আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ ওয়াবারাকাতুহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
সকল প্রশংসা আল্লাহ্র জন্য। দুরদ ও সালাম নাজিল হোক প্রিয় নবী মোহাম্মাদ রাসুলুল্লাহ (সা: ) এর প্রতি, যিনি মানব জাতির সংশোধন, সংস্কার এর জন্য বিশ্ব জাহানের রহমত স্বরূপ প্রেরিত হয়েছেন ।
আল্লাহ তাআলা বলেছেন :
"আর যে পরম করুণাময়ের জিকির থেকে বিমুখ থাকে আমি তার জন্য এক শয়তানকে নিয়োজিত করি, ফলে সে হয়ে যায় তার সঙ্গী।" (সূরা যুখরুফ : ৩৬)
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
"তোমাদের কেহ যখন ঘুমিয়ে যায় শয়তান তখন তার মাথার কাছে বসে তিনটি গিরা লাগায়। প্রতিটি গিরা দেয়ার সময় একটি কথা বলে: তোমার সামনে আছে দীর্ঘ রাত, তুমি ঘুমাও। যখন সে নিদ্রা থেকে উঠে আল্লাহর জিকির করে তখন একটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন সে অজু করে তখন আরেকটি গিরা খুলে যায়। এরপর যখন নামাজ পড়ে তখন শেষ গিরাটি খুলে যায়। ফলে সে সারাদিন কর্মতৎপর ও সুন্দর মন নিয়ে দিন কাটায়। আর যদি এমন না করে, তাহলে সারাদিন তার কাটে খারাপ মন ও অলসভাব নিয়ে।" (বর্ণনায় : বুখারী ও মুসলিম)
এ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত হল:
(১) ঠিকমত অজু করলে, নামাজ আদায় করলে শয়তানের চড়াও থেকে মুক্ত থাকা যায়।
(২) খারাপ মন নিয়ে থাকা ও অলসতা শয়তানের কুমন্ত্রণার ফল।
(৩) রীতিমত নামাজ আদায় করলে শরীর ও মন প্রফুল্ল থাকে। কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি পায়। অলসতা দূর হয়ে যায়।
(৪) ঘুম থেকে উঠার সাথে সাথে অজু গোসল করার আগেই আল্লাহর জিকির করা উচিত। ঘুম থেকে জাগ্রত হওয়ার নির্দিষ্ট দুআ আছে। এটি পাঠ করা সুন্নত। এতে শয়তানের কুপ্রভাব দূর হয়ে যায়।