১। ইরানী মুভিগুলো দেখার পর মানবিক দিক দিয়ে খুব তাড়িত হই। তাড়িত হতে ভালো লাগে। আজ দেখলাম- 'The White Balloon' । এটা ১৯৯৫ সালের ইরানী ড্রামা মুভি । পরিচালনা করেছেন জাফর পানাহি। মুভির গল্প যেমন তেমন কিন্তু বাচ্চা দুইটার অভিনয় একদম চোখে লেগে থাকার মতো।
কাহিনি এই রকমঃ বাচ্চা মেয়েটি মায়ের হাত-পা ধরে তাকে একটা গোল্ড ফিশ কিনে দেবার জন্য। অভাবী মায়েদের মতো এই মা ও তার শিশুর আবদার পাশ কেটে যায়। কিন্তু মাকে অনেক কষ্টে পটিয়ে মেয়েটার বড় ভাই তাকে মাছে কেনার টাকা এনে দেয় । একটা ৫০০ টাকার নোট দেওয়া হয়, মাছের মুল্যবাবদ ১০০ টাকা রেখে তাকে বাকি টাকা ফেরত দিতে বলা হয়। বারবার স্মরন করিয়ে দেওয়া হয়, তার টাকা যেন না হারায়। কিন্তু মেয়েটা হারিয়ে ফেলে টাকা, আবার খুজেও পায়। মুল গল্প এই।
আগামীকাল দেখব- About Elly । এটাও ইরানী মুভি।
২। সে অনেকদিন আগের কথা, এক দেশে বাস করত এক রসায়নবিদ। সে ছিল অসম্ভব সুন্দর। সে এতটাই সুন্দর ছিল যে, তার সৌন্দর্য দেখতে আকাশের পরীরা নেমে আসতো পৃথিবীতে। সে যখন স্নান করত নদীতে- মৎস্যকুমারীরা তার চারপাশে খেলা করত আর তাকে ছুঁয়ে ধন্য হত। শুধু রসায়নশাস্ত্রে নয়, তলোয়ার বিদ্যাতেও তার পারদর্শিতা ছিল। দেশ বিদেশের সুন্দরী রাজকুমারীরা প্রস্তাব পাঠাত তাকে বিয়ে করার জন্য। তবে সব প্রস্তাবই ফেরত যেত, কেননা রসায়নবিদের এসব দিকে খেয়াল নেই। সে তার গবেষণা নিয়েই ব্যস্ত থাকত রাত-দিন।
৩। আমাদের দেশে একজন বীর পুরুষ ছিলেন, উনার নাম ঈসা খাঁ। মোগল সম্রাটদের মধ্যে সব চাইতে কির্তীমান বলে যাকে ধরা হয় সেই জালালউদ্দীন আকবর বশ্যতা স্বীকার করে খাঁজনা দিতে আদেশ দিলেন ঈসা খাঁ-কে। বরাবরই স্বাধীনচেতা বাংলার নেতা ঈসা খাঁ সেই আদেশে সাড়া তো দিলেনই না উল্টা যুদ্ধ ঘোষণা বসলেন। ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে উঠলেন সম্রাট আকবর।...
বাংলার নেতাকে শায়েস্তা করার জন্য আকবর পাঠালেন তার সর্বাধিক বিশ্বাসভাজন রাজপুত সেনাপতি মানসিংহকে। বাংলার মানুষও লেজ গুটিয়ে পালানোর নয়, বীরের বেশে অস্ত্র ধারণ করে প্রতিরোধ গড়ে তুললো ঈসা খাঁ-র নেতৃত্বে।...
শেষে তারা দুইজন আর যুদ্ধ করেন নি। দু'জন মিলে আপোষ করে ফেলেন।
সত্যিই বীর সেইই যে নিরস্ত্র, অসহায়, দুর্বলের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেনা। আর কাপুরুষ সেইই যে সুযোগ পেলেই নিরস্ত্র, অসহায়, দুর্বলের বিরুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই জুলাই, ২০১৮ সকাল ১১:১১