১। হাসান রাজার একটি গানের লাইন- ''ঘুড্ডি উড়াইলো মোরে মৌলা'র হাতে ডোরী''
ভাবার্থ হলো- একটি ছেলের হাতে সূতায় বাঁধা উড়ন্ত ঘুড়ি যেরুপ, আল্লাহর হাতে মানুষও সেরুপ।
অর্থাৎ মানুষ যখন আত্মাতে নিবিষ্ট হয়, তখন সে সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে তার সম্পর্ক খুঁজে বেড়ায়।
২। বাংলাদেশ গর্ব করতে পারে, এমন একজন মানুষের আগামীকাল জন্মদিন।
তিনি আমাদের হুমায়ুন আহমেদ। অসামান্য জাদুকর। এমন সম্মোহনী শক্তি নিয়ে আর কেউ আসেননি। হুমায়ূন আহমেদে মুগ্ধ হয়ে ছিলাম এবং থাকব সারা জীবন। শব্দের এই যাদুকরের কাছে অনেক ঋণ আমাদের। এই যাদুকর যা লেখেন, তাতেই মুগ্ধ হয়ে যাই। একবার ভাবুন, হুমায়ুন আহমেদ বলে কোনো লেখকের জন্ম হয়নি।
৩। চাকরী-ব্যবসা এসব কিছুই না। বেঁচে থাকার জন্য আপনাকে কাজ করতে হচ্ছে। কিন্তু দিন শেষে আপনি কি পাচ্ছেন? বছর শেষে? অথবা শেষ জীবনে? আমি বলতে চাচ্ছি- আপনার জীবনে আপনার সঞ্চয় কি? আমি টাকা পয়সার কথা বলছি না। নিজের শান্তির জন্য, নিজের আত্মার শান্তির জন্য আপনি কি করেছেন? আপনার আত্মার খোরাক কি? আমি মনে করি- একজন ব্লগারের আসল সম্পদ হলো তার লেখা গুলো। একসময় যখন বুড়ো হয়ে যাবেন- তখন অনুভব করবেন টাকা পয়সা কিছুই না। কামাই করেছেন আর খরচ করেছেন। কিন্তু ব্লগের লেখা গুলো আপনাকে শান্তি দিবে, আনন্দ দিবে। আপনি মরে গেলেও, আপনার লেখা গুলো থেকে যাবে। মানুষ আপনার লেখা পড়বে। শ্রদ্ধাভরে আপনাকে স্মরন করবে।
আমি আমার কথা বলি- আমার জীবনে শান্তি হলো, লেখা আর পড়া। এক সময় যখন বুড়ো হয়ে যাবো- তখন এই লেখা গুলো আমাকে আমাকে অতীতে নিয়ে যাবে। আমার লেখা! আমার নিজের লেখা! অর্থ্যাত আমার চাকরির কথা কেউ মনে রাখবে না। ব্যাংকে কত টাকা আছে- সেটা নিয়েও মানুষ মাথা ঘামাবে না। কিন্তু আমার লেখা যুগ যুগ ধরে থাকবে। মানুষ পড়বে। কাজেই আমার লেখা গুলোই আমার সম্পদ। শ্রদ্ধেয় চাঁদগাজী সাহেব একটা দামী কথা বলেছেন, ''সম্পদহীনদের জন্য শিক্ষাই সম্পদ।'' ঠিক তেমনি আমি বলতে চাই- ব্লগারদের জন্য তার লেখা গুলোই সম্পদ। লেখা গুলোই তাকে যুগ যুগ বাঁচিয়ে রাখবে।
বৃদ্ধ বয়সে গিয়ে দেখবেন- কেউ আপনার চাকরি বা ব্যবসার কথা মাথায় রাখবে না। আপনি কত টাকার মালিক তাও কেউ মনে রাখবে না। কিন্তু লেখা গুলো থেকে যাবে, মানুষ পড়বে। কাজেই বলা যায় এই লেখা গুলোই আপনার সম্পদ। কাজেই হেলাফেলা না করে- মন দিয়ে লিখুন। ভালো কিছু লিখুন। এমন কিছু লিখুন- যে লেখা পড়লে মানুষের ভালো লাগবে, উপকারে আসবে, হতাশা কাটবে। দেশের প্রতি ভালোবাসা জন্মাবে। খুব খেয়াল রাখবেন, বর্তমানে যা লিখছেন- ভবিষ্যতে গিয়ে যেন এই লেখা গুলোর জন্য আপনাকে লজ্জা পেতে না হয়। মনে রাখবেন- প্রচুর পড়লেই, প্রচুর লিখতে পারবেন। ভালো লেখার প্রধান শর্ত এবং রহস্য হচ্ছে- পড়া। প্রচুর পড়া। পড়ার কোনো বিকল্প নেই।