বাড়ির কাউকে না বলে একবার পাখি শিকার করতে গেলাম পাশের গ্রামের রফিক চাচার সাথে। তখন আমি অনেক ছোট। দাদা একবার বলেছিলেন- পাখি মারা ঠিক না। কেউ কেউ উড়ন্ত পাখিকে নিরাপদে চলে যেতে দেন।
মাঝি তীর গতিতে নৌকা চালিয়ে নিয়ে গেল এক চরে। সেখানে নির্জনতা, আর এক ঝাঁক পাখি।
রফিক চাচার হাতের টিপ ভালো, সে দু'টা পাখি মেরে ফেলেছেন। সে আমার হাতে বন্ধুক দিয়ে বললেন- দেখ চেষ্টা করে। পারিস কিনা। আমি একটা বেলে হাস মেরে ফেললাম। অজানা এক উত্তেজনায় কাঁপছিলাম। একটু পরে আমার সাহস বেড়ে গেল। একটা ডাহুক মেরে ফেললাম।
খুব ভাব নিয়ে বাড়ি ফিরলাম। দাদা বললেন, পাখিরা খুব নিরিহ হয়। ওদের মারায় কোনো বীরত্ব নেই।
হাসান রাজার একটি গানের লাইন- ''ঘুড্ডি উড়াইলো মোরে মৌলা'র হাতে ডোরী''
ভাবার্থ হলো- একটি ছেলের হাতে সূতায় বাঁধা উড়ন্ত ঘুড়ি যেরুপ, আল্লাহর হাতে মানুষও সেরুপ।
অর্থাৎ মানুষ যখন আত্মাতে নিবিষ্ট হয়, তখন সে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুঁজে বেড়ায়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