somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পর্যটন শিল্প গড়ার অপার সম্ভাবনাময় কিশোরগঞ্জ জেলা

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ১:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের ইতিহাস ঐতিহ্যের সুপ্রাচীন একটি জেলা কিশোরগঞ্জ। হাওর-বাওর ও সমতলভূমির বৈচির্ত্যময় ভূ-প্রকৃতির একটি বিস্তীর্ন জনপদ এই কিশোরগঞ্জ জেলা। কিশোরগঞ্জে জেলার ভৌগোলিক আয়তন প্রায় ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার। ২,৬৮৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই জেলায় রয়েছে ১৩টি উপজেলা, ১৯টি থানা, আটটি পৌরসভা ও ১০৮ টি ইউনিয়ন পরিষদ। এই জেলার উত্তরে নেত্রকোনা ও ময়মনসিংহ জেলা। দক্ষিণে নরসিংদী ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা। পূর্বে সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ জেলা। পশ্চিমে ময়মনসিংহ ও গাজীপুর জেলা।



কিশোরগঞ্জের ইতিহাস
প্রাচীন ইতিহাস ও লোক মুখে কথিত আছে ইংরেজী বর্ষের ষষ্ঠ শতকে বর্তমান কিশোরগঞ্জ জেলার বত্রিশ একাকার বাসিন্দা কৃষ্ণদাস প্রামাণিকের ছেলে নন্দকিশোর পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর উৎস নদী নরসুন্দার তীরে একটি গঞ্জ প্রতিষ্ঠা করেন। এ গঞ্জ সবার কাছে নন্দকিশোরের গঞ্জ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। কালের পর্যায়ক্রমে এই গঞ্জের নাম হয়ে উঠে কিশোরগঞ্জ।

১৮৬০ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ জেলার একটি মহকুমা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে কিশোরগঞ্জ। ১৯২১ সালে থানা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। এবং পরবর্তীতে উপজেলায় রুপান্তরিত হয়। তারপর ১৮৬৯ সালে কিশোরগঞ্জ পৌরসভা গঠিত হয়।১৯৮৪ সালে কিশোরগঞ্জ জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে। এর থেকেই প্রমাণিত হয় কিশোরগঞ্জ জেলা শহর সুপ্রাচীন।

কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্য
ঐতিহ্য সমৃদ্ধ কিশোরগঞ্জে ঘিরে আছে অসংখ্য ইতিহাস ঐতিহ্য। রয়েছে প্রাচীন এবং আধুনিক বিখ্যাত স্থাপত্বের নানা নিদর্শন।

শোলাকিয় ঈদগাহ ময়দান
কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশী পরিচিত শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। যার অবস্থান কিশোরগঞ্জ পৌর শহরের শোলাকিয়া এলাকায়। যার দূরত্ব কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশন কিংবা বত্রিশ বাস স্টেশন, অথবা গাইটাল বাস স্টেশন থেকে এক কিলোমিটারের ভিতরে।

জঙ্গলবাড়ি দুর্গ
কিশোরগঞ্জে রয়েছে ঈশা খাঁর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা। যার নাম জঙ্গলবাড়ি দুর্গ। এটি ছিল ঈসাখাঁর দ্বিতীয় রাজধানী। যা এখন বাংলাদেশের প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা। জঙ্গলবাড়ি দুর্গের অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার করিম গঞ্জ উপজেলার কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের জঙ্গলবাড়ি গ্রামে নরসুন্দা নদীর তীরে। এটি জঙ্গলবাড়ি নামেই সবার কাছে পরিচিত। যার দূরত্ব কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে মাত্র ৫,৭ কিলোমিটার।

চন্দ্রাবতী মন্দির
বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি খ্যাত চন্দ্রাবতীর স্মৃতিবাহী একটি স্থাপনা হচ্ছে চন্দ্রাবতী মন্দির। এটিও বাংলাদেশের প্রতœতাত্ত্বিক অধিদপ্তর কর্তৃক তালিকাভুক্ত একটি প্রতœতাত্ত্বিক স্থাপনা। চন্দ্রাবতী মন্দিরটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার মাইজখাপন ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামে ফুলেশ্বরী নদীর তীরে।

