somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

রাস্তায় পাওয়া ডায়েরী থেকে- ৪৩

২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। সত্যি বলছি ভাই- আমি বেহেশতে যাব না। বেহেশতে যাওয়ার ইচ্ছা আমার কোনো কালেও ছিল না। সত্তরটা হুর পরী আমার দরকার নাই। লোভনীয় আরাম আয়েশ আর খাদ্য আমি চাই না। আমি দোযকে যাবো। হাজার হাজার বছর ধরে শাস্তি উপভোগ করবো। এটাই আমার চিন্তিত অভিমত। সূর্য থাকবে মাথার একহাত উপরে, আমি মুহূর্তের মধ্যে গলে যাবো। আহারে, আমাকে আগুনে নিক্ষেপ করা হবে। আমি খুব বেশি পাপ করিনি। অবশ্য আমার শাস্তি কম হবে। জীবনে খুব বেশি পাপ করিনি। হাতে গোনা কয়েকটা পাপ করেছি মাত্র। তবে পূর্ণ কি কিছু করিনি? চারপাশে ভালো করে তাকিয়ে দেখার পর স্বামী বিবেকানন্দের মতো আমারও বলতে ইচ্ছা করে- ''যে ঈশ্বর পৃথিবীতে ক্ষুধার্ত মানুষকে অন্ন দিতে পারেন না, তিনি পরকালে আমাদের পরম সুখে রাখিবেন…… ইহা আমি বিশ্বাস করি না।''

২। আমার ব্যক্তিত্ব বলে কিছু নেই। সকলকে খাতির আর মহব্বত করে বেড়াই। আর সেই জন্যই কেউ আমাকে পাত্তা দেয় না। তবে সেসব নিয়ে আমি মাথাও ঘামাই না। ভালো মানুষদের যে বাজারদর কম সেটা বুঝবার মতো মস্তিস্ক আমার আছে।

৩। আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা বড় বড় পদে অযোগ্য লোক বসে আছে। যার বেতন পাওয়ার যোগ্যতা ৫০ হাজার তিনি পাচ্ছেন ১৮ হাজার। আর যার বেতন পাওয়ার যোগ্যতা ১৫ হাজার তিনি পাচ্ছেন ৬০ হাজার। সর্বক্ষেত্রে বৈষম্য চলছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনের পর দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে। পেঁয়াজ হবে দুই শ' টাকা। চাল হবে ১২০ টাকা। তেল, গ্যাস, বিদ্যুৎ সব কিছুর দাম বাড়বে। সাধারন খেটে খাওয়া মানূষ যতই হায় হায় করুক- তাদের কথা কেউ শুনবে না। যারা মজা নেওয়ার তারা ঠিকই মজা নিয়ে বেড়াবে।

৪। আর কয়দিন পর একুশে বই মেলা। আমি মনে মনে এই বইমেলার জন্য অপেক্ষা করে থাকি। সারা বছরের বই একুশে মেলা থেকেই কিনতে চেষ্টা করি। ফেসবুকে অনেককে দেখি- সারাদিনে একশো বার নিজেকে লেখক লেখক বলে চিৎকার করেন। তার বইয়ের প্রচার ও প্রসারে উনি যে কতটা ছাগলামি করেন তা কি উনি বা উনারা বুঝেন না? বইয়ের প্রচার ও প্রসার করবে এটা তো স্বাভাবিক। কিন্তু ছাগলামি করাটা স্বাভাবিক না। রাজনীতিবিদরা যেমন দেশের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছেন, ঠিক তেমনি দেশের নব্য সাহিত্যিকেরা সাহিত্যের বারোটা বাজিয়ে দিচ্ছে। তারা একজন আরেকজনকে কবি, গল্পকার, কথাসাহিত্যিক নাম করে ডাকে। তাদের এত আড়ম্বর কেন? তাদের লেখার মান তো উন্নত নয়। এর চেয়ে আমাদের সামু ব্লগে অনেক উন্নত মানের লেখক আছেন।

৫। কিছু মহিলা স্বামীর কল্যাণে বিদেশ গিয়ে- এমন চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে, শুনলে রাগ লাগে। উনারা নাকি আবার মস্ত বড় কবি সাহিত্যিক। একেক জনের দশটা পনেরটা করে বই বের হয়েছে। বই গুলো আবার নাম করা প্রকাশনি থেকে বের হয়েছে। আরে টাকা দিলে যে কোনো প্রকাশনি থেকে বই বের করা যায়। এখনকার প্রকাশকরা লেখার মান দেখেন না, দেখেন টাকার পরিমান। আর কিছু ছাগল আছে তাদের স্ট্যাটাসে বা ছবিতে ঝাকিয়ে পড়ে। সেদিন দেখলাম এক মহিলা বিকট মেকাপ করে একটা ছবি পোষ্ট করেছে। তাকে দেখাচ্ছে ডাইনীর মতো। কিন্তু ছবির নিচে প্রায় তিন শ' মন্তব্য পড়ে আমার মাথা নষ্ট। সবাই লিখেছে- দারুন, চমৎকার, অসাধারন। দেবী ইত্যাদি ইত্যাদি। এই তিন শ' মন্তব্যকারী কি মানূষ? একটা কুৎসিত ছবিকে কি করে তারা ভালো বলছে? তাদের সমস্যা টা কি?

(বিঃদ্রঃ ছবিটা দশ বছর আগের)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ৯:২৩
৩০টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×