আয়নাবাজির কেরামতি। সবাই যখন আয়নাবাজি সিনেমা কয়েক দিন আগে দেখে ফেলেছে , তখন আমি গেলাম তা দেখার জন্যে। খুব মনযোগ সহকারে দেখে আসলাম। অনেক দিন পরে সিনেমা হলে গিয়ে ভাল একটা মুভি দেখলাম। বাংলা সিনেমার যে এক্সপেকটেশান ছিল তা কিছুটা হলেও পুরুন হয়েছে বলে ধরা যায়, তবে কিছু অসঙ্গতি ছাড়া। আমার দেখতে যাওয়ার একটাই কারন ছিল , তা হল আসেপাশে সবার মুখে গুণগান শুনে। সবাই এতটাই গুনগান গাচ্ছিল যে আমার মধ্যে খুব আগ্রহ জন্মায়। গুনগান শুনে নিজের কাছে এমন মনে হলো যে, অমিতাভ রেজাও মনে হয় এতটা প্রচারনা চালায়নি। যতটা আমরা চালাচ্ছি । আমি মনে করি ভাল সিনেমা রিলিজ হলে অবস্যই দর্শক হল মুখি হবে। যখনিই কোন ভাল মানের সিনেমা এসেছে তখনিই দর্শক হলে গিয়ে দেখেছে। দর্শকদের হল থেকে তারিয়েছে বস্তির মেয়ে সুরাইয়া, রানি কেন ক্ক্যাপা, ধইরা ফালা ওরে, মারছে কাশেম কে, কাসেম কেন জেলে, এরকম আরও অসম্ভব সুন্দর নামের সব সিনেমা। এই অসম্ভব সুন্দর , অসম্ভব কুচ্ছিদ সুন্দর, অশ্লীল সুন্দর । এরকম অসংখ্যর সুন্দর বিশেষ্য বিশেষণের সিনেমা আছে, যার নাম শুনলেই দর্শক হল বিমুখ হয়।আর এই সুযোগটাই আয়নাবাজিকে তুলেছে অনেক উপরে।
আয়নাবাজি সিনেমাতে যে আহমরি কিছু আছে তা কিন্তু নয়। শুধু মাত্র আছে তরুন ও শিক্ষিত এক শ্রেনীর দর্শক টানার কেরামতি। নেই অশ্লীলতার বা প্রেম নামের সেই কাক্ষিত বস্তু যা দিয়ে নষ্টামি করা যায়। আছে শুধু মানুষের হলের টানার এক অদৃশ্য আকর্ষন।স্বাধারন দর্শকরাই এই সিনেমার প্রচারনার দায়িত্ব নিয়ে এই সিনেমা কে এতোটা ব্যাবসা সফল করেছে।ব্যবসা সফল হও্যার একটাই কারন হল গুঞ্জন। সবাই দেখু বা না দেখুক একবার হলেও বলছে দেখা উচিত।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১২:০৮