এগারসিন্দুর দুর্গ
কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় রয়েছে এগারসিন্দুর দুর্গ। তবে এগারসিন্দুর দুর্গ- কে নির্মাণ করেন তা নিয়ে রয়েছে মতভেদ । কেহ বলেন রাজা আজাহাবা আবার কারো মতে বেবুদ রাজা এবং কারো মতে সিলেটের রাজা গৌর গ্যেবিন্দ। বাংলার বার ভূঁইয়ার প্রধান ঈসাখাঁ কোচ হাজং রাজাদের পরাজিত করে এগারসিন্দুর দুর্গটি দখল করেন। এ দুর্গ থেকেই পরবর্তীতে মোঘল সেনাপতি রাজা দুর্জন সিংহ ও পরে রাজা মানসিংহকে পরাজিত করতে সমর্থ হন। তখন থেকেই এগারসিন্দুর দুর্গটি ঈশাখাঁর দুর্গ নামে খ্যাত। এই এগারোসিন্দুর দুর্গটি ঈসাখাঁ দুর্গ নামেই সবার কাছে বর্তমানে পরিচিত। এর অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়কের পাশে। যার দুরত্ব পাকুন্দিয়া উপজেলা সদর থেকে মাত্র ১১ কিলোমিটারের ভিতর।

দিল্লির আখড়া
কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলের অন্যতম সেরা আকর্ষণ দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীরের স্মৃতি বিজড়িত স্থাপনা দিলির আখড়া এই আখড়াকে ঘিরে রয়েছে বিশাল ইতিহাস। এই দল্লিরি আখড়াটি নির্মাণ করেন দিল্লির সম্রাট জাহাঙ্গীর। সেই থেকে এই আখড়াটি দিল্লির আখড়া নামে পরিচিতি। এর অবস্থান কিশোরগঞ্জের হাওর অধ্যুষিত মিঠামইন উপজেলার শেষ প্রান্তে। এখানে যেতে হয় স্থলপথে কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে চামরাঘাট পর্যন্ত। তারপর নৌপথে চামরাঘাট থেকে মিঠামইন উপজেলার শেষ প্রান্তে দিল্লির আখড়ায়।

পাগলা মসজিদ
প্রায় আড়াইশ বছরের পুরনো আধুনিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত পাগলা মসজিদটি নানা ধরণের ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্থাপনা হিসেবে খ্যাত। জনশ্র“তি আছে যে, পাগলবেশী এক আধ্যাÍিক পুরুষ খরস্রোতা নরসুন্দা নদীর মধ্যস্থলে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে স্থিতু হন এবং তাঁকে ঘিরে আশেপাশে অনেক ভক্তকূল সমবেত হন। উক্ত পাগলের মৃত্যুর পর তাঁর সমাধির পাশে পরবতীতে এই মসজিদটি গড়ে উঠে। তাই কালক্রমে এটি পাগলা মসজিদ নামে পরিচিত হয়ে উঠে। মসজিদটি শুধু ইসলাম ধর্মাবলম্বীর কাছেই নয়, বৃহত্তর ময়মনসিংহ অঞ্চল ও এর আশপাশের সকল র্ধমাবলম্বীর কাছে অত্যন্ত পবিত্র ধমীয় স্থান হিসেবে পরিগণিত। অনেকের বদ্ধমূল বিশ্বাস যে, কেহ সহি নিয়তে এ মসজিদে দান খয়রাত করলে তার ইচ্ছা পূর্ণ হয়। মসজিদটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ শহরের পশ্চিম প্রান্তের হারুয়া নামক এলাকায়। যার দূরত্ব কিশোরগঞ্জ রেল স্টেশন কিংবা বত্রিশ বাস স্টেশন, অথবা গাইটাল বাস স্টেশন থেকে এক কিলোমিটারের ভিতরে।

সুকুমার রায় ও সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি
বিখ্যাত ছড়াকার ও শিশু সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের পৈত্রিক বাড়ি এবং তার সন্তান অস্কার বিজয়ী চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের পৈতিক বাড়ি কিশোরগঞ্জ জেলাতেই। যেটা সত্যজিৎ রায়ের পৈত্রিক বাড়ি নামে পরিচিত। বাড়ির ভিতরে রয়েছে কারুকার্য খচিত প্রাচীন দালান, বাগানবাড়ী, হাতীর পুকুর, খেলার মাঠ ইত্যাদি। এই বাড়ীতে ১৮৬০ সালের ১২ মে জন্মগ্রহণ করেন সুকুমার রায়ের পিতা এবং সত্যজিৎ রায়ের পিতামহ প্রখ্যাত শিশু সাহিত্যিক উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী। তিনি ছিলেন বিখ্যাত শিশু কিশোর পত্রিকা ‘সন্দেশের’ (১৯১৩) প্রতিষ্ঠাতা স¤পাদক। এই বাড়িটির অবস্থান কিশোরগঞ্জে জেলার কটিয়াদী উপজেলার ছোট গ্রাম মসুয়ায়। যেটি কিশোরগঞ্জ জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার আগের কটিয়াদি উপজেলায়।

দুর্জয় ভাস্কর্য
মহান মুক্তিযোদ্ধের একটি স্মৃতিময় ভাস্কর্য দুর্জয় ভাস্কর্য। যাতে ১৯৭১ সালে পাকহানাদার বাহিনীর হাতে ভৈরব উপজেলার শাহাদাৎ বরণকারী ১২ জন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে একটি নাম ফলক উন্মোচন করা আছে। এটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার কমলগঞ্জ মোড়, ঢাকা সিলেট হাইওয়ে, ঢাকা সিলেট ভৈরব বাজার ও কিশোরগঞ্জ চৌরাস্তা মোড়ে অবস্থিত। এটি কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের ৫৬ কিলোমিটার আগে।

বৌলাই সাহেব বাড়ী
মুসা খাঁ তৎপরতা প্রধানত নৌযুদ্ধে সীমাবদ্ধ ছিল বলে, ভাটি অঞ্চলের মুখে ব্রহ্মপুত্র নদের শাখা নরসুন্দার পারে অবস্থিত জঙ্গলবর্তি দূর্গই ছিল মুসা খার প্রধান ঘাটি । সেই কারনে নরসুন্দার অপর পারে পুরান বৌলাইয়ে স্থাপিত হয়, আমীর করিম খাঁর অধীনে মুঘল নৌঘাটি । এই নৌঘাটি সদর থানাধীন বৌলাই ইউনিয়নের বৌলাই সাহেব বাড়ী নামেই বর্তমানে পরিচিত। কালের আবর্তে বিখ্যাত পরিবারটি ছড়িয়ে ছিটিয়ে গেলেও তাঁদের আবাস ভাটির ভগ্নদশা, প্রাচীন পুকুর, গোর¯হান, মসজিদ আজো পুরনো দিনের প্রাচুর্য্যের কথা মনে করিয়ে দেয় । বৈলাই সাহেব বাড়িটির অবস্থান কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার বৈলাই ইউনিয়নের পুর্ব ভরাটী বৈরাগীর চর গ্রামে। এর দূরত্ব কিশোরগঞ্জ শহর থেকে মাত্র তিন কিলোমিটার।

আজিমের মসজিদ
এই সাহেব বাড়ি থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরে মাহতাব চেয়ারম্যান বাজারে ছিল ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত আজিমের মসজিদ। যেটি এখন আর নেই। গেল কয়েক বছর আগে ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত আজিমের মসজিদটি ভেঙ্গে কোন একটি ধর্মীয় সংস্থা নতুন একটি মসজিদ নির্মাণ করে। তাতে হারিয়ে যায় ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত আজিমের মসজিদটি। তাই এই মসজিদের কোন ইতিহাস ঐতিহ্য ও ছবি সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি।

