---------------ড. রমিত আজাদ
ভীরু-শিহরণা, পিঙ্গলনয়না
মৃদু অভিমনা, স্বপ্ন-চয়না,
কেঁদে যায় তব গীত-সুর
মৌন মুখেতে, রাত্রী-নিশীথে
তন্দ্রা ভাঙিছে, চন্দ্রা জাগিছে,
বিরহের গান বেদনা-বিধুর।
বলতে গিয়েও থমকে দাঁড়াও,
প্রকাশ ছেপে, দৃষ্টি এড়াও,
অধীরতায় ওষ্ঠ কাঁপে,
বক্ষমাঝে কান্না চাপে।
তোমার মনের মাঝে ফুঁসছে আশা
বুকের মাঝে ভয়,
কুল ভেঙেছে সাগর তীরে,
হৃদয় নীড়ে নয়।
ইরাণী-গোলাপ, মনের প্রলাপ
চাপছো কেন মনে?
বলেই ফেলো শেষ বেলাটায়,
দোলা লাগাও বনে।
কি ভাবছো? কাকে বলি? ঠিক কি হবে বলা?
তিনি যে হন, অন্য কারো, পরের গলার মালা!
কুমারী মন, হয় উচাটন,
খুলে দিয়ে দূর বাতায়ন,
একা একাই হাসে-কাঁদে
ছবি আঁকে, রাতের চাঁদে,
প্রিয়জনের সুদূর কায়া,
কেমন মধুর স্বপ্ন ছায়া।
পাবোনা জানি, তুমিও বোঝনি
তোমারই মতো, গোপনে আপনি
বেসেছি তোমায় ভালো,
বুকের গভীরে, মনের নীবিড়ে
জ্বেলেছি প্রেমের আলো।
ওগো শরৎের পরী,
চলো অভিসারী,
শরৎের সাদা বনে।
একুল-ওকুল শরৎের কাঁশফুল
নদীর তীরেতে, সুধীর তরীতে
নতুন করিয়া, করিব তব
অতি পুরাতন সেই,
শত জনমের ভুল।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৩৬