১। লোকে যে কেন বসন্তের গুনগান করে বুঝতে পারি না । কালিদাসও করেছিলেন । বসন্তের বিরুদ্ধে আমার কোনো নালিশ নেই । কিন্তু শরৎ সবার ঊর্ধ্বে । সারা বছর শরতের দেশ থাকলে আমি সেখনকার সিটিজেনশীপ নিয়ে নিতাম । হে প্রভু, আমি যেন শরতে মরি !
শরৎটাকে অনুভব করতে জানতে হয় ।ঢাকায় প্রকৃতি নেই, তবু ভালো করে খেয়াল করে দেখো- আকাশ কী অলৌকিক নীল এবং রোদ কী স্বচ্ছ !! শরতে দারুন মোহময় সকাল অথবা বিকেলটা কোনো ফোটোগ্রাফার কি তার ক্যামেরায় বন্ধী করতে পারবে ? কোনো ফোটোগ্রাফারের সাধ্য নেই তা ছবিতে ফুটিয়ে তোলার । কোনোও মহৎ শিল্পী পারবে না, কবিও পারবে না, কেউ পারবে না। এখন মনে হচ্ছে-পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় আটিস্ট হলো- প্রকৃতি ।
২। একজন নবীর গায়ে মোট ৪০ জন পুরুষের সমান শক্তি থাকে। অনেক নবীর আশ্চর্যজনক শারিরীক শক্তির কথা কোরআন হাদীসে পাওয়া যায়।যেমন দাউদ আলাইহিস সাল্লাম উনার সময়ের কাফের বাদশাহ জালুতকে জিহাদের ময়দানে মাত্র ৩ টা পাথরের টুকরার আঘাতে হত্যা করে ফেলেছিলেন। যদিও বাদশাহ জালুতের পুরা শরীর লোহার বর্ম দ্বারা ঢাকা ছিল। হযরত মুসা আলাইহিস সাল্লাম বনী ইসরাইল বংশের এক ব্যক্তিকে বাঁচাতে গিয়ে ফেরাউনের গোত্রের একব্যক্তিকে সামান্য একটা চড় মেরেছিলেন। আর মুসা আলাইহিস সাল্লামের সামান্য একটি চড়ের আঘাতেই ঐ ব্যক্তিটি মারা যায়।
খন্দকের যুদ্ধে পরিখা খননের সময় যেই পাথর সকল সাহাবীরা সম্মিলিত ভাবেও ভাঙতে পারছিল না সেই পাথর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মাত্র ৩ টা হাতুড়ির আঘাতে চূর্ন বিচূর্ন হয়ে যায়। মক্কার রুকানা নামক একজন বড় কুস্তিগীর ছিল। যাকে হযরত ওমর রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে শুরু করে কেউ কুস্তিতে হারাতে পারেনি। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সেই রুকানা কুস্তীগীরকে পরপর ৩ বার কুস্তিতে হারিয়েছিলেন যা দেখে মক্কার সকল কাফেররাও অবাক হয়ে গিয়েছিল। তাই রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শারিরীক শক্তি আমাদের থেকে অনেক অনেক বেশি ছিল এতে কোন সন্দেহ নাই। একজন পুরুষ যদি তার শারিরীক শক্তির তুলনায় একটি বিয়ে করেন তাইলে তো সেই হিসাবে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আরো অনেক গুলি বিয়ে করার কথা।
৩। কবি জীবনান্দ দাশের মত হলো- সকলেই কবি নয়, কেউ কেউ কবি।
কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মত হলো- সকলেই কবি, কেউ কেউ নয়।
কবিতা অনেকেই লিখেন, কিন্তু শিল্পের বিচারে সব কবিতা উর্ত্তীণ হয় না। সে কারণে অবশ্য কবিতা লিখলেও সকলেই কবি নন। সে যাই হোক, কিছু কবিতাপ্রেমী মানুষ আছে যারা কবিতা লিখেন, কবিতা পড়েন, কবিতা ভাবেন। বাংলা কবিতার শুরু যে কবিতা, সেই চর্যা পদের কবিতাগুলো সুর করে গাওয়া হতো। বৌদ্ধ সহজিয়া সাধকেরা গাইতেন। কবিতা ও গানের সম্পর্ক তাই যমজের মতো।
৪। পৃথিবীর ঋণ তুমি কতটা শোধ করেছো ?
আমার মনে হয়- এই পৃথিবীর কাছে প্রত্যেকটা মানুষই নানা ভাবে ঋণী । যে যেমনই হোক, যত বড় বা ছোট, তার উচিত সেই ঋণ একটু করে শোধ করা । রোজ শোধ করা । যে-মানুষ পৃথিবীর ঋণ শোধ করে না, কিন্তু সুখ ভোগ করে, ঐশ্বর্য সঞ্চয় করে- সে একজন লুটেরা ।আর যাই করো, শুধু নিজেকে নিয়ে থেকো না মানুষ ।
মানুষ চোখ দিয়ে দেখে, বুদ্ধি দিয়ে বিচার করে । কিন্তু চোখ আর বুদ্ধিই তো সব নয় । অনুভব করতে হয়। ভাবতে হয় । বিশ্বজগতের সঙ্গে নিজেকে একাকার করে দিতে হয় ।
ছোট ছোট বাচ্চাদের সাথে তাদের খেলনা দিয়ে খেলতে আমার অনেক ভালো লাগে । ব্যাটারি চালিত ভিডিও গেমস, রিমোট চালিত গাড়ি অথবা হেলিকাপাটার- বাচ্চাদের সাথে খেলায় মেতে উঠি। তাতে আমার মাথার ভার কমে যায়, মন হালকা হয় । শৈশবের পৃথিবীটা অনেক সুন্দর । বড় হয়ে গেলেই পৃথিবীটা বিচ্ছিরি হয়ে যায় ।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০২