somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

মৃত্যুর আগে যে ১০০ টি চিত্রকর্ম আপনাকে দেখতে হবে (দুই)

২১ শে মে, ২০১৫ রাত ১০:৪৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ছবি দেখতে আমার খুবই ভাল লাগে। জীবনে কত ছবির দিকে যে হা করে তাকিয়ে থেকেছি তার ইয়ত্বা নেই। মাঝে মাঝে গুলশান ২ আর নিউ মার্কেট এর ছবির দোকান গুলোয় এমনি এমনিই ঘুরে বেড়াই। নানারকম ছবি দেখি ঘুরে ঘুরে অথবা আমার বিশেষ প্রিয় কাজের একটি হলো নেট ঘুরে ঘুরে ছবি দেখা। কার্টুন, জলরং, তেলরং সব ধরণের ছবিই আমার পছন্দ। একজন চিত্রশিল্পী মানুষের মনোলোককে ঋদ্ধ করে, তাকে কিছুক্ষণের জন্য হলেও অমৃতের সন্তানের পঙিক্ততে উন্নীত করে।

Leonardo Vinci (লিওনার্দ দ্যা ভিঞ্চি) বহুমুখী প্রতিভাধর লিওনার্দো দা ভিঞ্চির অন্যান্য পরিচয়ও সুবিদিত- ভাস্কর, স্হপতি, সংগীতজ্ঞ, সমরযন্ত্রশিল্পী এবং বিংশ শতাব্দীর বহু বৈজ্ঞানিক আবিষ্কারের নেপথ্য জনক । লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চির জন্ম ফ্লোরেন্সের অদূরবতী ভিঞ্চী নগরের এক গ্রামে, ১৪৫২ সালের ১৫শে এপ্রিল ।
লিওনার্দোর জীবনের প্রথম অংশ বিষয়ে খুবই অল্প জানা গিয়েছে । তাঁর জীবনের প্রথম ৫ বছর কেটেছে আনসিয়ানো-র একটি ছোট্ট গ্রামে । তারপর তিনি চলে যান ফ্রান্সিসকো তে তার পিতা,দাদা-দাদী ও চাচার সাথে থাকতে।তার পিতা অ্যালবিরা নামে এক ষোড়শী তরুণী কে বিয়ে করেছিল । খেয়ালী রাজকুমারের মত এলোমেলো ভাবে নোটবুকের পৃষ্ঠায় ভিঞ্চি তার চিন্তাভাবনা লিখে রেখে গেছেন । তার নোট এবং ড্রয়িং থেকে দেখা যায় যে লিওনার্দো ব্যাপক বৈচিত্র্যময় বিষয়ের প্রতি আগ্রহী ছিলেন । তার চুড়ান্ত চিন্তাভাবনা কি তা বর্তমানে জানা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। আর মজার বিষয় হচ্ছে যে, সবকিছুই তিনি অসমাপ্ত রেখে গেছেন ।
৯।


ভিঞ্চির আকাঁ ছবিটিকে পৃথিবীর সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট চিত্রকর্ম বলা হয়। ছবিটি তিনি ১৫০৪ সালে একেঁছিলেন। ফ্লরেন্সের এক ধনাঢ্য পরিবারের মেয়ে লিসা ডেল জিওকন্ডের নাম অনুসারে চিত্রটির নামকরণ করা হয়। ছবিটি এখন ফ্রান্সের ল্যুভর মিউজিয়ামে সংরক্ষিত করা আছে। প্রতি বছর প্রায় ৬০ লাখ লোক এই চিত্রকর্মটি দেখার জন্য জাদুঘরে যায়। পাইন কাঠের টুকরোর ওপর মোনালিসার এ ছবিটি আঁকেন।

১০।


The last Supper এর মূল বক্তব্য হচ্ছে যীশু খ্রিস্টের খাওয়া সর্বশেষ খাবার অর্থাৎ তিনি ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার আগে যে খাবার খেয়ে ছিলেন। ছবিটি এঁকেছেন লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্ছি। ছবিটি আঁকার পর পুরো ইউরোপ জুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। সবাই ছবিটিকে এক ঝলক দেখার জন্য তখন উপচে পড়ে। ছবিটিতে দেখা যায় যীশু খ্রিষ্ট সবার সাথে ভাগ করে খাবার খাচ্ছেন এবং সবার মধ্যে একটা কৌতূহল বিরাজ করছে।

১১।


কেন জানি এই ছবিটা আমার খুব বেশি ভাল লাগে।

১২।


মোনালিসার চেয়ে এই ছবিটা আমার বেশি ভাল লাগে।


Bob Ross (বব রস) বব এর জন্ম ১৯৪২ সালে আমেরিকায়। তিনি একজন জনপ্রিয় টিভি উপস্থাপক। মাত্র ৫২ বছর বয়ে এই শিল্পী মারা যান। তার ছবি দেখলে মনেই হয় না- রঙ তুলি দিয়ে আঁকা। মনে হয় এসএলআর ক্যামেরা তোলা ছবি। এত নিখুঁত !

১৩।



১৪।



Rabindranath Thakur (রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর) রবি ঠাকুর ঘটা করে ছবি আঁকা শুরু করেন ১৯২৪ সালে,তখন তাঁর বয়স প্রায় ৬৩ বৎসর। রবি ঠাকুর তাঁর ছবি আঁকাকে গুরুত্বের সঙ্গে নেন, যখন আর্জেন্টিনার অন্যতম জনপ্রিয় লেখিকা ভিক্টোরিয়া অকাম্পো তাঁর কবিতার খাতা ঘাটাঘাটি করার সময় তাঁর আঁকা "পুরবী" ছবিটি দেখেন এবং এর ভূয়সী প্রসংসা করেন। এই স্বনামধন্য লেখিকাই কবিগুরুর প্রথম প্রদর্শনীর আয়োজন করেন প্যারিস এ ১৯৩০ সালে। বার্লিন ন্যাশনাল মিউজিয়াম রবীন্দ্রনাথের ৫ টি ছবি কিনে নেয়। রবি ঠাকুরের ছবি গুলোর বৈশিষ্ট্য হল, তাঁর ছবিতে রঙ এর চেয়ে আঁকিবুঁকি বেশি থাকত। শান্তিনিকেতন এর আর্ট মিউজিয়াম এ আছে রবীন্দ্রনাথ এর ১৫৮০ টি পেইন্টিং।

১৫।


রবীন্দ্রনাথের আঁকা এই ছবিটা আমার সবচেয়ে বেশি ভাল লাগে।

১৬।


তিনি অনেক গুলো নারী প্রতিকৃতি এঁকেছিলেন, যাদের মুখছবি গুলো ছিল দুঃখিত এবং বিকৃত। একবার তিনি নন্দলাল বসু কে বলেছিলেন যে, এই ছবি গুলো তিনি তাঁর বউদি কাদম্বরী দেবী কে স্মরণ করে এঁকেছিলেন।
৬টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হালহকিকত

লিখেছেন স্প্যানকড, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:১২

ছবি নেট ।

মগজে বাস করে অস্পষ্ট কিছু শব্দ
কুয়াসায় ঢাকা ভোর
মাফলারে চায়ের সদ্য লেগে থাকা লালচে দাগ
দু:খ একদম কাছের
অনেকটা রক্তের সম্পর্কের আত্মীয় ।

প্রেম... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×