somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে এমন একজন লেখক- হুমায়ূন আহমেদ

১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ১:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



হুমায়ূন আহমেদ- আমার কাছে তিনি পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম লেখক। হয়তো আজীবন লিখলেও উনার সম্পর্কে আমার সব অনুভূতি বোঝাতে পারব না।

চোখ ভরতি জল নিয়ে আপনাকে বিদায় জানিয়েছিলাম- ভালোবাসা নিয়ে শ্রদ্ধায় মাথা নত করলাম। আপনার এক একটা বই পড়তাম আর সেই বইয়ের- ঘোর কাটাতে আমার অনেকদিন লাগতো। বস্তুত আপনার কাছ থেকে যা পেয়েছি- তা পরিমাপ করার সামর্থ্যও কারো নেই! দুঃখ একটাই এই বাংলায়, এত চমৎকার আর সাবলীলভাবে গল্প বলার আর কেউ রইলো না!

জীবনকে বোঝার জন্য- জীবনকে উপভোগ করার জন্য, হুমায়ুন আহমেদ একটি প্রতিষ্ঠান-একটি আশ্রয়স্থল। এই দিনে মনটা খুব অস্থির হয়ে থাকে... কেমন এক অসহায় এক আকাশ শুন্যতা ভর করে বুকে। কখনও হতে চাইনি- নজরুল অথবা আইনস্টাইন, হতে চেয়েছি সচেতনভাবে- হিমু। স্যালুট হুমায়ূন আহমেদ আপনাকে, কোনদিনও আপনাকে ভুলতে পারব না।

মাঝে মাঝে আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবি কোথায় পাব এই মহাপুরুষকে? পরম করুনাময় আমায় সেথা নিয়ে যাও, যেথা তাকে পাব। আপনাকে মনে রাখতে হবে পাঠকদের আর এই বাংলার জোছনা, বৃষ্টি এবং কদম ফুল। হে কীর্তিমান! তোমার কীর্তি গাঁথা বেঁচে থাকবে... থাকবেই। হুমায়ূন আহমেদের একটা স্বপ্ন ছিলো। তা হলো একটি ক্যান্সার হাসপাতাল তৈরি করা। আমি অপেক্ষায় আছি কবে সেটার কাজ শুরু হবে..... কবে আমরা একটি ক্যান্সার হাসপাতাল দেখতে পারবো... স্যার নিজেও মনে হয় অপেক্ষায় আছেন। কিছু চেংড়া পোলাপান বেশ কিছুদিন লাফালাফি করেছিল ক্যান্সার হাসপাতাল নিয়ে- আজ তারা কোথায়? ছয় বছর পার হয়ে গেল।

একটা সময় ছিল হিমু সেজে দিন-রাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরতাম। স্যার আপনার জন্য আমার কলিজা ছিঁড়ে যাচ্ছে। আপনার সমতুল্য আর কেউ নেই। আমার চোখে আপনি একজন মহাপুরুষ। শব্দের এই যাদুকরের কাছে অনেক অনেক ঋণ। একবার ভাবুন, হুমায়ুন আহমেদ বলে কোনো লেখকের জন্ম হয়নি। তাহলে কেমন হত? এরকম ভাবলেই বুকের মধ্যে মোচড় দিয়ে ওঠে।

যারা টিভিতে হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস নিয়ে নাটক তৈরি করেন- দয়া করে আপনারা স্যারের উপন্যাস নিয়ে আর নাটক বানাবেন না। আপনারা যা তৈরি করেন- তা পুরাটাই অতি অখাদ্য। খুব বিরক্ত লাগে। আমাদের মেজাজ খারাপ করে দেয়ার অধিকার আপনাদের নেই। হুমায়ূন আহমেদের পরিচালনা করা নাটক গুলো বারবার দেখলেও একটুও বিরক্ত লাগে না বরং আনন্দের মাত্রা বেড়েই চলে কিন্তু আপনারা যারা স্যারের নাটক তৈরি করেন- তাদের উপর প্রচন্ড মেজাজ খারাপ হয়। ১০০ বছর চেষ্টা করলেও স্যারের মতন পারবেন না। দয়া করে সুন্দর একটা উপন্যাস- নাটক বানিয়ে আমাদের মেজাজ খারাপ করবেন না।

১৯৪৮ সালের ১৩ নভেম্বরের পরে আজ পর্যন্ত হুমায়ূন আহমেদের মত আর একজন সাহিত্যিক জন্মেনি আমাদের দেশে। মৃত্যুর ওপারে ঠিক কেমন আছেন জানিনা। তবে পৃথিবী থেকে যে ভালবাসা আর দোয়া নিয়ে বিদায় নিয়েছেন তাতে বিধাতা আপনাকে ভালো'ই রাখার কথা। স্যার জানেন, পড়াশোনায় আমি কখনো খুব ভালো ছিলাম না। কিন্তু “হোটেল গ্রেভারইন”-এ আপনার শূণ্য থেকে একশ পাবার ঘটনা পড়ে আমি নিজেকে অনুপ্রাণিত করেছিলাম। অনেকবার ব্যর্থ হয়েছি, কিন্তু বারে বারে মনে হয়েছে, এই যে, আবারো শুরু করা যাবে।

মেঘের উপরের বাড়িতে" পরম করুণাময় আপনাকে শান্তিতে রাখবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৮ দুপুর ২:০৩
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×