somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রমোশন নিয়ে যেভাবে পরকীয়ায় রুপ নেয়...

২৩ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিয়ের পর স্ত্রীকে দেশে ফেলে রেখে স্বামী চলে যায় বিদেশে। স্ত্রী পড়ে থাকে দেশে আর স্বামী জীবিকার তাগিদে বিদেশে ছুটে টাকার পেছনে। তবে বিদেশ যাওয়ায় আগে স্ত্রীকে নানান রকম দোহাই, ওয়াদা, কসম দিয়ে যায় যেন তার অবর্তমানে অন্য পুরুষের সাথে কথা না বলে, দেখা না করে বা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নষ্ট না করে।

অপরদিকে স্ত্রীও তার স্বামীকে কসম দিয়ে দেয় যেন বিদেশে গিয়ে অন্য মেয়ের পাল্লায় না পড়ে। তাদের বিশ্বাসের অমর্যাদা যেন না হয়। অতঃপর বিদেশ যাওয়ার পর দুজন দুজনের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কবে তারা স্বামী-স্ত্রী একত্রে হবে। সে অপেক্ষার প্রহর যে কতটা কষ্টকর তা প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী বোঝে।

বিদেশে থাকাকালীন সময় ফোনে দুজনের মধ্যেই কথোপকথন হতে থাকে। একে অপরের খোঁজ খবর নেয়, সংসারের অবস্থা নিয়ে হয়, কথা হয় একজনের ভালোলাগা খারাপলাগা নিয়ে।

কিন্তু স্বামী বিদেশে থাকাকালীন সময়ে স্বামীকে ছাড়া স্ত্রীরা একাকীত্ব বোধ করে। আর এই একাকীত্ব বোধ কাউকে এতোটা গ্রাস করে ফেলে যে তার পক্ষে একা থাকা অসম্ভবপর হয়ে দাঁড়ায়। আর তখনই সে একটা বন্ধুর প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। এবং সেই প্রয়োজনীয়তা এক সময় আবশ্যক হয়ে দাঁড়ায়।

অতঃপর একটি পরপুরুষের সাথে তার বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং তার সাথে সে মনের সব কথাগুলো শেয়ার করতে থাকে। এই মনের ভাব শেয়ার করতে করতে দুজন একসময় এতোটা কাছে চলে আসে যে, তাদের সম্পর্ক বন্ধুত্ব থেকে প্রমোশন নিয়ে পরকীয়ায় রুপ নেয়। এবং স্বামীর অভাব সেই বন্ধুর মাধ্যমে পূরণ করতে থাকে।

অপরদিকে স্ত্রীর অবর্তমানে স্বামীও একাকীত্ব বোধ করতে থাকে। পুরুষেরও তো মন আছে? বরং নারীর থেকে পুরুষের পুরুষত্বের চাহিদা অনেকাংশে একটু বেশিই। তাই স্বামী তার পুরুষত্বের চাহিদা মেটানোর জন্য চলে যায় কোন আবাসিক হোটেলে বা জড়িয়ে পড়ে কোন এক অনৈতিক সম্পর্কে।

আবার, এমন অনেক স্বামী-স্ত্রীকে দেখেছি যারা স্বামীর দিয়ে যাওয়া সেই ওয়াদা, সেই কসম তিল তিল করে রক্ষা করতে থাকে। নিজের ভালোলাগা, পছন্দ, পাওয়ার আকাঙ্ক্ষা সবকিছু অতি যত্ন করে তুলে রেখে দেয় তার স্বামীর জন্য। স্বামীর আমানাত রক্ষা করতে থাকে।

পরতঃপক্ষে এই শ্রেণীর স্বামী-স্ত্রীরা হচ্ছে প্রকৃত স্বামী-স্ত্রী !!
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ

লিখেছেন রাজীব নুর, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৪০



'অন্যায় অত্যাচার ও অনিয়মের দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ'।
হাহাকার ভরা কথাটা আমার নয়, একজন পথচারীর। পথচারীর দুই হাত ভরতি বাজার। কিন্ত সে ফুটপাত দিয়ে হাটতে পারছে না। মানুষের... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

দ্য অরিজিনস অফ পলিটিক্যাল জোকস

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১১:১৯


রাজনৈতিক আলোচনা - এমন কিছু যা অনেকেই আন্তরিকভাবে ঘৃণা করেন বা এবং কিছু মানুষ এই ব্যাপারে একেবারেই উদাসীন। ধর্ম, যৌন, পড়াশুনা, যুদ্ধ, রোগ বালাই, বাজার দর থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×