কিশোরগঞ্জের সংস্কৃতি
কিশোরগঞ্জ জেলার পরতে পরতে লুকিয়ে আছে দেশীয় লোক সংস্কৃতি। ডঃ দীনেশ চন্দ্র সেন যে হারানো গীতিকা স¤পদকে উদ্ধার করে ইংরেজীতে অনুবাদ করে আমাদেরকে বিশ্বের কাছে বরেণ্য করে তুলেছেন তার চুয়াল্লিশটি গীতিকার মধ্যে ত্রিশটি ছিল পূর্ব ময়মনসিংহের অর্থাৎ কিশোরগঞ্জ মহকুমার। কিশোরগঞ্জ জঙ্গলবাড়ীর কোচ রাজা লক্ষন হাজরা, সুশংরাজ রঘুপতি আর এগারসিন্দুর বেবুদ রাজার কাহিনী এদেশের ইতিহাস সংস্কৃতে কিংবদন্তী। বাংলা সাহিত্যের মঙ্গল কাব্যের প্রথম রচয়িতা দ্বিজবংশী দাসের পূন্যভূমি এই কিশোরগঞ্জ জেলা। তাঁরই কন্যা মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যের আদি মহিলা কবি চন্দ্রাবতী। তিনিই রামায়নের সার্থক অনুবাদকারী ফোকলোর কাব্যের নায়িকা।

কিশোরগঞ্জ জেলার লোকজ সাহিত্য সংস্কৃতিতে রয়েছে বিশাল ঐতিহ্য। এ জেলার লোকজ সংগীত, পালাগান, বাউলগান, কীর্তন, কিচ্ছা কাহিনী, জারী, সারি, নাটক, যাত্রাপালা, বিয়ের প্রবাদ-প্রবচন, পুঁথি, টপ্পা, নৌকা বাইচের গান, হাস্য রসাÍক শোলক, ধাঁ ধাঁ ইত্যাদি ইত্যাদি আমাদের সুপ্রাচীনঐতিহ্যকে আজও স্বাতর্ন্ত্য ও স্বকীয়তায় উজ্জ্বল করে রেখেছে।

কিশোরগঞ্জের প্রকৃতি
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপার লীলাভূমি কিশোরগঞ্জ জেলা। হাওর-বাওর ও সমতল ভূমির বৈচির্ত্যময় ভূ-প্রকৃতির একটি বিস্তীর্ণ জনপদ এই কিশোরগঞ্জ জেলা। সুনামগঞ্জ নেত্রকোনার মতো কিশোরগঞ্জকেও বলা হয় ভাটির দেশ। জেলার সর্বত্র জুরে যেন চোখ ধাঁধানো সবুজ শ্যামলিমার ধাঁরা। প্রকৃতির সৌন্দর্যের অপরুপ মিলনমেলা এ জেলার হাওর অঞ্চলে। বর্ষার মৌসুমে এ জেলার হাওরঅঞ্চল থৈথৈ করে জলতরঙ্গে। জলের কলতান বাতাসে বাতাসে উড়ে বেড়া। শুধু জল প্রবাহ নয়, প্রচন্ড ঢেউ আছড়ে পড়ে দ্বীপ সদৃশ্য ভূ-খন্ডে। যেন বাংলাদেশের ভিতরে আরেকটি সাগর। এই থৈথৈ জলরাশি ফুটিয়ে তুলে প্রকৃতির প্রকৃত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কিশোরগঞ্জ জেলার হাওর অঞ্চলে। এই হাওর অঞ্চলে সাগরের দ্বীপের মতো গুচ্ছ গ্রাম গুলিকে ভাসিয়ে রাখে পরম ভালবাসায় তার বুকে। জ্যোৎøা রাতে চাঁদ ডুব সাতার খেলে এই হাওর জলে। অমাবস্যায় খেলে লুকোচুরি। সূর্যের কিরণ লেগে হাওরের জল ধারণ করে রুপা রঙ। শীতে কোথাও কোথাও হয়ে উঠে ধুধু বালুচর। কোথাও কোথাও থেকে যায় জলের কলকলানি। সেই জলে সাতার কাটে শতশত অতিতি পাখির দল। ধানী মৌসুমে এ হাওর ভরে উঠে সবুজ শ্যামলিমায়। এখানেই বাংলাকে পাওয়া যায় বাংলার রুপে বাংলার প্রকৃতি।

