somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অসমাপ্তি

২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মধ্যেবিত্ত পরিবারের ছেলে সৌরভ। বাবা ছোট খাটো একটা কেরানির চাকরি করে। বেতন অল্প। সেটা কোন ব্যাপার না! ছোট সংসার হওয়ায় নিশ্চিন্তে দিন কেটে যাচ্ছে ওদের।
স্ত্রী ফরিদা আর ছেলে সৌরভকে নিয়ে মোট তিন সদস্যের ছোট্ট পরিবার জনাব সুলতান মির্জার।
বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে সৌরভ। খুব আদরের। কোন মেয়ে না থাকায় বাবা-মায়ের পুরো ভালবাসাটা একাই ভোগ করছে সৌরভ। সুলতান মিয়া উপর ওয়ালার দয়ায় খুব ফুটফুটে রাজপুত্রের রুপে একটা ছেলে সন্তান পেয়েছে। মেধা শক্তিও খুব ভালো!
অনেক ছোট থেকেই সৌরভের ব্রেনটা খুব সফট!
যেকোনো জিনিস খুব সহজেই মাথাতে নিতে পারে। অল্প পড়লেই যেকোনো পড়া মুখস্ত হয়ে যায়। ছেলেকে নিয়ে আত্মীয়, প্রতিবেশীদের মাঝে গর্ব হয় জনাব সুলতান মিয়ার। তবে একটাই সমস্যা, সেটা হলো ছেলের বায়না! এটা, ওটা নানান জিনিসের বায়না ছেলেটার।
তবে এতে সুলতান মিয়া একটুও রাগেন না ছেলের উপর। ছোট মানুষ তো? বায়না ধরবেই। তাছাড়া একমাত্র ছেলে। কদরটাও একটু আলাদা! তাই খুশী মনে সাধ্যের মধ্যে যখন যেটা পারেন ছেলে সৌরভকে সেটা এনে দেন।
স্ত্রীও পেয়েছেন নিজের মনের মতো। বড় কোন আকাঙ্ক্ষায় নেই তার মনে। সুলতান মিয়া যখন যেটা দেবেন, হাঁসি মুখে সেটাই গ্রহন করবেন। বিয়ের পর থেকে এই পর্যন্ত হাতে গোনা কিছু জিনিস দিয়েছেন জনাব সুলতান মিয়া তাঁর বউকে।
বিয়ের সময় এক জোড়া বালা, তাও সেটা সুলতান মিয়ার মায়ের যত্ন করে রাখা বালা! অনেক দিনের পুরনো হলেও বালা জোড়া নিয়ে কোন আপত্তি করেননি ফরিদা বানু। বরং খুশী মনেই হাতে পুরে ছিলেন। সেই বাসর রাতের কথা মনে পড়ে এখনো সুলতান মিয়ার।
সেদিন বলেছিলেন,
আমি খুব গরীব মানুষ। দেওয়ার মতো তোমাকে আমার কিছুই নেই। এক জোড়া বালা আছে, যেটা আমার মা" মৃত্যুর আগে আমার হাতে দিয়ে গেছিলেন আর বলেছিলেন তাঁর ছেলে বউকে যেনো দেই! মায়ের খুব ইচ্ছা ছিল তাঁর ছেলের বউকে নিজ হাতে বালা
জোড়া পরাবে। কিন্ত মৃত্যু তাঁর সেই আশা খানি ছিনিয়ে নিলো। অনেক কষ্টের সাথে ধুকে ধুকে মরেছিলেন আমার মা। দুরারোগ্য ব্যাধি তাকে কেড়ে নিলো আমার কাছ থেকে। আর আমাকে করলো চির একলা। এতিম। বাবা দেখতে কেমন ছিল? সেটাও আমি জানিনা।
অনেক ছোট বেলায় বাবা আমাদের ছেড়ে চলে গেছিলেন। মারা যাননি। কোন মেয়েকে পেয়েই হয়তো আমাদের ত্যাগ করে। আমার মা" অনেক কষ্টে কোলে পিঠে করে আমাকে মানুষ করে। নিজে না খেয়ে আমাকে খাইয়েছেন। অন্যের দাসত্ব করে আমার পড়ালেখার খরচ চালিয়েছেন।
সেই মায়ের জন্য আমি কিছুই করতে পারলাম না! অনেকটা অবেলায় চলে গেলেন! আমার পৃথিবী জুড়ে ছিলেন আমার "মা"। আমি আমার "মাকে" অনেক ভালবাসতাম। বাসি। সারাজীবন বাসবো। এই পৃথিবীতে আপন বলতে আমার আর কেউ রইলোনা! মুখের কথা কেড়ে নিয়ে
ফরিদা বানু বলেছিলেন,
এমন অলুক্ষুনে কথা আপনি আর কখনো কইবেন না! আমি আছিনা? আমি আপনার সব। আপনি আমার সব। কে বলেছে আপনার কেউ নাই? চোখের পানি ছেড়ে ফরিদা বানু তাঁর স্বামীকে বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন। সেই থেকে আজ পর্যন্ত তাঁদের ভালোবাসার আঙিনায়
অভাব কিংবা দুঃখে নামের ছায়া, আজো গা ঘেঁষতে পারিনি। বিয়ের ২ বছর পর ছোট্ট সুখের সংসারে সূর্যের জ্যোতিকার মতো আলো নিয়ে এলো ছেলে সৌরভ! ভালবাসাটা তাঁদের আরো দিগুণ হলো। চাহিদা তো কখনো ছিলইনা! এখন ছেলের চাহিদার কাছে ফরিদা বানুর চাহিদা শূন্যের কোঠায় গিয়ে পৌঁছেছে।
টুকটুক করে মোটামুটি ভালোই দিন কেটে যাচ্ছে ওদের। না চাইতেই উপর ওয়ালা সুলতান মিয়াকে অনেক দিয়েছেন। আর কিছুই নতুন করে চাওয়ার নেই তাঁর। এখন স্বপ্ন একটাই, ছেলেকে খুব যত্নে গড়ে তোলা। লেখাপড়া শেখানো। নিজে যেটুকু কষ্ট সহ্য করে বড় হয়েছেন তাঁর কেনিকোনা সন্তানের মাঝে দেখতে চাননা!
ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন তাঁর মনে! ইচ্ছা আছে ছেলেকে বড় ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন!

