রাজু দোস্ত একটু ছাদে আই তো, তোর সাথে কথা আছে (!!)
“আমি তার ভাষায় কথাটি লিখছি”
ওই যে স্কুলে আমাদের সাথে সাদ্দাম ছিল না
ওর কাছ থেকে একটা মেয়ের নাম্বার নিছলাম
সাদ্দামের কাছ থেকে যতটুকু জানতে পারি
ওই মেয়ে বোরখা পড়ে, অনেক ধার্মিক
এবং কোন ছেলের সাথে কথা বলত না।
মেয়েটি ক্লাশ ৯ এ পরত,
ফোন দিয়ে অনেক কষ্টে মেয়েটাকে পটাইছিলাম।
আমিই ছিলাম ওর জীবনে প্রথম ছেলে
এর আগে ও কোন ছেলের সাথে কথা বলেনি।
যাই হোক, ভালোই চলছিলো ফোনে
সারারাত কথা বলতাম আমরা
একজন স্বামী স্ত্রীর থেকেও গভীর কথা হোত আমাদের।
প্রথম দেখা করি এবং রিকশায় উঠি
ওখানেই ওকে প্রথম চুমু খাওয়া
তারপর বশুন্ধারা সিটিতে যায় ছবি দেখতে।
কিন্তু ছবির নামটা পর্যন্ত দেখিনি আমরা
হলে ঢোকার পর থেকেই আমার ঠোঁট ওর ঠোঁটে
আর হাত ওর বুকে ছিল।
ছবি শেষে সিএজি করে ওর বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে আসলাম
সিএজির মধ্যেও একই অবস্তা।
একদিন ওর বাসায় কেউ ছিল না
আমাকে ওর বাসায় ডাকল, আমরা ফোনেই
সব কথা বলে নিছলাম, এবং প্রস্তুতি নিয়েই গেছলাম
এটাই ছিল ওর প্রথম দৈহিক মিলন
তাই ও অনেক কষ্ট পাইছিল চিৎকার করে কান্না করছিল
এবং বার বার
একটা কথাই বলতেছিল কাব্য (ছদ্মনাম) প্লীজ
আমাকে কখনো ছেড়ে যেওনা প্লীজ (!!)
বল আমাকে কখনো ছেড়ে যাব না তো? (!!)
এটা ছিল সকাল বেলা
আমি বাসায় চলে আসলাম এবং
নিজের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করতে লাগল
মেয়েদের তো তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেয় কিন্তু
ওকে তো আমি বিয়ে করতে পারব না
আরো অনেক কিছু মনের মধ্যে আসতে লাগল
বিকেলে ও আমাকে ফোন দিল আমি কোন কিছু
না বুঝেই বলে দিলাম তুমি আর আমাকে ফোন দিবা না
এটা শুনে ও কান্নায় ভেঙে পড়ল, এমনকি
আত্মহত্যা করবে বলল, আমি কিছু না বলেই ফোন কেটে দিলাম।
তারপর টানা এক মাস আমাকে পাগলের মত ফোন দিত
আমি কোনদিন রিসিভ করি নি
এক মাস পর আমাকে একটা মেসেজ দিল
“তুই আমার জীবনটা নষ্ট করছিস
আজ থেকে আমি ছেলেদের সাথে রিলেশন করব
এবং দৈহিক মিলনের পর তাকে ছেড়ে দিব”।
(ধিক, শত ধিক সেসব চুতিয়া ছেলেদের যাদের জন্য
মেয়েরা পথভ্রষ্ট হয়, বেশ্যাবৃত্তি বেছে নেয়।
এসব ছেলেদের জন্যই মেয়েরা আজ
আমাদের মত ভদ্র ছেলেদেরকে বিশ্বাস করতে চায় না
তাই আজ আমরা সিঙ্গেল