কিশোরগঞ্জের কৃতি ব্যক্তিত্ব
রাষ্ট ও সামাজিক উন্নয়ন, অর্থনৈতিক উন্নয়ন, পর্যটন, ক্রীড়া, সংস্কৃতি সহ অন্যান্য দিকে অন্যান্য জেলার থেকে পিছিয়ে পরা কিশোরগঞ্জ জেলা জন্ম দিয়েছে দেশের অসংখ্য সূর্য সন্তানদের। তাদের মধ্যে বীর মুক্তিযুদ্ধা, বুদ্ধিজীবী, রাজনীতিবিদ, চিত্রশিল্পি, কন্ঠ শিল্পি, অভিনয় শিল্পি, ছড়াকার, কবি সাহিত্যিক, ইতিহাসবিদ, সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব, শিল্পপতি, শিক্ষাবিদ, বিচারপতি অন্যতম। ছয় চল্লিশ বৎসর বয়সী বাংলাদেশের বিশজন রাষ্টপ্রধান অর্থাৎ রাষ্টপতির মধ্যে এ পর্যন্ত কিশোরগঞ্জের তিনজন অসীন হয়েছেন। যা গোটা বাংলাদেশের অন্য সব জেলার বেলা বিরল।

কৃতী ব্যক্তিত্বের তালিকা

• সৈয়দ নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশের প্রথম অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকার গঠন করেন।
• জিল্লুর রহমান, বাংলাদেশর মহামান্য রাষ্টপতি এবং একজন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
• আব্দুল হামিদ, বাংলাদেশের বর্তমান রাষ্ট্রপতি । একজন আইনজীবী ও রাজনীতিবিদ।
• আইভি রহমান, একজন সংসদ সদস্য ও বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
• ডঃ ওসমান ফারুক, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
• সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, বাংলাদেশের বর্তমান মাননীয় মন্ত্রী এবং বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ।
• মো মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি।
• মনিব খান, সাবেক সেনাপ্রধান।
• তৌহিদুল ইসলাম শরীফ, সাবেক ডিআইজি।
• ক্যাপ্টেন ডা :সেতারা বেগম, বীরপ্রতীক খ্যাত বীর মুক্তিযুদ্ধা।
• জয়নুল আবেদীন, বাংলাদেশের খ্যাতিনামা চিত্রশিল্পী।
• বংশীদাস, মনসামঙ্গলের কবি।
• চন্দ্রাবতী, প্রথম বাঙালি মহিলা কবি।
• শহীদ ডাঃ এ এফ এম আবদুল আলীম চৌধুরী, চিকিৎসক ও শহীদ বুদ্ধিজীবী।
• উপেন্দ্র কিশোর রায় চৌধুরী, লেখক, চিত্রশিল্পী।
• কেদারনাথ মজুমদার, বিশিষ্ট ইতিহাসবিদ।
• সুকুমার রায়, কবি, ছড়কার, গল্প লেখক ও নাট্যকার।
• মনির উদ্দীন ইউসুফ, বিখ্যাত ফার্সীগ্রন্থ শাহনামা অনুবাদক।
• ত্রৈলোক্যনাথ চক্রবর্তী, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের
• একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
• মোহন কিশোর নমোদাস, ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের
• একজন অন্যতম ব্যক্তিত্ব এবং অগ্নিযুগের বিপ্লবী।
• নীরদ চন্দ্র চৌধুরী, লেখক।
• মরহুম হামি উদ্দিন আহমেদ (খান সাহেব) সাবেক পূর্ব পাকিস্থানের প্রথম কৃষিমন্ত্রী।
• নীহার রঞ্জন রায়, ইতিহাসবেত্তা।
• দেবব্রত বিশ্বাস, রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী।
• প্রবোধ চন্দ্র গোস্বামী, শিক্ষাবিদ।
• সত্যজিত রায়, অস্কার বিজয়ী ভারতীয় চলচ্চিত্রকার।
• আবুল ফতেহ, কূটনৈতিক ও রাজনীতিবিদ ।
• জহুরুল ইসলাম, বিশিষ্ট শিল্পপতি।
• আবুল কাসেম ফজলুল হক, বাংলাদেশের প্রখ্যাত প্রাবন্ধিক ও রাষ্ট্র চিন্তাবিদ।
• আনন্দমোহন বসু, বাঙালি রাজনীতিবিদ এবং সমাজসেবক।
• কাজী আব্দুল বারী, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযোদ্ধের সংগঠক, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক।
• রেবতী মোহন বর্মণ, অবিভক্ত ভারতের ছাত্র আন্দোলনের জনক, ভারতীয় যুব কংগ্রেসের
• সভাপতি, সংগ্রামী রাজনৈতিক প্রবাদ পুরুষ বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং অতুর্জ্জ্বল কমিউনিস্ট বিপ।
• ইলিয়াস কাঞ্চন, বাংলা চলচ্চিত্রের দর্শকনন্দিত নায়ক।
• সায়মন সাদিক, চলচিত্র অভিনেতা।
• শাহ আব্দুল হান্নান, ইসলামী দার্শনিক, শিক্ষাবিদ, লেখক, অর্থনীতিববিদ ও সমাজ সেবক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান,
দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর, দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয় ও নর্থ সাউথ
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চ্যান্সেলর।
• অধ্যাপক ডাঃ হাবিবুর রহমান, কিশোরগঞ্জ জেলার প্রথম অধ্যাপক ও ডাক্তার।
• গুরুদয়াল দাস, যার নামুসারে গুরুদয়াল কলেজের নাম।

কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থান
অন্যান্য জেলার তুলনায় কিশোরগঞ্জ জেলায় রয়েছে প্রচুর দর্শনীয় স্থান। কিন্তু প্রচার ও প্রসারের অভাবে রয়ে গেছে তা দেশ বিদেশের অধিকাংশ ভ্রমন পিপাসুদের অজানা। কিশোরগঞ্জের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে প্রধান আকর্ষণ ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ঈদগাহ ময়দান। প্রতি বছর দুই ঈদের জামাতে এই ঐতিহাসিক ঈদগাহ ময়দানে দূরদূরান্তের জেলার মানুষ আসেন ঈদের নামাজ আদায় করতে। তা ছাড়া সারা বছর এই ময়দানে দর্শকের আনাগোনো লেগে থাকে। তবে এদের মধ্যে স্থানীয়দের হার খুব বেশী।

