সব সময় যারা বই পড়ে আর থিয়োরি কপচায়, তারা দেশের কোনো কাজে লাগে না-
ঠিক এই কথা ভাবতে-ভাবতে, একজন কবি শাহবাগের ব্যস্ত রাস্তা পার হচ্ছেন।
কবির বয়স এখন পঞ্চাশ, এই বয়সে ভালোবাসা রুপান্তরিত হয়- স্নেহ মমতায়
কবির ধারনা, ভালোবাসার চেয়ে স্নেহ ও মমতার শক্তি অনেক বেশি।
উদ্দেশ্যবিহীন হাঁটতে হাঁটতে কবি নিউ মার্কেট এলাকার দিকে চলে আসছেন-
একা একা তার রাস্তায় হাঁটতে মন্দ লাগে না, অনেক রকম 'মানুষ' দেখা যায়
দুঃখজনক ব্যাপার হলো- নদী কখনও থামে না, মানুষের জীবন হঠাৎ থেমে যায়।
কবির চায়ের পিপাসা পেয়েছে, রাস্তার পাশের দোকান থেকে এক কাপ চা হাতে নিলেন
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে তার মেজাজ বিগড়ে গেল, চা না গরুর মুত খাওয়াচ্ছে?
কবি সহ্য করে গেলেন। কবিদের সহ্য করার ক্ষমতা অসীম।
চা ফেলে দিয়ে একটা পান চাইলেন- খয়ার ছাড়া, জর্দা ছাড়া
বিয়ে বাড়িতে তিনি অনেককে দেখেছেন- খাওয়ার পর কেউ কেউ একসাথে তিনটা পান
মুখে দিয়ে জন্তুদের মতো চিবোয় সেই অবস্থায় আবার কথা বলেতে আসে। ছিঃ
পান মুখে দিয়ে কবির মেজাজ আবারও বিগড়ে গেল- পান দোকানদার বিরাট বদ
না করা সর্তেও জর্দা ও খয়ার দু'টোই দিয়েছে।
এই দেশের এই জন্যই কোনো উন্নতি হচ্ছে না- কবি মনে মনে বললেন।
তার ইচ্ছা করছে পানওয়ালার শার্টের কলার ধরে, কানের নিচে একটা দিতে।
ঠিক এই মুহূর্তে কবির মাথায় একটা কবিতার লাইন চলে এলো-
'নগরে যারা থাকে, তারা সবাই নাগরিক চেতনাসম্পন্ন হয় না।'
( আমি কবি নই। কবিতা লেখার সামান্য যোগ্যতা আমার নেই। তারপরও কিছু দিন পর-পর কবিতার মতো কিছু একটা না লিখলে ভালো লাগে। এটা আমার দীর্ঘ দিনের অভ্যাস। সম্মানিত ব্লগারগন যদি আমার কবিতা টা সাদরে গ্রহন করেন তাহলে খুব খুশি হবো।)
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জুন, ২০১৭ দুপুর ১:৩৯