somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জরুরী দো‘আ সমূহ #৫

২৫ শে আগস্ট, ২০১২ রাত ১২:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিভিন্ন সময়ের দো‘আ সমূহ

৬. সফর বিষয়ে :

(ক) ঘর হ’তে বের হওয়াকালীন দো‘আ :

বিসমিল্লা-হি তাওয়াক্কাল্তু ‘আলাল্লা-হি ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ ।

অনুবাদ : ‘আল্লাহর নামে, (বের হচ্ছি), তাঁর উপরে ভরসা করছি। নেই কোন ক্ষমতা নেই কোন শক্তি আল্লাহ ব্যতীত’।[ আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/২৪৪৩, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]

(খ) বিদায় দানকারীর দো‘আ :

সফরের উদ্দেশ্যে কাউকে বিদায় দেবার সময় পরস্পরের উদ্দেশ্যে নিম্নের দো‘আটি পাঠ করবেন। একা হ’লে পরস্পরের (ডান) হাত ধরে দো‘আটি পড়বেন। বহুবচনে ‘কুম’ এবং একবচনে ‘কা’ উভয় লিঙ্গে বলা যাবে। সম্মানিত ব্যক্তিকে ‘কুম’ বলতে হয়।

(১) আসতাওদি‘উল্লা-হা দীনাকুম ওয়া আমা-নাতাকুম ওয়া খাওয়া-তীমা আ‘মা-লিকুম’ ।
অনুবাদ : আমি (আপনার বা আপনাদের) দ্বীন, ও আমানত সমূহ এবং শেষ আমল সমূহকে আল্লাহর হেফাযতে ন্যস্ত করলাম।[ তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/২৪৩৫।]

এখানে ‘আমানত সমূহ’ বলতে তার পরিবারের দায়িত্ব ও সফরকালীন দায়-দায়িত্ব সমূহকে বুঝানো হয়েছে। ‘শেষ আমল সমূহ’ বলতে অর্থাৎ মৃত্যুর পূর্বে তার শেষ নেক আমল সমূহকে বুঝানো হয়েছে (মিরক্বাত)।
বিদায় দানকারীগণ উপরের দো‘আটির সাথে নিম্নের দো‘আটি যোগ করতে পারেন,

(২) যাউয়াদাকাল্লা-হুত্ তাক্বওয়া ওয়া গাফারা যাম্বাকা ওয়া ইয়াস্সারা লাকাল খায়রা হায়ছু মা কুন্তা’।
অনুবাদ : আল্লাহ আপনাকে তাক্বওয়ার পুঁজি দান করুন! আপনার গোনাহ মাফ করুন এবং আপনি যেখানেই থাকুন আপনার জন্য কল্যাণকে সহজ করে দিন’। [তিরমিযী হা/৩৪৪৪; মিশকাত হা/২৪৩৭।]
উল্লেখ্য যে, ফী আমা-নিল্লা-হ বলে বিদায় দেওয়ার প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। বিদায় দানকালে তাঁর সাথে কিছুদূর সাথে হেঁটে যাওয়া মুস্তাহাব। [আহমাদ হা/২২১০৫; ঐ, মিশকাত হা/৫২২৭ ‘হৃদয় গলানো’ অধ্যায়-২৬, পরিচ্ছেদ-৩।]

(গ) কেউ দো‘আ চাইলে তার জন্য দো‘আ :

রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর খাদেম আনাস-এর জন্য তার মা উম্মে সুলায়েম দো‘আ চাইলে তিনি তার জন্য দো‘আ করেন,
আল্লা-হুম্মা আকছির মা-লাহু ওয়া ওয়ালাদাহু, ওয়া বা-রিক লাহু ফীমা আ‘ত্বায়তাহু’ (হে আল্লাহ! তুমি তার মাল ও সন্তানাদি বাড়িয়ে দাও এবং তাকে তুমি যা কিছু দিয়েছ, তাতে বরকত দাও)। আনাস (রাঃ) বলেন, এতে আমার সম্পদে ও সন্তানাদিতে খুবই প্রবৃদ্ধি ঘটেছিল। [মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৬১৯৯, ‘মর্যাদা সমূহ’ অধ্যায়-৩০, ‘সমষ্টিগত মর্যাদা সমূহ’ অনুচ্ছেদ-১২।]