দর্শনীয় স্থানের তালিকা

• শোয়াকিয়া ঈদগাহ ময়দান- শোলাকিয়া, কিশোরগঞ্জ।
• হাতিরঝিল খ্যাত নরসুন্দা লেকসিটি- মুল অংশ মুক্তমঞ্চ, গুরুদয়াল কলেজ, কিশোরগঞ্জ।
• ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ- হারুয়া, কিশোরগঞ্জ।
• ঐতিহাসিক শহীদি মসজিদ- শহীদি মসজিদ, পুরান থানা, কিশোরগঞ্জ।
• সাহেব বাড়ি- পূর্ব ভরাটি, করিমগঞ্জ রোড বৈলাই, কিশোরগঞ্জ।
• চন্দ্রাবতী মন্দির- কাচারীপাড়া গ্রামের মাইজখাপন ইউনিয়নের কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা।
• সাদী মসজিদ- এগারসিন্দুর, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• হযবত নগরবাড়ি মসজিদ- কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• শোলাকিয়া ধড় শহীদের মাজার- কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• রাজা গোবর্ধনের বাড়ি ও কালী বাড়ি- কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• প্রামাণিক বাড়ি- কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• শ্রী শ্রী শ্যামা সুন্দর লক্ষী নারায়ন জিউর আখড়া, কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• রাজা গোবর্ধনের বাড়ি ও কালী বাড়ি- কিশোরগঞ্জ সদর, কিশোরগঞ্জ।
• ঈসাখাঁর জঙ্গল বাড়ি- জঙ্গলবাড়ি গ্রামের কাদির জঙ্গল ইউনিয়নের করিমগঞ্জ উপজেলারকিশোরগঞ্জে।
• জঙ্গল বাড়ি মসজিদ, করিমগঞ্জ উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• সুকুমার রায়, সত্যজিৎ রায়ের বাড়ি- ছোট গ্রাম মসুয়া, কটিয়াদি উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• হয়রত শামছুউদ্দিন বোখারির মাজার- কটিয়াদি উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• ভোগবেতাল গোপীনাথ জিউর মন্দির- কটিয়াদি উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• দুর্জয় ভাস্কর্য- কমলগঞ্জ মোড়, ঢাকা সিলেট হাইওয়ে, ভৈরব কিশোরগঞ্জ।
• সৈয়দ নজরুল সেতু- মেঘনা নদী, ভৈরব সেতু, ঢাকা সিলেট হাইওয়ে, ভৈরব কিশোরগঞ্জ।
• জহুরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ- ভাগলপুর, বাজিতপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• হিলচিয়া সহয়নী বৌদ্ধ- বাজিতপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• ভাগলপুর দেওয়ান বাড়ি ও মসজিদ- বাজিতপুর উপজেলা করিমগঞ্জ।
• পাগলা শংকরের আখড়া, বাজিতপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• জাওয়ার সাহেব বাড়ি- তাড়াইল উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• কালনার আখড়া- তাড়াইল উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• সিকান্দার শাহের মাজার, তারাইল উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• গিরগিন শাহের মাজার- পাকুন্দিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• শাহ গরিবউল্লা মাজার- পাকুন্দিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• সালংকা জামে মসজিদ- পাকুন্দিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• এগারোসিন্দুর দুর্গ-কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলার মঠখোলা-মির্জাপুর-পাকুন্দিয়া সড়ক।
• কালী মন্দির- পাকুন্দিয়া উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• চন্দ্রনাথ গোঁসাই’র আখড়া- নিকলি উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• গুড়ই মসজিদ- নিকলি উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• দেওয়ান বাড়ি- ইটনা উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• কাইল্লা শা ও মাইট্যা মাজার- ইটনা উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• বাদশাহী মসজিদ- ইটনা উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• গঙ্গাটিয়া জমিদার বাড়ি- হোসেনপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• মানব বাবুর বাড়ি- গাঙ্গাটিয়া গ্রাম, গোবিন্দপুর ইউনিয়ন, হোসেনপুর উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• দিল্লির আখড়া- দিল্লির আখরা, মিঠামইন উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• কুতুব শাহ মসজিত, অষ্টগ্রাম উপজেলা, কিশোরগঞ্জ।
• বিস্তীর্ণ হাওর অঞ্চল-মিটামইন উপজেলা,নিকলি উপজেলা,অষ্টগ্রাম উপজেলা,ইটনা উপজেলা,কিশোরগঞ্জ।

