somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রাজিন রিভিউ: Justice League

২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ছোট বেলায় সুপারম্যান হতে ইচ্ছা করতো। পিছনে লাল উড়না পিন্দা উইড়া বেড়াইতাম আর গাইতাম “হাওয়া মে উড়তা যায়ে …” কী মজা! ধীরে ধীরে জানতে পারলাম সুপারম্যানের মত আরও কিছু সুপার চরিত্র আছে। ব্যাটম্যান, ওয়ান্ডার ওম্যান, ফ্ল্যাশ ..। তাদের আবার একটা দলও আছে। নাম জাস্টিস লীগ। ইশ যদি একটা মুভি হইতো এদের নিয়ে। অবশেষে এল সেই মুভি “জাস্টিস লীগ”। টাকা খরচ করিয়ে সাথে মাথাটাও ধরায় দিয়ে গেল।

কাহিনী জানা যাক ... কিয়ের কাহিনী? এইটা তো তিন বছরের বাচ্চাও বলতে পারে। ভিলেন আসবে। পৃথিবী ধ্বংস করতে। সব সুপার হিরো এক হয়ে ভিলেনকে হারাবে। এই কাহিনী বানাইতে তিনশ মিলিয়ন ডলার লাগে?

সবাই আছে মুভির ফ্যাক্টরী বা ফ্র্যাঞ্চাইজি বানাইতে। মার্ভেল তো বানায় ফেলসে। তাই ডিসি কমিকসের যেই ভাবেই হোক এখনই বানাতে হবে। সেটা যতটাই যাচ্ছেতাই হোক না কেন! ডিসির জগতের প্রথম মুভি ম্যান অব স্টীল বেশ ভালোই ছিল। তার পরের মুভি আনতে সময় নিয়েছে ৩ বছর। কিন্তু ১ বছরের মধ্যেই আরও ৩টি মুভি! ঝামেলা তো হবেই।

মুভির ভালো দিকগুলো কিছু বলি। ডিসি কমিক্সের ব্যাটম্যান ও সুপারম্যানের খ্যাতি অনেক উপরে। মার্ভেলের আয়রন ম্যান ও ক্যাপ্টেন আমেরিকা এদের কাছে কিছুই পাত্তা পাওয়ার নয়। এরা যখন তাদের তেলেসমাতি দেখায় তখনই ভালো লাগে। সবচেয়ে ভালো লেগেছে ফ্ল্যাশের তেলেসমাতি। ফ্ল্যাশ এবং সুপারম্যানের একটি বিশেষ দৃশ্য খুবই ভালো লেগেছে।

এবার শুরু করি খারাপ ব্যাপারগুলি।
সাইবর্গ ... কে ভাই আপনে? টনি স্টার্ক হইতে চাও? ভালো লাগে নাই।
ব্যাটম্যান ... করস কি তুই? এখান থেকে ঔখানে গাড়ি চালালো ছাড়া কোন কাজ নাই।
আকুয়া ম্যান ... পানির তলে ভালো লাগসে কিন্তু পানির উপরে তাকে শুধুমাত্র কুবের মাঝি হিসেবেই মানায়।

বিখ্যাত সব চরিত্রের দল কিন্তু খুব বেশি জমেনি। দলের নেতা ব্যাটম্যান হওয়ার কথা কিন্তু নেতৃত্ব ওয়ান্ডার ওম্যান দেয়। সেটা ঠিক আছে কিন্তু তার দিকে এমনভাবে ক্যামেরা ধরা হয়েছে যেটা পছন্দ হয়নি। ওয়ান্ডার ওম্যান আমার অনেক প্রিয় চরিত্র। স্কার্টের তল দিয়ে ক্যামেরা ধরে অপমান করা আমার পছন্দ হয়নি।

মুভির গ্রাফিক্স পুরাই ফালতু। বোঝায় যায় যে গ্রাফিক্সের কাজ শেষ না করেই মুভি মুক্তি দিয়ে দিয়েছে। ভিলেন তো পুরাই কার্টুন। কার্টুন ভুট্টা ক্ষেত.. সাইবর্গের টিনের দোকান .. এছাড়া সুপারম্যানের গোঁফ তো আছেই। ৩০০ মিলিয়ন ডলার বাজেটের পর এটা মাফ করা যায় না।

সুপারম্যানের প্রত্যাবর্তন পুরাপুরি হিন্দী সিরিয়াল থেকে কপি মারসে। এইটা কোন কথা হইলো? মুভির একটি দৃশ্যে ডায়ানা, ব্রুসকে বলে :” কী দরকার সুপারম্যানকে আনার?”
ব্রুস বলে: “ তুমি তোমার বয়ফ্রেন্ডকে কী ভুলতে পারসো?”
মানে কী?

মুভিতে মার্ভেলের সাথে টেক্কা মারার জন্য কিছু হাসির দৃশ্য আনা হয়েছে। কিন্তু সব মিলিয়ে মুভিটা না হয়েছে হাসির না গম্ভীর। ফ্ল্যাশের চরিত্র বাদে কোন চরিত্রই দর্শকদের সাথে যোগাযোগ করতে পারেনি।

মুভিতে এমি এডামসকে দেখে বেশ মায়া লাগছিল। “এরাইভাল” এর নায়িকা, আর এই ফইন্নি মুভির ফইন্নি চরিত্র করছে! এছাড়া গর্ডন চরিত্রে জে কে সিমনসের মাত্র ২ সিন। ক্যামনে কী?

মুভি একটু বড় হলে হয়তো একটু উন্নতি হতো তবে জ্যাক স্নাইডারের নির্দেশনা দিয়ে আসলে কিছুই হচ্ছেনা। মুভির নামের শেষে লীগ লাগাইবা আর আগে আওয়ামী লাগাইবানা ? ধরা তো খাইবাই।

মুভিতে দুটি পোস্ট ক্রেডিট দৃশ্য আছে। তার মধ্যে একটি আবার আয়নাবাজির নকল। কী আর কমু ...।

এক কথায় ফালতু মুভি, সময় নষ্ট। এই মুভির সাথে সাথে ডিসির মুভি জগত ভরাডুবির সম্মুখীন।

রেটিং – ০.৫ / ৫.০
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে নভেম্বর, ২০১৭ রাত ১:৪৯
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×