উল্লেখ্য যে, উক্ত দো‘আ ব্যক্তি বুঝে পড়া যাবে, সকলের ক্ষেত্রে নয়। কেননা রোগী ও বিপদগ্রস্তের জন্য পৃথক দো‘আ রয়েছে। তবে বর্ণিত দো‘আর শেষ অংশটি আল্লা-হুম্মা বা-রিক লাহু ফীমা আ‘ত্বায়তাহু’ অধিকাংশের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অথবা বলবে, বা-রাকাল্লা-হু লাকা অথবা বহুবচনে ‘লাকুম’ (আল্লাহ আপনার মধ্যে প্রবৃদ্ধি দান করুন)। অথবা -রাকাল্লা-হু ফী আহলিকা ওয়া মা-লিকা’ অথবা বহুবচনে ‘কুম’ (আল্লাহ আপনার পরিবারে ও সম্পদে প্রবৃদ্ধি দান করুন)। [ইবনু মাজাহ হা/১৯০৬-০৭; নাসাঈ, মিশকাত হা/২৯২৬।]

(ঘ) অতঃপর বিসমিল্লাহ বলে (ডান) পা পরিবহনের উপর রাখবে এবং আরোহনের সময় নিম্নস্বরে ‘আল্লাহু আকবার’ বলতে থাকবে। [বুখারী, মিশকাত হা/২৪৫৩ ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]
অতঃপর সীটে বসে আলহামদুলিল্লাহ বলবে।[আহমাদ, তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৪৩৪ ‘দো‘আসমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]

পরিবহন চলা শুরু করলে নিম্নোক্ত দো‘আটি পাঠ করবে।-

উচ্চারণ: আল্লাহু আকবার (৩ বার)। সুবহা-নাল্লাযী সাখখারা লানা হা-যা ওয়ামা কুন্না লাহু মুক্বরিনীনা, ওয়া ইন্না ইলা রব্বিনা লামুনক্বালিবূন। আল্লা-হুম্মা ইন্না নাসআলুকা ফী সাফারিনা হা-যাল বির্রা ওয়াত তাক্বওয়া ওয়া মিনাল ‘আমালে মা তারযা; আল্লা-হুম্মা হাওভিন ‘আলাইনা সাফারানা হা-যা ওয়াত্বভে লানা বু‘দাহূ, আল্লা-হুম্মা আনতাছ ছা-হিবু ফিস সাফারি ওয়াল খালীফাতু ফিল আহ্লি ওয়াল মা-লি। আল্লা-হুম্মা ইন্নী আ‘ঊযুবিকা মিন ওয়া‘ছা-ইস সাফারি, ওয়া কাআ-বাতিল মানযারি, ওয়া সূইল মুনক্বালাবি ফিল মা-লি ওয়াল আহ্লি ।
অর্থ: ‘আল্লাহ সবার চেয়ে বড় (তিনবার)। মহা পবিত্র সেই সত্তা যিনি এই বাহনকে আমাদের জন্য অনুগত করে দিয়েছেন। অথচ আমরা একে অনুগত করার ক্ষমতা রাখি না। আর আমরা সবাই আমাদের প্রভুর দিকে প্রত্যাবর্তনকারী’।[যুখরুফ ৪৩/১৩-১৪।] হে আল্লাহ! আমরা আপনার নিকটে আমাদের এই সফরে কল্যাণ ও তাক্বওয়া এবং এমন কাজ প্রার্থনা করি, যা আপনি পসন্দ করেন। হে আল্লাহ! আমাদের উপরে এই সফরকে সহজ করে দিন এবং এর দূরত্ব কমিয়ে দিন। হে আল্লাহ! আপনি এই সফরে আমাদের একমাত্র সাথী এবং পরিবারে ও মাল-সম্পদে আপনি আমাদের একমাত্র প্রতিনিধি। হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে পানাহ চাই সফরের কষ্ট, খারাব দৃশ্য এবং মাল-সম্পদ ও পরিবারের নিকটে মন্দ প্রত্যাবর্তন হ’তে।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৪২০, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]

