১। কখনো শকুনদের জানোয়ার বা মানুষ ছিড়ে খেতে দেখেছেন? না দেখে থাকলে, দেখার দরকার নাই।
আমাদের এই সমাজ, বন্ধু বান্ধব, আত্মীয়- স্বজন, সহকর্মী, প্রতিবেশী অথবা চেনা পরিচিতদের মধ্যে অধিকাংশই ওই শকুনদেরই মতো।
২। এই শহরে আমার কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। থ্রি কমরেডস- এর মতন বন্ধু আমার একজনও নেই। কোনো-কোনো সন্ধ্যায় ইচ্ছা করে- ঘরে না ফিরে, কোথাও বসে খুব আড্ডা দেই।
পুরো শহরটাকে একটা সবুজ ঘাসে ভরা মাঠ মনে করে- আমি শুধু এক রাস্তা থেকে আরেক রাস্তায় হাঁটতেই থাকি। নানান রকম চিন্তা-ভাবনা করতে করতে- রাস্তার পাশের চায়ের দোকান থেকে চা খাই। চিন্তা ভাবনা থেকে মুক্তির জন্য- চায়ের দোকানে থাকা লোকদের সাথে তর্কাতর্কীতে মেতে উঠে- সব চিন্তা ভাবনা ভুলে যাই।
৩। বুদ্ধি হওয়ার আগে বহু লোক বিয়ে করে ফেলে!! আর একারনেই সব সমস্যার শুরু। নিজের পায়ের নিচের মাটি শক্ত না করে কারোই বিয়ে করা উচিত না।
৪। মসজিদ নির্মাণের জন্য অর্থ সাহায্য চাইলো মসজিদের ঈমাম। সবার আগে এগিয়ে এলেন এক যৌনকর্মী, বললেনঃ এই নিন দশ হাজার টাকা।
যদিও টাকা আমাদের খুবই প্রয়োজন, - বললো ঈমাম, - তবে নোংরা পথে অর্জিত এই টাকা আমি গ্রহণ করতে পারছি না।
উপস্থিত কয়েকজন মুসল্লি সেই সময় চিৎকার করে বললোঃ নিয়ে নিন, হুজুর ওগুলো আমাদেরই টাকা।
৫। মুসলিম বিদ্বেষ, ঘৃণা এবং আক্রমণেই বঙ্কিমের লেখার মূল চারিত্র্য। অপরদিকে মীর মশাররফ হোসেন-তাঁর সাহিত্যের বিষয়বস্তু মুসলিম ঐতিহ্য থেকে গ্রহণ করলেও তাঁর ভাষা এবং তাঁর প্রকাশে অন্য ধর্ম কিংবা অন্য জাতির প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষের চিহ্নমাত্র নেই।
৬। গ্রামের মেয়েদের নিজের হাতে সেলাই করা নকশীকাঁথা দেখেছেন ? একটা কাঁথার মধ্যেই মেয়েরা তাদের সারা জীবন তুলে ধরে। কাঁথার মধ্যে ভেসে উঠে- সুখ-দুঃখ, আনন্দ-বেদনা, ভালোবাসা-উসাসীনতা, চাওয়া-পাওয়া। সেই হিসেবে প্রতিটা নকশীকাঁথা যেন এক একটা উপন্যাস।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ১০:২১