সাল ১৯৯৬। ছেলের বয়স আট বছর পূর্ণ হয়েছে। প্রতিবছরই বেশ ঘটা করে অনুষ্ঠান করে জনব সুলতান মির্জা। এবারো তাঁর ব্যাতিক্রম নয়! স্বামী-স্ত্রী দুজন বসে সারা রাত দাওয়াতের লিস্ট করেছে। আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের নাম উঠিয়েছে। সৌরভ রাতেই বায়না ধরেছিল গিফটের জন্য। সুলতান মিয়া কথা দিয়েছে
কাল কিনে দেবে। কিছুদিন আগে মার্কেটে একটা প্লেন দেখেছিল সৌরভ। বাবাকে বলেছে ওই প্লেনটা এনে দিতে। তিনিও কথা দিয়েছেন সেটাই দিবেন।
সকাল থেকেই বাসাটা সাজানো গোছানো হচ্ছে। ডেকোরেটরের লোকজনেরা বাড়ি সাজাচ্ছে। চারিদিকে খুশীর আমেজ লেগে আছে। সৌরভ ভাড়াটিয়ার ছেলেদের সঙ্গে খেলা করছে। অনেক খুশী ওর মনে। ফরিদা বানু আর সুলতান মিয়া রেডি হচ্ছে শপিংয়ে যাবে।
তাঁরা সেজেগুজে বাইরে বের হলো। প্রতিমধ্যেই ছেলে সৌরভ এসে বাবাকে জড়িয়ে ধরেছে।
"বাবা! আমার জন্য আর কি কি আনবে? শুধুই প্লেন?
-না বাবা! শুধু প্লেন না। আরো অনেক কিছু। অনেক চকলেটও আনবো তোমার জন্য বাবা!
ফরিদা বানু ছেলের মুখের দিকে চেয়ে হেঁসে দিলো। ছেলেও বাবার কথা শুনে খুশীতে আটখানা হয়ে তিড়িং বিড়িং লাফাতে লাফাতে আবার খেলতে চলে গেলো।
খেলার সাথিদের বলছে সৌরভ, ওর বাবা ওর জন্য অনেক দামী দামী গিফট আনতে গেছে। ছেলেটার মন আজ বেশ খুশীতে ভরপুর। দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
রিকশায় করে যাচ্ছে সৌরভের বাবা মা। বরিশালের ছোট্ট শহর। শহরের পাশ কাটিয়ে চলে গেছে বহমান নদী। এই শহরের সব থেকে বড় সৌন্দর্য হচ্ছে এই নদী আর পর্বত সমান বিশাল বিশাল লঞ্চ গুলো।
নদী পথেই যাতায়াতের সুবিধা বেশী! সৌরভের মামা বাড়ি বিক্রমপুর। সেখানে বরাবরই লন্সে করেই যাওয়া আসা করে সুলতান মিয়ার পরিবার। বছরে ১/২ বারের বেশী যাওয়া হয় না। তবে আজ ওর মামারা আসছে ওদের বাড়িতে।
২ দিন আগেই তাঁদের দাওয়াত করা হয়েছে।
জনাব সুলতান মিয়া এবং ফরিদা বানু দুজনের মন মেজাজ আজ বেশ ফুরফুরে। রিকশা করে যাচ্ছে আর সৌরভের বাবা বলছে,
