somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পকেটমারের খোলা চিঠির উত্তরে সন্ত্রাসী: এটি একটি ব্যাঙ্গাত্বক চিঠি। চিঠি পড়ে কেউ কষ্ট পেলে আমি দু:খিত।

০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


প্রিয় পকেটমার,

প্রথমেই তাজা বুলেটের শুভেচ্ছা নিবে। কেমন আছো? আশা করি ভালই আছো, ঈদের ভিড়ে ভালই কামাচ্ছো। ভয়ের কোনো কারন নেই। ইচ্ছে মতো কামিয়ে যাও। আমরা প্রশাসনকে আমাদের দিকেই ব্যস্ত রেখেছি। তোমাদের মতো চুনো পুঁটির দিকে তাদের তাকানোর সময় নেই। তবে সাবধান, পকেট মারতে গিয়ে জনগণের হাতে পোড়ো না। তারা তোমাদের আর আমাদের উপর বড়ই ক্ষ্যাপা। তারা সব সময় সর্বস্ব খুইয়ে খুইয়ে তেলে বেগুনে জ্বলে আছে। এই ঈদের সামনে তাদের হাতে যদি একবার ধরা পড়, তাহলে নিশ্চিৎ চিরদিনের জন্য গোরস্থানে বেড়াতে চলে যাবে। আর কোনো কারণে যদি বেঁচেও যাও তাহলে পঙ্গু হাসপাতাল থেকে বছর খানেকের জন্য ছুটি কাটিয়ে আসতে হবে। এই ছুটি মওকুফের জন্য জনতার হাতে পায়ে ধরলেও তারা কিন্তু ছুটি দিবে না। এই কথাটি আগেই বলে রাখলাম কিন্তু।


ভাই ,তোমরা আমাদের প্রতি অভিযোগ করেছো যে, তোমাদেরকে আমরা সময় দিই না। তোমাদেরকে যে সময় দিব, এই সময়টা কোথায় বল? নেতা, প্রশাসন আর জনগণকে সময় দিতে গিয়ে অনেক সময় আমরা, নিজেরাই নিজেদেরক সময় দিতে পারি না। চিঠিতে আমাদের দ্রুত উন্নতি সম্পর্কে অনেক প্রশংসা করেছ। খুব খুশি হয়েছি। কিন্তু বাইরে থেকে শুধু আমাদের চাকচিক্যটাই দেখলে ভাই। আমরা ভেতরে যে কি রকম, মাকাল ফলের দিকে তাকালেই তা বুঝতে পারবে। আমাদেরকে অনেক সময় নেতার গালেও চুমো দিতে হয়, পুলিশের গালেও চুমো দিতে হয়। ঠিক যেন বাঘের মুখে এক চুমো, সাপের মুখে এক চুমো। সত্যি কথা বলতে কি আমরা ভালো হতে চাইলেও কিছু কিছু নেতা এবং পুলিশের কারণে ভালো হতে পারি না। মাঝে মাঝে তারা আমাদেরকে ইচ্ছে মতো ব্যবহার করে। আমরা ভালই বিপদে আছি। নেতা আর প্রশাসন ভালো হয়ে গেলে রাতারাতি আমাদের বংশ নির্বংশ হয়ে যাবে। আমরা প্রায় অস্তিত্ব সংকটে।


বিশেষ করে ভো্টের সময় আমরা বিভিন্ন দলীয় ব্যানারে ঢুকে যায়। ভদ্রলোক নেতারা আমাদেরকে ঘুণাক্ষরেও চিনতে পারে না। তবে অনেক নেতা আবার আমাদের উপর ভর দিয়েই রাজনীতি করে। তাদের আচার আচরণ দেখলেই তা বুঝতে পারবে। তাদের পেশীশক্তিতে ভর করেই আমাদেরকে চলতে হয়। তাই এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে চাই না।

চিঠির শেষে বিদেশী মদ খেতে চেয়েছ। তোমাদেরকে মদ খাওয়াব আমাদের সময় কোথায়? তোমরা কিছু কিছু নেতার সাথে যোগাযোগ কর। দেখবে তোমাদের ভাগ্যাকাশে তারাই উন্নয়নের কারণ হবে। তোমরা তাদের সাথে মিলেমিশে যাও। দেখবে তোমরাও একদিন আমাদের মতো হয়ে গেছ। সময় সংক্ষিপ্ত। বেশি কিছু লিখতে পারলাম না। সাক্ষাৎ এ কথা হবে। সব শেষে আবার বলছি, দেখ সচেতন জনতার পকেটে হাত মেরে নিজের ঈদটাকে মাটি করে দিও না। কামনা করি, এই সময়ে যেন তোমাদেরকে গোরস্থান এবং পঙ্গু হাসপাতালে যেতে না হয়।

ইতি
তোমাদের স্নেহের ছোট ভাই
সন্ত্রাসী।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা জুলাই, ২০১৫ সকাল ১১:১৭
৮টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×