দীর্ঘ রাতগুলো আমি পার করি- কবিতা পড়ে পড়ে,
উপুড় হয়ে অন্তঃস্থ-য, ক্যারোলিনের শাড়ি পাক খায় কোমরের ভাঁজে আর-
মোমের মতন (অথবা ফ্লোরাইড নাভিদেশ), ভাঁটফুলের ঘ্রাণ সযতনে মেখে উবে উবে ঠিক ঘাড়ের কুঁচকিতে ট্রাইবাল মেঘ,
আমি হাঁটু মুড়ে জুবুথুবু বসি একটু দূরে-
যেহেতু কবিরা এবং যাবতীয় সাংসারিক ভীতু স্বামী- বৃত্তের বাইরে থেকে দ্যাখে স্ত্রীর রূপ,
ভালোবেসে শরীরকে যারা পাকস্থলী ভাবে-
আমি চুপটি কোরে ওপাশ ফিরে কাঁথা টেনে নিই আর কুয়োর পরিপৃক্ত আণবিক রাশিমালা-
যাদের সামগ্রিক তীব্রতা শূণ্যের বিভাজন এড়িয়ে সাবলীলতা করেছে গ্রাস-
কবিতাকে শরীর করে শারীরিক শর্বরী ভাষা-
ক্যারোলিন রাত হয়ে আকণ্ঠ শরীরী পিপাসা-
ঘুমন্ত রমণীয়তা বর্ণনা করার আগে সাধারণত আমি মালার্মে পান করি,
উদভ্রান্ত সরলতা শুধু ভার্লেইনেই মেলে (যদিও পার্থক্যকারী শব্দগুলোকেই চুম্বন কোরে জেগে জেগে প্রতিরাতের সঙ্গম)
শল্কপত্রের মতন উল্টানো চোখের পাপড়ি-
ভগবান-ভগবান ঘ্রাণ মেলে শ্লোকময় ভ্রু'তে-
যেহেতু হেরিটেরিয়া ফোমস- লবণাক্ততার অজুহাতে ডালপালা ছড়িয়ে নিজের দেহ-
এবং নেরুদার রোদ, রোদ্দুর, আমার প্রকান্ড কবিতার বই- বয়সের চেয়েও কিছুটা বড়-
ক্যারোলিন সবকিছুর ওপর অভিমান করে- নিজে থেকেই উলটে যাওয়া পাতার মতন নিঃশ্বাস নিয়ে জাগতিক প্রস্থান
সাময়িক;
আমি জানি- কবিতার শব্দরা চুপ হয়ে এলে সে অমায়িক সুরে বলবে : 'এরিখ, আমায় নাও'
সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে আগস্ট, ২০১৬ দুপুর ১২:২৭