আজকে সৌরভকে ডাবল সারপ্রাইজ দেবো একটা প্লেন আর সাথে আরেকটা গাড়ী.. কি বলো?
-কি বলবো? তুমি যেটা ভালো মনে করো? ছেলের মন খুশী থাকলে আমার আর কিছুই লাগে না। ওর চেহারায় লেগে থাকা হাঁসি টা দেখলে আমার প্রান জুড়িয়ে যায়!
ফরিদা বানু চিন্তা করছেন, ছেলে দুই টা গিফট হাতে পেলে তাঁর অনুভূতিটা কেমন হতে পারে? আনন্দের সীমারেখা কতটুকু হতে পারে? ছেলের খুশী পরিমাপ করার চেষ্টা করছেন মনে মনে একজন মা!
গন্তব্যের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছেন তাঁরা। দূর থেকেই দেখা যাচ্ছে শহরের নিউ মার্কেট মোড়। রিকশা চলছে ধীর গতিতে। স্বামী স্ত্রী দুজন আজ বেজায় খুশী। অনেক স্বপ্ন ভর করে আছে চোখের ডানায়। স্বপ্নের পৃথিবী জুড়ে একজনই। ছেলে সৌরভ।
একটু সামনেই আরেকটা ছোট্ট করে মোড়। রিকশা মোড় ঘুরতে যাবে,
ঠিক সেই মুহূর্তে পেছন থেকে একটা পিক-আপ এর ধাক্কা!!
মুহূর্তেই জড়ো হলো রাস্তায় শত শত" মানুষের ভিড়। লুটিয়ে পড়ে আছে তিনটি মৃত দেহ! রিকশা চালক আর তাঁর পাশেই ছিন্ন ভিন্ন শরীরে সৌরভের বাবা, মায়ের লাশ। রক্তের বন্যা বয়ে যাচ্ছে চারপাশে।
খুনী ড্রাইভার পিক-আপ নিয়ে পালিয়েছে অনেক আগেই! আকাশে কাকদের সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। কা কা শব্দ করে হয়তো জানান দিচ্ছে তাঁরা,
দেখো আজ কয়েকটি তাজা প্রান পড়ে রয়েছে রাস্তার বুকে।
ভীড় অতিক্রম করে একজন লোক সামনে এলো স্পটের। তিনি জনাব রফিক। রাস্তার এমন মর্মান্তিক দৃশ্য দেখে তাঁর মাথা চক্কর দিয়ে উঠলো। কিছুক্ষন তাকিয়ে বুঝতে পারলো, বাম পাশে পড়ে থাকা লাশটা তাঁর অফিস কলিগ সুলতান মিয়ার!
চোখ ফেটে বোবা অশ্রু বেরিয়ে এলো তাঁর। আজ তাঁরও দাওয়াত ছিল যে সুলতান মিয়ার বাসায়। সেই জন্যই তো মার্কেটে এসেছিল কিছু উপহার সামগ্রী কিনতে। কিন্ত কে জানতো সুলতান মিয়ার বন্ধু রফিকই আজ তাঁদের লাশ শনাক্ত করবেন! তাঁদেরকে ছেলের অনুষ্ঠানের উপহার হিসেবে বাড়ি পৌঁছে দেবেন!
কে জানতো? কিছু অসহনীয় দৃশ্য বাড়ি ভরা মানুষ জনের জন্য অপেক্ষামান রয়েছে!

