ঢাকা শহরের মানুষ গুলো ঘর থেকে বাইরে বের হলেই হিংস্র হয়ে যায়। অমানবিক হয়ে যায়। একজন দায়িত্বশীল পিতা, যার সংসারের প্রতি অগাধ মায়া। সন্তনাদের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা- সে-ও বাইরে বের হলে হিংস্র হয়ে যায়। তখন তার মধ্যে কোনো মায়া দয়া থাকে না। এই শহরে কেউ নিয়ম মানে না। নিয়মের কথা বললেও রেগে যায়। বিশেষ করে রিকশাওয়ালা এবং বাইকওয়ালারা। এবং এরা খুব বেয়াদব হয়। এই শহরের মানুষ গুলো শুধু মাত্র যদি নিয়ম মেনে চলাচল করতো এই শহরের জ্যাম থাকতো না। প্রতিটা লোক অপ্রয়োজনে বিকট হর্ন দেয়। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অথচ আজও মানুষ দৌড়ে দৌড়ে বাসে উঠে, বাসে উঠে একজন গায়ে গা গালিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। দশো টাকার ভাড়া দেয় বিশ টাকা। প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হলেই প্রতিদিন এই শহরের দোষ ত্রুটি গুলো আমার চোখে পড়ে। আমার কিচ্ছু করার নেই। আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে দেখি। বেশ করেকবার বলতে গিয়ে বিরাট বিপদে পড়েছি। আমাকে মারতে আসে। আমার কলার চেপে ধরে। আশে পাশে সবাই দাঁড়িয়ে দেখে, কেউ বাঁচাতে আশে না। কথা না বাড়িয়ে, আসুন কিছু ছবি দেখি।
১।
প্রতিদিন সন্ধ্যায় মাছের বাজারে যাই। খিলগা রেলগেট। রেল লাইনের পাশে প্রতিদিন সন্ধ্যায় জমজমাট মাছের বাজার বসে। প্রচুর মাছ বিক্রি হয়।
২।
সেদিন এক কাজে বায়তুল মোকারম গিয়েছি। বাসায় ফিরবো রিকশা ওয়ালা ভাড়া চায় ৮০ টাকা। আমি টেম্পুতে দশ টাকা দিয়ে চলে আসছি।
৩।
প্রচুর মাছ, প্রচুর দাম।
৪।
মনে করুন, আপনি একটা রুই মাছ কিনেছেন ৭০০ টাকা দিয়ে। সে কাটতে নিবে ৬০ টাকা। তবে ওরা খুব দ্রুত কাটে।
৫।
এই লোক কেন খালি গায় সাইকেল চালাচ্ছে আমি জানি না। আমি ছিলাম বাসের মধ্যে, মতিঝিল যাচ্ছিলাম।
৬।
এই ছবিটা গতকাল সকালে তুলেছি। মগবাজার ফ্লাইওভারের নিচ থেকে। দেশ উন্নয়নের মহাসড়কে চলে গেলেও এদের ভাগ্যের কোনো পরিবর্তন হলো না! যুগ যুগ ধরে এরা রাস্তায় ঘুমায়।
৭।
এই ছবিটার মানে হলো- চলার পথে আমি আকাশের দিকে তাকাই।
৮।
সুন্দর করে ইলিশ মাছ গুলো সাজিয়ে রাখে। উপরে থাকে লাইট, আলো এসে পড়ে মাছের গায়ে। মাছ গুলো চকচক করে। আচ্ছা, রাস্তার মধ্যে তারা বিদ্যুৎ পায় কোথায়?
৯।
কি সুন্দর করে রাস্তায় কলা সাজিয়ে বিক্রি করে।
১০।
এক জরুরী কাজে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় বৃষ্টিতে আটকে গেলাম।
১১।
এ জায়গাটা নিশ্চয় সবাই চিনেন?
১২।
অপ্রয়োজনীয় ছবি।
১৩।
আমার বাসার ছাদ থেকে তোলা।
১৪।
ভিক্ষুক সম্প্রদায়।
১৫।
হাতির ঝিল।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:২৩