একটা সুপারহিরো নিয়ে যখন পোষায় না , তখন ডাক পড়ে সুপারহিরোদের নিয়ে দলের। একেক কমিক্সে একেক নাম। ডিসি কমিক্সে জাস্টিস লীগ, গণতন্ত্র কমিক্সে ছাত্রলীগ এবং মার্ভেল কমিক্সে Avengers। সুপার হিরোদের সাথে লড়াইয়ের জন্য দরকার ধুমধাড়াক্কা ভিলেন। এবার সেই ভিলেন হলো Ultron। Ultron ভাইয়ের এক কথা এক দাবী: “আঁর লগে চুদুর বুদুর চইলত ন”। সেই আলট্রন কে নিয়ে অ্যাভেঞ্জারসদের দ্বিতীয় কিস্তি “শোধ নিমু দল: আলট্রন চাচার বয়স”। ইংরেজি থেকে বাংলা অনুবাদ করলাম আর কি।
কাহিনী জানা যাক। ঢাকার মেয়র নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গিয়ে হঠাৎ দেখা যায় অ্যাভেঞ্জারসদের প্রাণপ্রিয় “ধন” : লোকির লাঠি হারায় গেসে গা। লোকির লাঠি খুঁজতে এক দফা মারামারি দেখায় অ্যাভেঞ্জারসের বর্তমান সদস্যরা :আয়রন ম্যান, ক্যাপ্টেন ম্যারিকা, হাল্ক, থর , রবিন হুড এবং Scarlette Johansson। লাঠির মধ্যে আবার কী একখান সুলেমানি পাথর আটকানো।
টনি স্টার্ক তার বুয়েট কর্তৃক পরিক্ষিত যন্ত্রপাতি দ্বারা বুঝতে পারে যে এই পাথরের মধ্যে লুকায় আসে এক রোবট বানানোর চোথা। টনি স্টার্ক বাংলাদেশী ছাত্রদের মতো কপি- পেস্ট করে বানায় ফেলে পৃথিবীর মঙ্গলকামী রোবট “ আল্ট্রন”। আল্ট্রন নিজের জ্ঞান পেতে না পেতেই বুঝে “আগে ফেসবুক, তারপর দুনিয়ার সেবা”। ফেসবুকে ঢুকেই তার চোখে পড়ে এক দম্পতির পোস্ট:
“After Sex Selfie: দুজনেই ঘেমে অস্থির!”
আলট্রন তখনই বুইঝা ফেলে। এই দুনিয়া রাখতে হইলে সব মানুষরে আগে মারতে হইবোই। তারপর আর কাহিনীর কিসু জানার দরকার আসে? ঢিসুম ঢিসুম ... ঢিসুম ঢিসুম।
মুভিটির একই সাথে ভালো দিক এবং খারাপ দিক হলো এটি প্রথম মুভিটির হুবহু নকল এক মুভি। ভিলেন আসে , সবাই এক হয়, লাস্টে ঢিসুম ঢিসুম। প্রথম মুভিটির মতোই দুর্দান্ত রকমের রোমাঞ্চকর এবং হাসির। কিন্তু এমন কিসুও নাই যেটা প্রথম মুভিতে নাই।
হ্যাঁ! আছে। এক দৃশ্য। আয়রন ম্যান এবং আলট্রনের একটি মারামারি দৃশ্য আছে যেটা চিত্রায়িত হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে। দারুণ লাগসে ঔ দৃশ্য দেখে।
একটি চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রটি বাদে অন্যান্য চরিত্রদের খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া মারাত্মক রকমের কঠিন। কিন্তু পরিচালক Joss Whedon দ্বিতীয়বারের মত অনেকগুলি সুপারহিরোকে নিয়ে মোটামুটি সবাইকেই গুরুত্ব দিয়ে একেবারে দেখিয়ে দিলেন।
অভিনয়ে রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, মার্ক রুফালো, স্কার্লেট আপা ফাটাইবো এটা জানা কথা। কিন্তু আলট্রন চরিত্রে জেমস স্পেডার এক্কেরে ফাটায় ফালাইসে।
মুভিতে প্রচুর চরিত্র একসাথে দেখানো হয়েছে। এত চরিত্র দেখতে দেখতে কেন জানি মনে হয় হাল্ক এবং আয়রন ম্যানের দৃশ্য এত কম ক্যারে?
সব মিলিয়ে যাদের সুপারহিরো এবং বিশেষ করে অ্যাভেঞ্জারস মুভির ভক্ত তাদের এই মুভি দেখা একান্ত আবশ্যক। আর যারা পছন্দ করেন না, তারা একটু না হয় সহ্য করে নেন। মজাই তো লাগে!
রেটিং- ৩.৫ / ৫
আলোচিত ব্লগ
কুড়ি শব্দের গল্প
জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!
সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন
ধর্ম ও বিজ্ঞান
করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
তালগোল
তুমি যাও চলে
আমি যাই গলে
চলে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফুরালেই দিনের আলোয় ফর্সা
ঘুরেঘুরে ফিরেতো আসে, আসেতো ফিরে
তুমি চলে যাও, তুমি চলে যাও, আমাকে ঘিরে
জড়ায়ে মোহ বাতাসে মদির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন
মা
মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।
অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন
কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।
একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন