১। মানুষকে ভালো ভাবতে হবে নিজের ভালোর জন্যই । নিজের ভেতরের শ্রেষ্ঠ বৃত্তিগুলিকে সক্রিয় রাখবার এই একমাত্র উপায় । ভয় ও সন্দেহ জীবনের পক্ষে মারাত্মক, বিশ্বাস না থাকলে জীবন অসুন্দর হয়ে পড়ে । খোশমেজাজ ও বহাল তবিয়ত নষ্ট হয় । আর তা নষ্ট হলে মানুষের ভালো কাজেরও মূল্য দেওয়া যায় না ।
২। রাস্তা দিয়ে যাবো অথচ তোমার সাথে দেখা হবে না
এমন যেন কোনোদিনও, কখনও না হয় ।
যে রাস্তা দিয়েই যাই- তুমি সেখানেই থেকো ।
৩। চোখের নীচে কালি আসলে মনে করতেই হবে যে- ভেতরে ক্লান্তি জমেছে । ভেতরের জমে ওঠা ক্লান্তি গুলোর ছায়াটাই চোখের নীচে এসে জমে ।
৪। "তেরী আখোকী কুছ কসুর নেহি
মুঝেই খারাব হোনা থা ।"
এটার সুন্দর বাংলা কি হবে?
৫। বড় কর্তার রিভলভিং চেয়ার, থানার দারগা, জর্জ-উকিল, বাড়ির গৃহিনী, ধারদাতা, মুদি দোকানদার, ইলেকট্রিক বিল, রাস্তার পাগলা কুকুর, বিয়ের দাওয়াত, আত্মীয়, বঙ্গোপসাগরের নিন্মচাপ, বাজারের দরদাম - কোনো কিছুকেই আমি আর ভয় পাই না । সব কিছুর ক্যামোফ্লেজ আমি ধরে ফেলেছি ।
৬। গতকাল দুপুরবেলা ভাত খেয়ে হঠাৎ টিভি দেখতে দেখতে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর ঘুম। ঘুমের মধ্যে স্বপ্নে দেখলাম রবীন্দ্রনাথকে। স্বপ্নে রবীন্দ্রনাথ কবি নয়, তিনি একজন দাঁতের ডাক্তার। আমি তার চেম্বারে বসে আছি। তিনি আমার দাঁত ফেলবেন। রবীন্দ্রনাথ বললেন- ভয়ের কিছু নেই। তুমি বুঝতেও পারবে না দাঁতটি আমি কখন তুলে ফেলেছি। আমি বললাম, তবু আমার ভয় লাগছে ডাক্তার রবি। দাঁতের গোড়ায় ইনজেকশন - ওরে বাপরে! আমি মরে যাবো। রবীন্দ্রনাথ বললেন- এতই যখন ভয় পাচ্ছো, এক কাজ করো, খানিকটা ব্র্যান্ডি খেয়ে নাও। ব্র্যান্ডি খেলে দেখবে সাহসটা বেড়ে গেছে। আমি ডাক্তার রবীন্দ্রনাথের দেওয়া ব্র্যান্ডি খেলাম। রবীন্দ্রনাথ বললেন- এবার সাহসটা বেড়েছে তো? আমি বললাম, বেড়েছে মানে? দাঁতের গোড়ায় একবার হাত লাগিয়ে দেখুন না, এক ঘুষিতে আপনার সব ক'টি দাঁত আমি গুঁড়ো করে দিব।
বিঃদ্রঃ ছবিটা এয়ারপোর্ট এর পেছন দিক থেকে তুলেছি।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ সকাল ৯:৩৭