somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

হার্ট অ্যাটাক হলেই সবসময় বুকে ব্যথা হয় না

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



১। নিশীথিনী বসে আছে ধানমন্ডি লেকে । তার আশে-পাশে আরো অনেক মানূষ । সে খুব মন দিয়ে আশে পাশের সবার কর্মকান্ড দেখছে । কিন্তু তার পাশে যে একটা অচেনা ছেলে বসে আছে সেদিকে তার লক্ষ্য নেই । নিশীথিনী অনেকক্ষন পর ছেলেটিকে লক্ষ্য করে । ছেলেটি আপন মনে বাদাম খাচ্ছিল । ছেলেটির দিকে তাকিয়ে নিশীথিনী বলল- এত জায়গা থাকতে আপনি আমার পাশে এসে বসেছেন কেন ? ছেলেটি একটূ হেসে বলল- ম্যাডাম আমি আপনার পাশে এসে বসিনি, আপনি আমার পাশে এসে বসেছেন । আমি আধা ঘন্টা ধরে এখানে বসে আছি । আপনি তো আসলেন মাত্র । নিশীথিনী ধমক দিয়ে বলব- চুপ আর একটা কথা না । বদ পোলা ।

২। গতকাল রাতে স্বপ্নে দেখি- আমি আমার সব প্রিয় মানুষ ছেড়ে জঙ্গলে চলে গেছি। একা একা থাকি। ক্ষুধা পেলে বন থেকে ফল-টল সংগ্রহ করে খাই। রাতে চিন্তাহীন ঘুম দেই। বনের পশুদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়েছে- তারা আমার কোনো ক্ষতি করবে না। ছেড়ে আসা কোনো প্রিয় মানুষের কথা ইচ্ছা করেই মনে আনি না। অনেক রাত পর্যন্ত নদীর ধারে টীলার উপর বসে থাকি। আকাশের তারা দেখি। ব্যাপক আনন্দ! হঠাৎ কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে হাজির। মেয়েটাকে একটা বাঘ তাড়া করেছে- মেয়েটি আমার সামনে এসে, আমাকে বলল- বাঘ! বাঘ! আমাকে বাঁচাও ।
আমি বললাম কোনো ভয় নেই- আমি আছি। আমি মেয়েটির হাত ধরলাম, মেয়েটি ভয়ে কাঁপছিল। বাঘটি এসে আমাকে দেখে চলে গেল। এমন ভাব যেন- ওস্তাদ স্যরি...ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করবেন। তারপর সারারাত মেয়েটির সাথে অনেক গল্প করলাম। মেয়েটির অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে অনেক আদর করলাম।

তারপর বনে আমাদের সংসার জীবন শুরু হলো। দুই বছরের মধ্যে তিনটা বাচ্চা হলো। প্রথম বছর দু'টা জমজ বাচ্চা পরের বছর একটা। খুব আন্দময় জীবন। জঙ্গলে জ্যাম নেই, লোডশেডিং এর চিন্তা নেই। চুরী, ছিনতাই এর ভয় নেই। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বৌ এর শপিং এর ঝামেলা নেই। মোবাইল নেই। হরতাল নেই। কেউ কুপিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয় নেই।
বঙ্গোপসাগর থেকে মাছ ধরি বৌ আগুনে পুড়ে দেয়- ফরমালিন মুক্ত মাছ, আহ! ফরমালিন মুক্ত ফল। বাচ্চা গুলোও খুব নাদুস-নুদুস হয়েছে। রাতের বেলা বৌ গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়- "ঐ পাথুরে শহর ছেড়ে সবুজ তেপান্তরে/ স্বপ্ন কিছু সাজিয়ে নিতে সুখের বন্যা ধারায়/ শেষ হবেনা কোন দিন যুগল পথচলা।"

৩। খবরের কাগজে পড়লাম, এক বিদেশি জাহাজ মধুমতি নদীতে একটু একটু করে ডুবে যাচ্ছে। সেই ডুবে যাওয়া জাহাজ দেখার জন্য আমি ছুটে চললাম- মধুমতি নদীতে।

জাহাজ এর নাম স্টিব অস্টিন। আমি মধুমতি'র পাড়ে দাঁড়িয়ে সত্যি সত্যি দেখলাম, জাহাজটি অর্ধেক ডুবে গেছে। আমি একটি নৌকা ভাড়া নিয়ে জাহাজটির সামনে যেতেই- এক পুলিশ অফিসার বলল- না, জাহাজের কাছে যাওয়া যাবে না। নো, নেভার।

আমার নৌকার মাঝি বলল- আপনাকে আগেই বলেছিলাম- ওই জাহাজের সামনে যাওয়া নিষেধ আছে। পুলিশটি সমানে চিৎকার করে যাচ্ছে। আমি মাঝিকে সাহস দিয়ে চলে এলাম একদম জাহাজের সামনে। লাফ দিয়ে জাহাজে উঠে পড়লাম।

পুলিশ অফিসারটি বলল, সাহস করে চলেই যখন এসেছেন, তাহলে দুপুরে আমার সাথে ভাত খান, খুব খুশি হবো। মেন্যু অতি সামান্য। ইলিশ মাছের ডিম দিয়ে করলা ভাজি, আর ডাল। হঠাত আমার মনে হলো- পুলিশ অফিসারটি চাচ্ছে- আমি যেন এই ডুবে যাওয়া জাহাজটির সাথে তলিয়ে যাই।

ভালো করে লক্ষ্য করে দেখলাম- পুলিশ অফিসারটি আমার পূর্ব পরিচিত। সে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বলছে- ধ্রুন, আমার হাত ধরুন, নয়তো আপনি ডুবে যাবেন। সময় খুব কম। আমি এক আকাশ বিস্ময় নিয়ে পুলিশ অফিসারের চোখের দিকে তাকিয়ে আছি। ঠিক তখন কে যেন আমার কানে ফিস ফিস করে বলল- ''প্রিয়, ফুল খেলবার দিন নয় অদ্য, ধ্বংসের মুখোমুখি আমরা''।

ঘুম ভেঙ্গে গেল। সারা শরীর ঘামে ভেজা। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ভোর চারটা। সুরভি গভীর ঘুমে। আমি ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালাম, আকাশ ফরসা হতে শুরু করেছে। ভোরের আকাশ দেখা- দারুন একটা ব্যাপার।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:২৬
২০টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×