১। মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসাই পারে সকল সমস্যার সমাধান করে দিতে। সম্পূর্ণ অপরিচিত একজন মানুষের প্রতি অন্য একজন অপরিচিত মানুষের ভালোবাসা দেখলে আনন্দে চোখ ভিজে উঠে। মানুষের সবচেয়ে বড় অস্ত্র'ই হচ্ছে- ভালোবাসা। আর দুনিয়ার সবচেয়ে সস্তা ভালোবাসা হচ্ছে- এযুগের ছেলে-মেয়েদের ভালোবাসা।
২। একটা মেয়ের জন্যে কেউ নিরাপদ না। শিক্ষক, সহপাঠী, বন্ধু, বয়-ফ্রেন্ড, এলাকার ছেলে, আত্মীয়- পুরুষ, চাচা-মামা-খালু, দুলাভাই কেউ না। কর্মক্ষেত্রে কলিগ, অফিসের বস- সুযোগ পেলেই মিষ্টি হাসি ঝেড়ে ধর্ষকের রূপ ধরতে মুহূর্ত দেরি করেন না। বাসের হেল্পার, ক্যান্টিনবয়, হাসপাতালের ঝাড়ুদার, বাসার দারোয়ান কিংবা অফিসের পিয়ন- ওটার ব্যবহারে কেউ কারো চেয়ে পিছিয়ে থাকতে রাজী নয়।
চায়ের আড্ডায়, ফেসবুকে এবং অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমরা ধর্ষণ নিয়ে নানান পন্ডিতি মার্কা আলাপ করি। কিন্তু এই ধর্ষণের জন্য- আপনি আমি আমরা সবাই কোনো না কোনোভাবে দায়ী। আমরা তো এই সমাজেরই লোক।
৩। বাংলাদেশের মানুষ ছবি তুলতে খুব পছন্দ করে। কোন এক লোকের বাড়িঘর আগুনে পুড়ে যাচ্ছে, সে পাগলের মতো ছোটাছুটি করছে, তার মধ্যেও পত্রিকার কোন ফটোসাংবাদিক যদি ছবি তুলতে চায় সে কিন্তু হাসি মুখে ছবি তুলবে।
১৯৭১ সালে পাকিস্তান আর্মি আমাদের দেশের অনেক মানুষকে ফায়ারিং স্কোয়াডে গুলি করে মারে। পাক আর্মির ফটোগ্রাফার তখন কিছু কিছু ছবিও ক্যামেরায় তোলে। সেই সব ছবিতে অনেককে দেখা গেছে মুখে হাসি নিয়ে ছবির পোজ দিয়েছে।
৪। রাস্তায় বের হলেন গাড়ি নিয়ে ।সুন্দর একটি মেয়ে লিফট চাইল, দিলেন লিফট, হটাৎ মেয়েটি গেল অসুস্থ হয়ে, নিয়ে গেলেন হাসপাতালে।কিছুক্ষণ পর ডাক্তার এসে বলল, "মোবারক হোক, আপনি বাবা হতে চলেছেন" শুরু হল টেনশন। টাশকি খেয়ে বললেন, আমি উনার স্বামী নই। কিন্তু মেয়েটি জোর দিয়ে বলতে লাগলো, আপনি তার স্বামী। টেনশন বাড়তে লাগল। পুলিশ আসল এবং আপনার মেডিকেল চেক-আপ হল। রিপোর্ট আসল, আপনি কোনদিন বাবা হতে পারবেন না । নেও বাবা, টেনশন গেল বেড়ে । হাফ ছেড়ে বেচে হাসপাতালের বাইরে এসে চিন্তা করতে লাগলেন.… ঘরে দুই বাচ্চা, তাহলে এই গুলো কার ???
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০১৮ সকাল ১০:৩২