১। একটা ছোটগল্প লিখবার জন্যে যে পরিশ্রম করতে হয়, তা অনেকটাই একটা নূতন উপন্যাস শুরু করবার মতই। বিশেষ করে গল্পের প্রথম প্যারাটা তৈরি করতে হয় খুবই যত্ন সহকারে। কারণ গল্পের গঠন, ভাষ্য, আঙ্গিক, রিদম বা ছন্দ, দৈর্ঘ, এমনকি মুখ্য চরিত্রের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্যগুলিও সেই প্রথম প্যারাতেই ফুটিয়ে তুলতে হয়। এই কাজটা ঠিকঠাক মত শেষ করতে পারলে গল্পের বাকি অংশ গল্প বলার আনন্দেই তরতরিয়ে এগোয়। সেটা বর্ণনাতিত এক আনন্দময় অভিজ্ঞতা!
----গ্যাব্রিয়েল গারসিয়া মারকেজ।
২। ''পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল''।
এই গানটা শুনলে রক্ত ঝিম ঝিম করে উঠে।
৩। হেমিংওয়ে বলতেন, তুমি চোখ দিয়ে যা দেখো, ইন্দ্রিয় দিয়ে যা অনুভব করো, আঙুল দিয়ে যা স্পর্শ করো তার সবটুকুই পাঠক পাঠিকাকে দিবে, এমনভাবে দিবে যেন কিছুই বাদ না থাকে।
৪। স্বপ্নে দেখি-
আমার ৫ বছর বয়স। আমার হাতে একটা বই, বইয়ের নাম- 'চলো যাই চিড়িয়াখানায়। বই পড়তে পড়তে আমার ইচ্ছা হলো চিড়িয়াখায় যাব, আমি বাবা আর মা।
সকাল ৯ টায় রওনা দিলাম চিড়িয়াখনার উদ্দেশ্যে। বাসে ওঠার আগেই শুরু হলো প্রচন্ড বৃষ্টি। বৃষ্টি আর থামে না। বাবা-মা সিদ্বান্ত নিলেন এই বৃষ্টির মধ্যে আজ আর যাওয়া যাবে না। বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে আমরা বাসায় ফিরলাম।
চিড়িয়াখানায় যেতে না পেরে আমার অনেক মন খারাপ হলো। আমি ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে লাগলাম। আমার মা বলে উঠলেন, 'অ্যাই দ্যাখো! তোমার ছেলে কান্না শুরু করেছে।' আবার বাবা আমাকে বললেন, 'মন খারাপ কোরো না। আজ আমরা যেতে পারি নি সত্যি, কিন্তু পরের বার আমরা ঠিকই যাবো।'
৫। সে অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক রাজ্যে ছিল এক রাজকুমারী। তার ছিল খুব গল্প, কবিতা আর গানের শখ।পাশেই বনে রোজ বসতো পাখিদের কবিতা, গান, গল্পের আসর। হাজার রকমের পাখি আসতো সেখানে। লাল পাখি, হলুদ পাখি, কমলা পাখি ,সবুজ পাখি সারা পৃথিবীর সুকন্ঠি সব পাখি।রাজকুমারী মুগ্ধ হয়ে শুনত পাখিদের গল্প, কবিতা আর গান। সেও মাঝে মাঝে পাখিদের সাথে গলা ছেড়ে গান ধরত, মিহি কন্ঠে আবৃত করে যেতো কবিতা, সবাইকে সুন্দর সুন্দর গল্প বলতো। এক দিন কি হল রাজকুমারী পাখিদের সাথে গান গাইছে এমন সময় দেখে চিহি চিহি করে তাকে দূর থেকে ভেঙাচ্ছে এক বাঁদর।রাজকুমারী বাঁদরের দুষ্টমি দেখে হেসেই খুন। আর বাদরটিও দেখতে ছিল খুব কিউট। অন্য সব বাঁদরদের থেকে দেখতে অনেকটাই আলাদা। মাঝে মাঝে সে মানুষের মত দু পায়ে দাঁড়াতে পারে, কুস্তি করতে পারে, ভিন্দেশী ভাষায় কুটকুট করে কথা বলতে পারে। রাজকুমারী বাঁদরকে দেখে তো অবাক!
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:০৭