১। সারা পৃথিবী জুড়ে- সভা, সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, অনশন, মানব বন্ধন অথবা কনফারেন্স করে কিছুই করা যাবে না। এগুলোতে অনেক আলোচনা হয়- কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় না। এই সব আলোচনা গুলো কেন অসাড় ও নিষ্কর্মা হয়! মাঝবয়সী বা বৃদ্ধ, সফল সুখী, প্রতিষ্ঠিত ও পরিবার-বৎসল বুদ্ধিজীবিদের দিয়ে যে আর নতুন দিগন্তের তালা খোলা যাবে না সেটা একটা বাচ্চাও বুঝে গেছে তেমন করে কি বোঝে সরকার বা প্রশাসন? এদের মাথা আছে দেশ বা পৃথিবীর জন্য তেমন মাথা ব্যথা নেই। কিছু সুখ সুবিধা ও প্রতিষ্ঠার মধ্যে এরা গুটি পাকিয়ে থাকতে চায়।
২। একজন মানুষ পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না। অবশ্যই তার মধ্যে ভালো কিছু আছে। সেই ভালো কিছুকে খুঁজে বের করুন। দেখবেন, পৃথিবীটাকে অনেক ভালো লাগতে শুরু করবে, জীবনটাকে সুন্দর ও ঝামেলামুক্ত লাগবে, বাঁচতে ইচ্ছে করবে। জীবনে চলার পথে কোন না কোন কারণে যাদের সাথে বিরূপ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, আসুন তাদের সাথে আবার দেখা করি। ভেঙ্গে যাওয়া বন্ধুত্ব জোড়া লাগানোর চেষ্টা করি। আসুন, মিলেমিশে বাঁচি। জীবনটা কিন্তু অনেক অনেক ছোট। কি লাভ এত হিংসা-বিদ্বেষ-হানাহানি করে?
৩। বাংলাদেশে আসলে কোনো ধার্মিক নেই।
আমাদের সমাজটাই ভণ্ডামিতে পরিপূর্ণ। আমরা সাধারনত ধার্মিক বলে চিনে থাকি মাদ্রাসা থেকে পাশ করা মাওলানাদের। কিন্তু আমাদের সমাজে মাওলানাদের পেট চলে সমাজে দুই নম্বর লোকের টাকায়। এটাই সমাজ বাস্তবতা। স্থানীয় সাংসদ বা কোনো ধনী ব্যক্তি যত দুই নম্বরই হোক, এলাকার মসজিদে যখন তিনি বড় অংকের টাকা দান করেন, হুজুরেরা তার নামে দোয়া পড়তে থাকেন। কাজেই হুজুরের কি ধার্মিক হওয়ার সুযোগ আছে?
৪। আজ ভোরবেলা হাটতে বের হয়েছিলাম। রাস্তায় খুব সুন্দর একটি মেয়ের সাথে দেখা। মেয়েটিকে ভালো লেগে গেল। বহু বছর পর একজনকে দেখে মনে ধরলো। এখনও যে নিজের মধ্যে ভালোলাগার ক্ষমতা, ভালোবাসার ক্ষমতা পুরোপুরি নষ্ট হয়ে যায়নি তা জেনে খুব খুশি হলাম।
৫। রাশিয়ার এক শহরে বাস করতো আকসেনভ নামের এক যুবক। পেশায় ছিল ব্যবসায়ী, তার ছিল দুখানা দোকান ও বসত ভিটা। ছোটবেলা থেকে নেশা করলেও এখন সে ভালো, মাঝে মাঝে কেবল ভদকা খেয়ে নেশা করে।
গ্রীষ্মের এক সকালে ব্যবসার কাজে শহরে যাওয়ার জন্য বের হয় যুবক। স্ত্রী তাকে বলে যে, আমি খুব একটা খারাপ স্বপ্ন দেখেছি তুমি আজ শহরে যেও না। সে উপেক্ষা করে শহরে যায় এবং রাস্তার মাঝে পরিচয় হয় এক ব্যবসায়ীর সাথে। দু’ জনেই রাতে এক সরাই খানাতে থাকে।
পরদিন সকালবেলা আকসেনভ সরাই খানার সব লেনদেন চুকে দিয়ে বের হয়। প্রায় মাইল পঁচিশ যাবার পর সে আরেকটা সরাই খানাতে দাঁড়িয়ে পড়ে ঘোড়া গুলোকে কিছু খাইয়ে নেবার জন্য। কিছুক্ষণ পর একজন অফিসার এসে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা শুরু করে। সে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিলেও মূল ঘটনা বুঝে উঠতে পারেনা।
অফিসার আকসেনভকে বলে যে, যে লোকটির সাথে আপনি আপনি রাতে ঘুমিয়ে ছিলেন সে খুন হয়েছে। আর আমি একজন পুলিশ অফিসার। আপনার পোটলা তল্লাসী করব। যেই বলা সেই কাজ। আকসেনভের ব্যাগ তল্লাসী করে একটা রক্ত মাখা ছোরা পাওয়া গেল। ছোরাতে কেন রক্ত লেগে আছে জিজ্ঞেস করলে আকসেনভ কোন উত্তর দিতে পারেনা। সে শুধু বলে আমি কিছু জানিনা। আমি খুন করিনি।
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:০৩