ধরো, তুমি বসিয়া বসিয়া থিলার ফিল্ম দেখিতেছ। বড় ভাই আসিয়া কহিল, বের হইতে হবে কোন কাজে জরুরী। তুমি রিকশাতে উঠিয়াছো কাজটি সাধনের জন্যে যাইতেছো। তোমার কি আনন্দ লাগিবে?
-না।
পাইলট প্লেন চালাইয়া মজা পাইতেছে না। কিন্তু যাত্রী মজা পাইতেছে। কারণ জান কি?
-না।
কারণ হলো, পাইলট বা রিকশাওয়ালা বা তুমি কাজটাকে কাজ হিসেবে লইয়াছ। কাজ মনে করিয়া কাজ করিতেছো বলিয়া কষ্ট পাইতেছো। শান্তি মনে করিয়া সাধন করো। সত্যিই শান্তি পাইবে।"
মানুষ শান্তি পেতে চায়। সারাজীবন দুঃখ কষ্টে উপার্জন করে সঞ্চয় করে। কারণ, সে তার ছেলে মেয়েদের শান্তি দিতে চায়। সে শান্তির গুরুত্বও বোঝে।
অনেকের ধারণা, এই শান্তি খুব জটিল একটা জিনিশ। তার ধারণার কারণ, সে শান্তির জন্যেই কষ্ট করে। সারারাত পড়ে। কারণ, সকালের পরীক্ষার ফলাফল যাতে শান্তির যোগান দেয়।
আপনি বিরক্তিকর ভাবে বসে আছেন। মনে করুন শান্তিতে আছেন। দেখবেন, শান্তি পাচ্ছেন।
যে সিএনজি ভাড়ার জন্যে ঝগড়া করছেন, তার সাথে শান্ত হয়ে কতক্ষণ কথা বলুন। দেখবেন শান্তি পাচ্ছেন। শান্ত হোন, দেখবেন শান্তি পাচ্ছেন।
তারপরও কারো শান্তি পেতে প্রবলেম হলে আমাকে বলুন। আপনাকে একটি সুন্দর সমাধান দেবো।
- ‘যখন শেষ গাছটি কেটে ফেলা হবে, যখন শেষ মাছটি খেয়ে ফেলা হবে, যখন শেষ বিন্দু পানিও বিষাক্ত হয়ে যাবে, তখন বুঝবে টাকা খাওয়া যায়না। অর্থাৎ টাকাও মুল্যহীন।’ আসুন টাকা নয়, পৃথিবীতে মানুষকে খুঁজি। তাঁদের সম্মান করি। এটাই মনে শান্তি নিয়ে আসবে।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৭