সাপকে ভয় পায় না এমন মানুষ খুব কমই আছে। পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির ও বিভিন্ন আকৃতির সাপ আছে। সবগুলোর বিষাক্ততার মাত্রাও সমান নয়। সাপ সাধারণত আত্নরক্ষার জন্যই কামড় দিয়ে থাকে। এমনও বিষাক্ত সাপ আছে যার কামড় খেলে মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচানো অসম্ভব। কোনটির কামড়ে মাংসও পঁচে যায়। আসুন সর্বাধিক বিষাক্ত পাঁচটি সাপ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।
এক : ইনল্যান্ড তাইপেন
ইনল্যান্ড তাইপেনকে বিশ্বের সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ মনে করা হয়। কেউ কেউ বেলচার সি কেও সবচেয়ে বিষাক্ত সাপ মনে করে থাকেন। লম্বায় প্রায় আটফুটের মতো ইনল্যান্ড তাইপেনকে অস্ট্রেলিয়ায় দেখা যায়। এক ছোবলে ছোঁড়া বিষ 60 থেকে 100জন মানুষের মৃত্যু ঘটাতে সক্ষম।
দুই : ব্ল্যাক মাম্বা
বিশ্বে বিষাক্ততা ও ভয়ংকরতার দিক দিয়ে ব্ল্যাক মাম্বা আছে দ্বিতীয় অবস্থানে। পাওয়া যায় আফ্রিকায়। এতে নিউরোটক্সিন বিষ পাওয়া যায় যা খুবই বিষাক্ত। এটি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুততম সাপ এবং ভীতু, তাই আক্রমণকারীকে আগেই আক্রমণ করে থাকে। ছোবল দেওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই মৃত্যু ঘটে।
তিন : পাইথন
আকৃতিতে বড় হওয়ায় একে সর্প জগতের দৈত্য বলা হয়ে থাকে। বিষ না থাকলেও নিজের আকৃতির চেয়ে বড় আকৃতির জীব অনায়াসে গিলে খেয়ে ফেলতে পারে। তাই একে ভয়ঙ্কর সাপের তালিকায় স্থান দেওয়া হয়েছে। লম্বায় প্রায় বিশ ফুট। খাওয়ার আগে শিকারকে শক্তভাবে পেঁচিয়ে ধরে ফলে শিকারের রক্ত চলাচল ও হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে মারা যায়।
চার : কালকেউটে
লম্বায় সর্বোচ্চ 18 ফুট পর্যন্ত হতে পারে এ সাপ।শরীরের এক - তৃতীয়াংশ মাটির ওপরে রেখে ফনা তুলে দ্রুত এগিয়ে যেতে পারে এবং গর্জনও করে। তাহলে ভাবুন কেমন ভয়ংকর হতে পারে। ভারতে বেশি দেখা যায় এদের। এক ছোবলে ছোঁড়া বিষের পরিমাণ প্রায় দুই চামচ যা 20 জন মানুষের মৃত্যুর জন্য যথেষ্ট। সাধারণত কয়েক মিনিট হতে সর্বাধিক আধা ঘন্টার মধ্যে মৃত্যু ঘটে।
পাঁচ : ভাইপার
লম্বায় এরা প্রাঁয় 5 ফুট হয়ে থাকে। এদের বিষ মাংসকে গলিয়ে দিতেও সক্ষম। ভারতসহ এশিয়ার বিভিন্ন দেশে এদের দেখা যায়। সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা যায় এদের কামড়ে। অপরিচ্ছন্ন বাড়ির আশেপাশে বা নারিকেল গাছের পাতার ভাঁজে লুকিয়ে থাকতে পছন্দ করে। এরা নিশাচর প্রকৃতির। এদের অনুভব শক্তি প্রখর এবং বেশ ক্ষিপ্ত গতিরও বটে। তীব্র হিমোলেটিভ ধরনের হওয়ায় এদের বিষ সরাসরি রক্ত ও টিস্যুকে আক্রমণ করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:৪০