somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই হইলো অবস্থা

১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মন্ত্রী কইছিল এই রোজায় জিনিসপত্রের দাম বাড়বো না। কঠিন হুশিয়ারীও দিছে কিন্তু তার কথা এবং হুশিয়ারীতে কোনো কাজ হয় নাই। বাজারে গেছিলাম, কপাল ভালো যে মাথা ঘুরিয়ে পড়ে যাই নাই। প্রতিটা জিনিসপত্রের দাম বাড়ছে। অনেক বেশী করেই বাড়ছে। বাজার না করে এক ডজন ডিম নিয়ে বাসায় ফিরে আসছি। সরকার বাজার মনিটরিংও করতাছে, ফলাফল তো শূন্য। ভাবছিলাম রোজায় একটু ভালো মন্দ বাজার করবো কিন্তু পারলাম না। প্রতি বছর'ই মন্ত্রী একই কথা কয়, আমরা ছাগলের মতো বিশ্বাস করি। বাজারে গিয়া ধরা খাই। ছয় শ' গ্রাম দুইটা ইলিশের দাম চাইলো আঠারো শ' টাকা। গরুর মাংস এক কেজি কিনলে বাসায় এসে ফেলে দিতে হয় একপোয়া। প্রতিটা জিনিস কিনলে ঠকতে হয়। মাপেও কম দেয়। মন চায় সরকারকে বাপ মা তুলে গালাগালি করি।

প্রতিদিন সকালে বাসের জন্য লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। অনেক অনুরোধ করি। ভাই অফিসে যাবো একটু চেপে দাড়ান। ভেতরে তো জায়গা আছে। তারা আমার কথা শুনেও না শোনার ভান করে। সব শুয়োরের বাচ্চারা গেটের সামনে জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ভেতরে চাপে না। বাসে উঠলেই মানুষ গুলো কেমন অমানুষের বাচ্চা হয়ে যায়। বাসের সামনে মেয়েদের ছিট থাকে, সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে খুব মজা। বাস চললে মেয়েদের বুক কাপে উপর থেকে দাঁড়িয়ে দেখতে খুব মজা। শুয়োরের বাচ্চারা বুঝে না, তাদের গন্তব্যে যাওয়াটা যেমন জরুরী, আমারও গন্তব্যে যাওয়াটা জরুরী। ভেতরে জায়গা থাকা সত্বেও যারা বাসে উঠেই গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এবং অন্যকে উঠার সুযোগ দেয় না, তারা অবশ্যই শুয়োয়ের বাচ্চা। অমানুষের বাচ্চা। আর এই শুয়োরের বাচ্চার সংখ্যাই সবচেয়ে বেশি। হয়তো এই শুয়োরের বাচ্চার বউ আছে, বাচ্চা আছে। সুন্দর একটা সংসার আছে। কিন্তু বাসে উঠলেই মন মানসিকতা একদম নিচে নেমে যায়। একদম শুয়োরের বাচ্চা হয়ে যায়।

আমি তো মনে করতাম ভদ্রলোকেরা হোন্ডা চালায়। এখন দেখি তারা বিরাট বদ। এমনিতে তারা খুব ভালো। তাদের বন্ধু বান্ধব আছে, আত্মীয় স্বজন আছে, ঘর সংসার আছে। কিন্তু তারা বাইক নিয়ে রাস্তায় বের হলেই কেমন অমানুষ হয়ে যায়। সবচেয়ে বেশি মেজাজ খারাপ হয় বাইকওয়ালা অপ্রয়োজনেও প্রচুর হর্ন দেয়। বিকট হর্ন। আরে গাধা তুই বারে বারে বিকট হর্ন দিলেই কি রাস্তার জ্যাম কমে যাবে। বাইকওয়ালা গাধা গুলা খুব বেশি অস্থির। রাস্তায় বের হলেই তারা অমানুষের মতো আচরন করে। বিকট হর্ন দিতেই থাকে। দিতেই থাকে। ফুটপাতে বাইক উঠিয়ে দেয়। রাস্তায় জ্যাম থাকলে চিপা গলিতে ঢুকে যায়। আরে বাবা চিপা গলি আস্তে আস্তে যা। কিন্তু না তারা বিকট হর্ন দিতে দিতে যায়। ফাক পেলেই ঢুকিয়ে দেয়। লেগে যায় গিট্রু। তারাই গিট্রু লাগিয়ে দেয়, আবার তারাই খুব চিৎকার চেচামেচি করে। তেজ দেখায়। ইদানিং মনে হয় মানুষের হাতে পয়সা বেশি হয়েছে। রাস্তায় বের হলেই হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ বাইক দেখা যায়। এদের যন্ত্রনায় চলাচল করা যায় না।