সৌরভ পাশের বাসার ২ ছেলে ফাহিম আর শাহিনের সাথে খেলছে।
সৌরভ ওদেরকে আগেই বলে রেখেছে, ওর বাবা মা ওর জন্য প্লেন এবং অনেক চকলেট কিনতে গেছে। সৌরভ ওদের আশ্বাস দিয়েছে, কিছু চকলেট ওদেরও দিবে। ওরাও সেই আগ্রহ নিয়ে বসে আছে, কখন আসবে সৌরভের বাবা-মা..
অপেক্ষার প্রহর যে শেষ হয় না। ১ ঘণ্টা যায় ২ ঘণ্টা যায় সৌরভের আব্বু আম্মু আসে না। সৌরভের খালার বাসা পাশেই।
সৌরভ দৌড়িয়ে একেকবার খালার কাছে যায়' আর জিজ্ঞেস করে, কই আব্বু আম্মুতো আসেনা??
খালা বলে এত অস্থির হলে কি চলে? আসবে আসবে হইতো জ্যামে আটকে গেছে।
আর একটু অপেক্ষা করো।

অবশেষে অপেক্ষার অবসন ঘটিয়ে সন্ধ্যার দিকে একটা এ্যাম্বুলেন্স এসে উপস্থিত হলো সৌরভদের বাসার সামনে। বাসা ভর্তি মানুষ জন। জন্মদিনের দাওয়াতে আসছে সবাই।
এ্যাম্বুলেন্স থেকে লাশ বেরিয়ে ভিতরের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সাথে সাথে রফিক সাহেবকেও সবাই দেখতে পেলো।
সবার মাঝে একটা আতঙ্ক বিরাজ করছে! কার কি হলো? লাশ দুটি ঘরের মধ্যে নিয়ে রাখা হলো। সৌরভের খালা,খালু,মামা,মামী আরও আত্মীয়-স্বজনরা ছিলো অনেকে।
আজ এতোমানুষ গুলি বুঝি তাদের শেষ বিদায় দিতে এসেছে। শেষ দাফন দিতে এসেছে। শেষ দেখা দেখতেই এসেছে। হাঁসতে হাঁসতে দৌড়িয়ে এলো সৌরভ। সামনে দুটো লাশ দেখে মুখের হাঁসি আস্তে করে বন্ধ হয়ে গেলো সৌরভের।
মামা কে বলল, এগুলো কি? খালা কে জিজ্ঞেস করলো,
কারা এরা? কেউ কোন কথা বলে না..
সবার মাঝেই অস্থিরতা! চোখে অশ্রুর স্পষ্ট ছাপ। কারো আর বুঝতে বাকি রইলো না, যে এটা সৌরভের বাবা আর মায়ের লাশ। সৌরভ লাশের মুখ দেখতে চাচ্ছে কিন্ত কিছুতেই ওর মামা ওকে ছাড়ছে না।
কান্নাকাটির গুঞ্জন শুরু হয়েছে চারিদিকে। সৌরভের মনের মধ্যে ছ্যাঁত ছ্যাঁত করে উঠছে এটা আব্বু আম্মু নয় তো?..
রফিক সাহেব, কিছুক্ষন আগেই সব কিছু খুলে বলেছিল। সেই, লাশ শনাক্ত করে সৌরভদের বাড়িতে নিয়ে এসেছে।
সব কিছু বুঝে ওঠার পর মাটিতে বসে পড়েছে সৌরভ। দু চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরছে সৌরভের! চোখের নোনা পানি গাল বেয়ে বেয়ে পড়ছে।
আকাশটা দুপুর থেকেই মেঘে ভারী হয়ে আছে। চারিদিকে ঘনো অন্ধকার নেমে এসেছে। মনে হচ্ছে খুব জোরে সরেই বৃষ্টি হবে আজ। বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে! অচিরেই মেঘ ফেটে প্রস্ফুটিত হবে বৃষ্টির জ্বল রাশি। ভু পৃষ্ঠের চৌচির হয়ে যাওয়া, শক্ত মাটিকে মোমের মতো গলিয়ে দেবে!

সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিসের সনদের মান নির্ধারণ করা শয়তানী কাজ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৬:৪০



সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছায়ানটের ‘বটমূল’ নামকরণ নিয়ে মৌলবাদীদের ব্যঙ্গোক্তি

লিখেছেন মিশু মিলন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



পহেলা বৈশাখ পালনের বিরোধীতাকারী কূপমণ্ডুক মৌলবাদীগোষ্ঠী তাদের ফেইসবুক পেইজগুলোতে এই ফটোকার্ডটি পোস্ট করে ব্যঙ্গোক্তি, হাসাহাসি করছে। কেন করছে? এতদিনে তারা উদঘাটন করতে পেরেছে রমনার যে বৃক্ষতলায় ছায়ানটের বর্ষবরণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

বয়কটের সাথে ধর্মের সম্পর্কে নাই, আছে সম্পর্ক ব্যবসার।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৫০


ভারতীয় প্রোডাক্ট বয়কটটা আসলে মুখ্য না, তারা চায় সব প্রোডাক্ট বয়কট করে শুধু তাদের নতুন প্রোডাক্ট দিয়ে বাজার দখলে নিতে। তাই তারা দেশীয় প্রতিষ্ঠিত ড্রিংককেও বয়কট করছে। কোকাকোলা, সেভেন আপ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জন্য নিয়ম নয়, নিয়মের জন্য মানুষ?

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৫:৪৭



কুমিল্লা থেকে বাসযোগে (রূপান্তর পরিবহণ) ঢাকায় আসছিলাম। সাইনবোর্ড এলাকায় আসার পর ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি আটকালেন। ঘটনা কী জানতে চাইলে বললেন, আপনাদের অন্য গাড়িতে তুলে দেওয়া হবে। আপনারা নামুন।

এটা তো... ...বাকিটুকু পড়ুন

একজন খাঁটি ব্যবসায়ী ও তার গ্রাহক ভিক্ষুকের গল্প!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:০৪


ভারতের রাজস্থানী ও মাড়ওয়ার সম্প্রদায়ের লোকজনকে মূলত মাড়ওয়ারি বলে আমরা জানি। এরা মূলত ভারতবর্ষের সবচাইতে সফল ব্যবসায়িক সম্প্রদায়- মাড়ওয়ারি ব্যবসায়ীরা ঐতিহাসিকভাবে অভ্যাসগতভাবে পরিযায়ী। বাংলাদেশ-ভারত নেপাল পাকিস্তান থেকে শুরু করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×