somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হিপনোটাইজ

১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হিপনোটিজম একটি বিজ্ঞানসম্মত পদ্ধতি। এর মধ্যে অবাস্তব-ভুতুড়ে কিছু নেই। তবে প্রবল ইচ্ছাশক্তিসম্পন্ন মানুষকে হিপনোটাইজ করা যায় না। সমাজে গরীব যারা তাদেরকে যদি টাকা দেওয়া যায়, তারা সবসময়ই থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনে। যারা খুব অহংকারি ব্যক্তি তাদের সঙ্গে নম্র ভদ্রভাবে ব্যবহার করুন৷ দেখবেন সে আপনার একেবারে বশে চলে আসবে। কোনও বোকা ব্যক্তিকে মিথ্যে প্রশংসা করলে সে থাকবে আপনার নিয়ন্ত্রনে। হিপনোটাইজ সবাই করতে পারে না। হিপনোটাইজ করার জন্য আপনার এ বিষয়ে জানা জরুরি এবং আপনার দক্ষতাও থাকতে হবে। আর যাকে হিপনোটাইজ করবেন তারও ইচ্ছা থাকতে হবে।



হিপনোটাইজড সবাইকেই করানো সম্ভব। কাউকে দেখে মনে হয় যেন কত দিনের চেনা, যেন কোথায় দেখেছেন। কোনও জায়গা প্রথম বার চাক্ষুষ করেও মনে হয় যেন আগে কখনও এসেছেন। এটাও হিপনোসিস। কারও সঙ্গে কথা বলতে খুব ভাল লাগে বা কথা বলতে গিয়ে বারবার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে যান। সম্মোহনের এর থেকে বড় উদাহরণ আর কী হতে পারে? ‘হিপনোসিস’ শব্দের আভিধানিক অর্থ ‘সম্মোহন’। হিপনোথেরাপির উদ্দেশ্য কাউকে হিপনোটাইজ করা নয়, রোগীকে তাঁর সমস্যা থেকে উদ্ধার করা। হিপনোটিক থেরাপিতে শরীর ও মনের রোগ সারানো, পূর্বজন্মে ফিরে যাওয়া, স্পিরিট রিলিজ কেউ বলছেন ‘বৈজ্ঞানিক’, কারও কাছে আজগুবি, বুজরুকি, কেউ মনে করেন ব্ল্যাকম্যাজিক, আবার কারও ব্যাখ্যায় অর্ধেক সত্যি-অর্ধেক কল্পনা।



গল্প বা সিনেমায় হিপনোটাইজ ব্যাপারটিকে যে অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়, তা বলতে মানা নেই। সত্যজিত রায়ের ‘হিপনোসিসের’ ব্যাপারে ছিল দারুণ মোহ। তার বিভিন্ন গল্পে ‘হিপনোসিস’ প্রসঙ্গটি বারবার উঠে এসেছে। হিপনোসিস চলাকালীন সময়ে মস্তিষ্কের সচেতন অংশকে সাময়িকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ঐ ব্যক্তির বিক্ষিপ্ত চিন্তাগুলোকে কেন্দ্রীভূত করা হয় এবং তাকে মানসিকভাবে শিথিল করার দিকে মনোনিবেশ করানো হয়। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক আমাকে বলেছিলেন- “আত্মার ওজন মেরেকেটে ২১ গ্রাম! হিপনোসিসের মাধ্যমে দেহ থেকে আত্মা বার করে নেড়েঘেঁটে দেখে, আবার শরীরে ঢুকিয়ে দেওয়া যায়!” “যখন মানুষ হিপনোটাইজড অবস্থায় থাকে তখন তাঁর দেহ ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু মস্তিষ্ক জাগে। অনেকটা তন্দ্রাচ্ছন্ন বা মদ খেয়ে অর্ধচেতন হয়ে যাওয়ার অবস্থার মতো।



বিশ্ব দাবা চ্যাম্পিয়ন ম্যাগনাস কার্লসেনের সম্বন্ধে বলা হয়, তিনি নাকি তুখোড় হিপনোটিস্ট। খেলতে বসেই প্রতিপক্ষের চোখের দিকে তাকিয়ে তার মস্তিষ্কের নিয়ন্ত্রণ করে ফেলা নাকি তার হাতের খেল। ২০০ বছরেরও অধিক সময় ধরে লোকজন হিপনোসিস বা সম্মোহন নিয়ে বিচার বিশ্লেষণ করে আসছে। মানুষ আপন মনে তার মনকে নিয়ে খেলে। তাই তো এই পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষই আলাদা। আলাদা তাদের চিন্তা ভাবনা, ধ্যান ধারণা। এই মনকে নিয়েই তাই প্রাগৈতিহাসিক যুগ থেকেই চলে আসছে হিপনোসিস বা সম্মোহনের খেলা। হিপনটিজম মূলত বিনোদনের জন্য ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন প্রকার ম্যাজিক শোতে এটা অতি সাধারন ব্যাপার।



হিপনোটাইজ এটা একটা বড় প্রসেস। নির্ভর করে একজনের অধ্যবসায়ের উপর। এটা পুরোটাই নির্ভর করে আপনি যাকে হিপনোটিস করবেন তার মনের উপর আর আপনার জায়গা নির্বাচনের উপর। ১০০% ঠিক হবার পরেও আপনার করা মানুষটা হিপনোটিস নাও হতে পারে। একটি অন্ধকার বা মৃদু আলোযুক্ত ঘরে বসতে হয় প্রথমে।তারপর নিচু স্বরে সম্মোহিত হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিটিকে একদৃষ্টিতে কোনদিকে তাকিয়ে থাকতে বলতে হয়।বার বার আরাম করে বসার জন্য বলতে হয়।তার পর চোখ বন্ধ করার জন্য বলে তাকে নানা নির্দেশ দিয়ে সম্মোহিত করা হয়।যেমন বলা যায়, মনে করেন আপনি একটা বিশাল তালগাছের উপরে আছেন।তালগাছটার মাথা গিয়ে লাগছে আসমানে।আপনি আরো উঠছেন আরো উঠছেন।আপনি হঠাত উঠতে উঠতে আসমানে উঠে গেলেন। চারিদিকে শুভ্র মেঘমালা।তুলার মত নরম মেঘরাশির মাঝে আপনি ভাসছেন। ভেসে থাকা অবস্থায় আপনি নিচে তাকালেন। দেখলেন সবই আছে,সাদা মেঘের ছড়াছড়ি কিন্তু আপনার তালগাছটা নেই।এই টাইপের কথাবার্তা।

পৃথিবীর সকল মানুষ প্রকৃতির কাছে সম্মোহিত হয়ে আছে। প্রকৃতি সম্মোহিত করে রেখেছে সবাইকে। মিথ্যে মায়ার পিছনে ঘুরছে সবাই সম্মোহনের কারনে।

স্বামী: সম্মোহনবিদ্যা আবার কী গো?
শিক্ষিত স্ত্রী: সম্মোহনবিদ্যা জানলে দ্বিতীয় কোনো মানুষকে নিজের বশে রেখে তাকে দিয়ে ইচ্ছেমতো কাজ করানো যায়।
স্বামী: ওটা আবার সম্মোহনবিদ্যা নাকি? ওটা তো বিয়ে।


খুব কৌতূহল হলে এখানে ডু মারুন

তথ্যসুত্রঃ ইন্টারনেট।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ বিকাল ৫:২৪
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×