ফুটপাতে দোকান। আবার দোকানের জিনিসপত্র বের করে অর্ধেক ফুটপাত দখল করে রাখে। তাহলে মানুষ হাটবে কি করে? ফুটপাতের চায়ের দোকানে পাচ জন সাত জন ভদ্রলোক মিলে দাঁড়িয়ে চা খায়। তারা পুরো রাস্তা দখল করে নেয়। তাহলে পথচারী হাটবে কি করে? আরে ছাগলের দল নূন্যতম জ্ঞান বুদ্ধি কি তোদের নেই? চিপা গলি, এই গলির মধ্যে কমপক্ষে দশজন ভ্যান গাড়িতে নানান রকম সবজি আর ফলমুল নিয়ে বসে আছে। এদিকে আবার রাস্তা খোড়াখুড়ি চলছে। আশে পাশের নির্মাণাধীন বাড়ি ঘরের ইট বালু রোড রাখা। এই গলিতে আবার বাচ্চাদের স্কুল আছে সারাটা দিন চেচামেচি আর জ্যাম লেগেই থাকে। আর বৃষ্টির দিনে দুর্ভোগ চরম আকার ধারন করে। এর মধ্যেই পুলিশ আসে গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে একজন পুলিশ নেমে সবার কাছ থেকে এক শ' করে টাকা নিয়ে বীরের বেশে চলে যায়। এইভাবেই চলছে প্রতিটা দিন। কেউ কিচ্ছু বলে না। সাধারন মানুষের জীবন শেষ অথচ দেশ নাকি উন্নয়নের মহাসড়কে। ফাজলামোর একটা সীমা থাকা দরকার।

আসলে মানুষ আর মানুষ নাই। শুয়োরের বাচ্চা হয়ে গেছে সব। এখন আর কিছুতেই মানুষকে সৃষ্টির সেরা জীব বলা যাবে না। মানুষ নিচে নামতে নামতে অনেক নিচে নেমে গেছে। আরেক শ্রেনীর শুয়োরের বাচ্চা আছে তারা রাস্তায় মেয়ে দেখলেই এমন কুতসিত ভাবে তাকায় ইচ্ছা করে জুতা দিয়ে মারি। এই শুয়োরের বাচ্চা গুলো কি তাদের মা বোনদের দিকেও এইভাবে তাকায়? একটা মেয়ের সাথে তার স্বামী থাকুক, ভাই থাকুক, বাবা থাকুক, মা থাকুক যে'ই থাকুক শুয়োরের বাচ্চা গুলো কুৎসিতভাবে তাকাবেই। সেদিন আমি আর সুরভি যাচ্ছিলাম রাজারবাগ পুলিশ লাইনের সামনে দিয়ে। এক শুয়োরের বাচ্চা পুলিশ কুৎসিতভাবে তাকিয়েই আছে। আমি বললাম, কি ভাই আমার বউয়ের চেহারা কি আপনার মা অথবা বোনের মতো তাই এভাবে তাকিয়ে আছে?

(বিঃ দ্রঃ আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে তাদের শুয়োর বলেছি। আমার পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। দেখে শুনে আর ঠিক থাকা সম্ভব না। যার উপরে পড়ে সেই'ই বুঝে।)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই মে, ২০১৮ বিকাল ৩:৫৩
৩৪টি মন্তব্য ৩৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

খুলনায় বসবাসরত কোন ব্লগার আছেন?

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:৩২

খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় তথা কুয়েট-এ অধ্যয়নরত কিংবা ঐ এলাকায় বসবাসরত কোন ব্লগার কি সামুতে আছেন? একটি দরিদ্র পরিবারকে সহযোগীতার জন্য মূলত কিছু তথ্য প্রয়োজন।

পরিবারটির কর্তা ব্যক্তি পেশায় একজন ভ্যান চালক... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×