১। সক্রেটিস বলেছিলেন, "আমি পৃথিবীতে সবচেয়ে জ্ঞানী। কারণ আমি অন্ততঃ এটুকু জানি যে আমি কিছু জানিনা"।
আমরা সিক্রেটিসের মত না। ''কিছু জানি না''- আমরা কেউ একথা মানতে রাজী নই। আমরা মনে করি, আমরা বহুকিছু জানি। অনেকেই অনেক-অনেক বেশী জানি। জানি বলেই তা অন্যকে জানাতে চাই। আর এই জানানোর মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছি সামু ব্লগ।
২। নিরপেক্ষ বুদ্ধিজীবী আমাদের নেই।
৩। মতিঝিল থেকে যাবো গাবতলী। আজ রাস্তায় ভয়াবহ জ্যাম। বাসে আমি কখনও ঘুমাই না। আজ ঘুমিয়ে পড়লাম এবং একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে ফেললাম।
স্বপ্নে দেখি- আমি আমার সব পরিচিত মানুষ ছেড়ে জঙ্গলে চলে গেছি। একা একা থাকি। ক্ষুধা পেলে বন থেকে ফল-টল সংগ্রহ করে খেয়ে নিই। রাতে চিন্তাহীন ঘুম হয়। বনের পশুদের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে গেছে- তারা আমার কোনো ক্ষতি করবে না বলেছে। ছেড়ে আসা কোনো পরিচিত মানুষদের কথা ইচ্ছা করেই মনে করি না। অনেক রাত পর্যন্ত নদীর ধারে টিলার উপর বসে থাকি। আকাশের তারা দেখি। ব্যাপক আনন্দ! হঠাৎ কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে হাজির। মেয়েটকে একটা বাঘ তাড়া করেছে- মেয়েটি আমার সামনে এসে বলল- বাঘ! বাঘ! আমাকে বাঁচান।
আমি বললাম কোনো ভয় নেই- আমি আছি। আমি মেয়েটির হাত ধরলাম, মেয়েটি ভয়ে কাঁপছিল। বাঘটি এসে আমাকে দেখে চলে গেল। এমন ভাব করলো যেন- ওস্তাদ স্যরি...ভুল হয়ে গেছে। ক্ষমা করবেন। তারপর সারারাত মেয়েটির সাথে অনেক গল্প করলাম। মেয়েটির অনুমতি নিয়ে মেয়েটিকে অনেক আদর করলাম।
তারপর বনে আমাদের সংসার জীবন শুরু হলো। দুই বছরের মধ্যে তিনটা বাচ্চা হলো। প্রথম বছর দু'টা জমজ বাচ্চা পরের বছর একটা। খুব আন্দময় জীবন। জঙ্গলে জ্যাম নেই, লোডশেডিং নেই, দুষ্টলোক নেই, চুরী, ছিনতাই এর ভয় নেই। দ্রব্যমুল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। বৌ এর শপিং এর ঝামেলা নেই। মোবাইল নেই। হরতাল নেই। কেউ কুপিয়ে মেরে ফেলবে এই ভয় নেই। সমুদ্র থেকে মাছ ধরি, বৌ আগুনে পুড়ে দেয়- ফরমালিন মুক্ত মাছ, আহ! ফরমালিন মুক্ত ফল। আমাদের বাচ্চা গুলোও খুব নাদুস-নুদুস হয়েছে। রাতের বেলা বৌ গান গেয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেয়- "ঐ পাথুরে শহর ছেড়ে সবুজ তেপান্তরে/ স্বপ্ন কিছু সাজিয়ে নিতে সুখের বন্যা ধারায়/ শেষ হবেনা কোন দিন যুগল পথচলা।"
৪। হাবলু কমোডে বসে তার নতুন আইফোন-৫ দিয়ে কথা বলছিল। হটাৎ তার ফোন নিচে কমোডে পড়ে গেলো। সে দুঃখে কষ্টে অনেক কান্নাকাটি করতে লাগলো। তখন হঠাৎ এক দেবতা আসলো পানি থেকে উঠে আর তাকে একটা সোনার আইফোন দিল। হাবলুর তখন কাঠুরের গল্প মনে পড়লো আর সে বলল “না এটা আমার না” । দেবতা তখন বলল, “আরে গাধা... এটা ধুয়ে তো দ্যাখ”।
৫। এক ছোকরার বিয়ে করার বড়ই শখ, তার মতে এতেই তার সকল সুখ নিহিত। কিন্তু কিছুতে হয়ে ঊঠছে না। ওদের পরিবার একমাত্র শ্রী হনুমানের পূজো করে- অন্যে দেবতা সেখানে কল্কে পান না - তাই ছোকরা ত্রিসন্ধ্যা তারঁই পূজো করে কাকুতি-মিনতি করে, “হে ঠাকুর, আমায় একটি বউ জুটিয়ে দেও গো”। ওদিকে নিত্য এমন ঘ্যানর ঘ্যানর শুনে হনুমানের পিত্তি চটে গিয়েছে। শেষটায় একদিন স্বপ্নে দর্শন দিয়ে হুঙ্কার দিলেন, “ওরে বুদ্ধু, বউ যদি জোটাতেই পারতুম, তবে আমি নিজে বিয়ে না করে confirmed bachelor হয়ে রইলুম কেন?
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২৯