আমাদের দেশের মানুষ দিন দিন এমন হয়ে যাচ্ছে কেন?
সবাইতো মুখে নীতি কথা বলে....
ঘটনার সময় অসংখ্য মানুষ ছিলো। তারা কেউ ৯৯৯ এ কল করলো না কেন? তাদের মধ্যে কারো সামাজিক জ্ঞান ও নৈতিক জ্ঞান নেই? পদ্মা সেতুতে মাথা লাগবে গুজব যেই হারে প্রচার হয় আর মানুষ পিটিয়ে মেরে ফেলে সন্দেহ করে! হুজুগে বাঙ্গালী গুজবে বিশ্বাসী। প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের কুফল জাতি পেতে শুরু করেছে! এই জেনারেশনের ছেলে মেয়েদের মাথায় কিচ্ছু নেই। সারা দিন রাত শুধু মোবাইল টেপাটিপি করে এদের সময় কাটে।
প্রশ্নপত্র ফাস জেনারেশন, ফেসবুকের স্ট্যাটাস দেওয়া জেনারেশন আর কপি পেস্ট বুদ্ধি নিয়ে চলা লোকদের কাছে ভালো কিছু আশা করা বোকামো। সব এলাকাতেই কিছু বখাটে থাকে, তারা এই সব কাজে নেত্রীত্ব দেয়। সাউথ ইন্ডিয়ান মুভি দেখে তারা নিজেদের নায়ক ভাবে। এরাই মারামারি করে, ছিনতাই করে, নেশা করে, ইভটিজিং করে। সমাজে এই রকমের হাজারো খুনি ঘুরে বেড়াচ্ছে সবার সাথে... এই খোঁড়া প্রজন্ম দিয়ে কতটা সমৃদ্ধির পথে যাবে দেশ?
একজন সভ্য মানুষ কখনোই কারো গায়ে হাত দিতে পারে না। যারাই এই সব গনপিটুনিতে অংশ নিচ্ছে তারা কোন অবস্থাতেই সুস্থ স্বাভাবিক মানুষ নয়। সমাজের সর্বস্তরে ছড়িয়ে পড়ছে এসব অমানুষেরা। একজন মানুষকে পিটিয়ে মেরে ফেলা আর পদ্মা সেতুতে মাথা লাগার ব্যাপারটা যেভাবেই আসুক না কেন, তাতে দেশের মানুষের বুদ্ধিমত্তার পরীক্ষা চলছে; দেশের মানুষ কি পরিমাণ পেছনে পড়ে আছে, তা বুঝা সম্ভব হচ্ছে। উন্নত বিশ্বের সাথে আমরা তাল মিলিয়ে এগুতে পারবো না। এই প্রশ্ন ফাঁস জেনারেশনের ছায়া আগামী ৩০ বছর আমাদের তাড়িয়ে বেড়াবে।
বিশ্বের সব দেশ'ই উন্নতি করছে কিন্তু আমাদের মানসিকতার অধপতন হচ্ছে দিন দিন। দেশে যেই হারে খুনীর সংখ্যা বাড়ছে সেটা খুবই ভয়ংকর। কথায় আছে বাঘ যখন মানুষের মাংসের স্বাদ পায় তখন তার অন্য কিছু ভালো লাগে না। লাখ লাখ জিপিএ ৫ দিয়ে জাতি কতদূর এগুবে বুজাই যাচ্ছে!
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুলাই, ২০১৯ দুপুর ২:৪৪