কিশোরগঞ্জে পর্যটন শিল্প গড়ার অপার সম্ভাবনা
ইতিহাস ঐতিহ্য প্রকৃতি সংস্কৃতিতে ভরপুর কিশোরগঞ্জ জেলায় পর্যটন শিল্প গড়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে। কিশোরগঞ্জ পর্যটন শিল্প বিকাশের ক্ষেত্রে আছে উজ্জল সম্ভাবনা। কিন্তু পর্যটনের অপার সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কিশোরগঞ্জ জেলা পর্যটন খাত বিকাসে অনেক পিছিয়ে আছে। এই পিছিয়ে পরার প্রধান কারণ প্রশাসনিক পৃষ্টপোষকতা, প্রচার ও প্রসারের অভাব।এতে রয়েছে কিশোরগঞ্জের নাকরিগদেরও বিশাল দায়। স্থানীয় নাগরিকদের এই দায় এড়িয়ে যাবার সুযোগ তাদের নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্যে প্রকৃতি সংস্কৃতি পরিবেশকে আতুর করে করে দিচ্ছে। আর এই দায় মুক্তির ফল তাদের জন্য অশুভ তার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হারিয়ে যাওয়া বৌলাইর ঐতিহাসিক আজিমের মসজিদটি। জরাজীর্ণ ভাবে পরে আছে জেলার অন্যান্য ঐতিহাসিক ও ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা গুলি।

কিশোরগঞ্জের পর্যটন শিল্প বিকাসে প্রশাসনিক পৃষ্টপোষকতা প্রচার ও প্রসার গড়ে তুলতে পারে কিশোরগঞ্জ জেলাকে পর্যটন শিল্পে। এই শিল্প গড়ায় বেপক অবদান রাখতে হবে কিশোরগঞ্জের স্থানীয় নাগরীকদের। না হয় কালের বিবর্তনে বৌলাইর ঐতিহাসিক স্থাপত্য শৈলীতে নির্মিত আজিমের মসজিদের মতো হারিয়ে যাবে কিশোরগঞ্জ জেলার সকল ইতিহাস ঐতিহ্য প্রকৃতি ও সংস্কৃতি। তাই এখনি সময় স্থানীয় নাগরীকদের এক্যবদ্ধ হয়ে কিশোরগঞ্জ পর্যটন শিল্প গড়ার প্রত্যয় নিয়ে ইতিহাস ঐতিহ্য পরিবেশ প্রকৃতি সংস্কৃতি রক্ষার আন্দোলনে নামার। বাংলাদেশের প্রতিটি অঞ্চল ও পৃথিবীর বুকে তাদের ইতিহাস ঐতিহ্য পরিবেশ প্রকৃতিকে তুলে ধরার। বিকশিত করার তাদের অপার সম্ভাবনার পর্যটন খাতকে। এতেই অর্থনৈতিক দুর্বল কিশোরগঞ্জ জেলাবাসী পাবেন অর্থনৈতিক মুক্তি। অর্থনৈতিক মুক্তিই ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল দুটি উদ্দেশ্যর অন্যতম একটি। মনে রাখতে হবে যে যতো বেশী অর্থনৈতিক মুক্ত, সে ততো বেশী স্বাধীনতা ভোগি।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৭ দুপুর ২:০২
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিব নারায়ণ দাস নামটাতেই কি আমাদের অ্যালার্জি?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৭


অভিমান কতোটা প্রকট হয় দেখেছিলাম শিবনারায়ণ দাসের কাছে গিয়ে।
.
গত বছরের জুন মাসের শুরুর দিকের কথা। এক সকালে হঠাৎ মনে হলো যদি জাতীয় পতাকার নকশাকার শিবনারায়ণ দাসের সঙ্গে দেখা করা সম্ভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতি মাসে সামু-ব্লগে ভিজিটর কত? মার্চ ২০২৪ Update

লিখেছেন জে.এস. সাব্বির, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৮

মার্চ ২০২৪ সালে আমাদের প্রিয় সামু ব্লগে ভিজিটর সংখ্যা কত ছিল? জানতে হলে চোখ রাখুন-

গত ৬ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিউ ছিল জানুয়ারি মাসে। ওই মাসে সর্বমোট ভিজিট ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×