(ঙ) নতুন গন্তব্য স্থলে পৌঁছে কিংবা কোন ক্ষতিকর বস্ত্ত থেকে বাঁচার জন্য পড়বে- ‘আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তাম্মা-তি মিন শার্রি মা খালাক্ব’ (আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ কালেমা সমূহের মাধ্যমে তাঁর সৃষ্টির যাবতীয় অনিষ্টকারিতা হ’তে পানাহ চাচ্ছি)। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘এই দো‘আ পাঠ করলে, ঐ স্থান হ’তে প্রস্থান করা পর্যন্ত তাকে কোন কিছুই ক্ষতি করবে না’।[মুসলিম, মিশকাত হা/২৪২২।]
তিনি বলেন, ‘যদি এটা সন্ধ্যাবেলা পড়া হয়, তাহ’লে ঐ রাতে তাকে সাপ-বিচ্ছু দংশন করবে না’। [মুসলিম, মিশকাত হা/২৪২৩; তিরমিযী হা/৩৪৩৭; ছহীহুল জামে‘ হা/৬৪২৭।]

(চ) সফর থেকে প্রত্যাবর্তনের পর দো‘আ :

উচ্চারণ : আল্লাহু আকবার (৩ বার)। লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। আ-য়িবূনা তা-য়িবূনা ‘আ-বিদূনা সা-জিদূনা লিরবিবনা হা-মিদূনা ।
অর্থ : ‘আল্লাহ সবার চেয়ে বড় (তিনবার), আল্লাহ ব্যতীত কোন উপাস্য নেই, তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। রাজত্ব তাঁরই, প্রশংসা কেবল তাঁর জন্যই। তিনি সকল বিষয়ে ক্ষমতাবান। আমরা প্রত্যাবর্তন করলাম তওবাকারী, ইবাদতকারী, সিজদাকারী এবং আমাদের প্রভুর প্রশংসাকারী রূপে...’।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/২৪২৫, ‘দো‘আ সমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]
অতঃপর পরিবহন থেকে নামার সময় বলবে ‘সুবহানাল্লাহ’ । [বুখারী, মিশকাত হা/২৪৫৩ ‘দো‘আসমূহ’ অধ্যায়-৯, অনুচ্ছেদ-৭।]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সফর থেকে ফিরে সাধারণত: প্রথমে মসজিদে দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করতেন।[বুখারী হা/৪৪৩, ‘ছালাত’ অধ্যায়-৮, অনুচ্ছেদ-৫৯; ঐ, হা/৪৬৭৭ ‘তাফসীর’ অধ্যায়-৬৫, অনুচ্ছেদ-১৮।]

(ছ) গৃহে প্রবেশকালে দো‘আ :

প্রথমে ‘বিসমিল্লাহ’ বলবে।[মুসলিম, মিশকাত হা/৪১৬১, ‘খাদ্য সমূহ’ অধ্যায়-২১, পরিচ্ছেদ-১।]
অতঃপর গৃহবাসীর উদ্দেশ্যে সালাম দিবে (নূর ২৪/৬১)।

(জ) কারো গৃহে প্রবেশকালে অনুমতি প্রার্থনা করবে এবং দরজার বাইরে থেকে অনধিক তিনবার সরবে ‘সালাম’ দিবে। অনুমতি না পেলে ফিরে যাবে। [নূর ২৪/২৭-২৮; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৬৭, ‘শিষ্টাচার’ অধ্যায়-২৫, অনুচ্ছেদ-২।]
এই সময় নিজের নাম বলা উত্তম।[মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৪৬৬৯।]
সালাম দেওয়ার পরে অনুমতি গ্রহণ করতে পারবে এবং গলায় শব্দ করবে।[নূর ২৪/২৭; মুসলিম, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪৬৬৮, ৪৬৭৫; আলবানী, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৮১৭-১৮।]

চলবে ......।

জরুরী দো‘আ সমূহ #৪
৪টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হেঁটে আসে বৈশাখ

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০০


বৈশাখ, বৈশাখের ঝড় ধূলিবালি
উঠন জুড়ে ঝলমল করছে;
মৌ মৌ ঘ্রান নাকের চারপাশ
তবু বৈশাখ কেনো জানি অহাহাকার-
কালমেঘ দেখে চমকে উঠি!
আজ বুঝি বৈশাখ আমাকে ছুঁয়ে যাবে-
অথচ বৈশাখের নিলাখেলা বুঝা বড় দায়
আজও বৈশাখ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×