৩ আগস্ট, শেষ ১৫ সেপ্টেম্বর এ এবং পরীক্ষা ৯ অক্টোবর সকাল ১০ টায়। Details জানার জন্য তোমরা http://www.iutoic-dhaka.edu এই ওয়েব অ্যাড্রেসে যেতে পারো।
আরেকটা অপ্রিয় সত্য কথা বলি যদিও বলা হয়েছে যাদের (বাংলা মিডিয়াম) ৪.৫ আছে তারা apply করতে পারবে, কিন্তু গতবারের হিসেবে যাদের SSC এবং HSC দুটোতেই অবশ্যই কমপক্ষে এ+ ছিল তারাই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পেরেছে (সম্ভবত ৯৮ পয়েন্ট), তাদের সংখ্যা প্রায় মোট ২৫০০ জন যাদের থেকে মোট খুব বেশি হলে ২২০-২৩০ পড়ার সুযোগ পেয়েছে, তার মানে প্রায় ১১ জনে ১ জন, তাহলে competition খুব বেশি হবে মনে রেখ।
পরিশেষে বলি ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। কঠিন প্রতিজ্ঞা ও দৃঢ় মনোবল নিয়ে তোমরা এগিয়ে চল, জয় তোমাদের হবেই হবে,কারণ প্রচণ্ড বড় হবার ইচ্ছাই মানুষকে বড় করে তোলে।
শুভ কামনা রইল।
ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কিত লিঙ্ক

মুল লেখকঃ ফাহিম আহমেদ
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:২৬
২৪টি মন্তব্য ২৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×