somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পরিক্ষার যাঁতাকলে জীবন যেখানে অতিষ্ঠ

০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরীক্ষা নামক বিভীষিকাটা কেন জানি আগের মতো মনে দাগ কাটতে পারে না। আগের মতো শিহরণও সৃষ্টি করতে পারে না।তবুও কেউ যদি জিজ্ঞেস করে, কাল ফ্রী আছ নাকি? উত্তরে প্রায়ই বলতে হয়, কাল /পরশু পরিক্ষা আছে। একই লোক যদি এরকমভাবে কিছুদিন পরপর জিজ্ঞেস করে এমন উত্তর পায় তাহলে অনেকেই বলে থাকে তোমাদের এত পরিক্ষা কেন! হয়তো কেউ কেউ বিশ্বাস করতেও দ্বিধাবোধ করেন। কেউবা বিরক্তও হন। ফলে নিজে বিব্রতকর পরিস্থিতির শিকার হই। আমাদের এই সেমিষ্টারে ( 9×2+7+9+7) 41 টি পরিক্ষা। কিছু পরিক্ষা পার্টলি হওয়ার কারণে পরিক্ষার সংখ্যা 41টিরও বেশি হয়। এছাড়া অ্যাসাইন্টমেন্ট বা এ ধরনের ব্যাপার -স্যাপার তো আছেই। আর 5টা পর্যন্ত ক্লাসের কথা নাইবা বললাম। এটা আমাদের শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।
অন্যান্য কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় যেমন -বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সহ বেশ কিছু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু বা বড় ভাইদের সাথে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের এত পরিক্ষার চাপ নেই।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে তো ইয়ার সিস্টেম। তাই পরিক্ষার চাপ আরও কম। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো র্ ্যাঙ্কিংয়ে বরাবর প্রথম দিকেই আছে। কিন্তু কেন? কীভাবে? বিশ্ববিদ্যালয়ের শীট, বই পড়ে সবাই শিক্ষক হবে না। কেউ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, শিল্পী, বিজ্ঞানী, বড় চাকুরে বা আরো অনেক কিছুই হবে। এজন্য পড়াশোনার ফাকে ফাকে কিছু সময় ব্যয় করার দরকার হয় তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য। কিন্তু আমাদের সেই পরিমাণ পর্যাপ্ত সময় কই? ক্লাস, পরিক্ষার যাঁতাকলে পিষ্ট হতে হচ্ছে সর্বদাই। অনেকে যুক্তি দেখান বেশি বেশি পরিক্ষা না নিলে শিক্ষার্থীরা ঘোরাঘুরি করে সময় নষ্ট করে। কিন্তু অনেকে আবার সেই সময়টায় আইইএলটিএস, জিআরই, বিসিএস, চাকুরী পরিক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। অসচ্ছল পরিবারের অনেকেই বা যারা নিজের খরচ নিজেই জুগিয়ে নিতে চান তাঁরা সেই সময়টায় টিউশনি, পার্টটাইম জব বা অন্য কিছু করেন। কেউবা সেই সময়টায় তার মনে লালিত স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য কাজ করার সুযোগ পায়। একটা বিশ্ববিদ্যালয় তখনই সেরার আসনে অধিষ্ঠিত হয় যখন তার শিক্ষার্থীরা দেশে বা বিদেশে বিভিন্ন সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ সেরা কাজগুলি করতে পারে বা পদগুলিতে অধিষ্ঠিত থাকে। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য সব রাস্তাই খোলা রাখা উচিত। দরকার শুধু মনটাকে সঠিকপথে চালানোর সঠিক নির্দেশনা। গবেষণায় আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এখন উল্লেখযোগ্য খুব বেশি কিছু নেই যা নিয়ে আমরা বিশ্বে মাথা উচুঁ করে গর্ব করতে পারি! থাকবে কিভাবে? বাজেট বাড়ে কিন্তু গবেষণার বাজেট বাড়ে না। ক্ষেত্রবিশেষে বাড়লেও নামমাত্র, প্রয়োজনের তুলনায় নগন্য। এক শ্রেণীর লোকের কথা বিবেচনা করে আইন তৈরি করলে তা কখনও শতভাগ সঠিক হয় না, প্রয়োজন সকলের দিকটা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।

আবেগের বশবর্তী হয়ে কথাগুলো বলে ফেললাম। কোনো ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করেও লেখা হয় নি এটা। নিজের উপলব্ধি থেকে কয়েকটি কথা বললাম। কাউকে মনে কষ্ট না নেওয়ার জন্য অনুরোধ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা আগস্ট, ২০১৭ বিকাল ৩:৫৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×