somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সামু নিয়ে কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা এবং সামুর জন্য ভালোবাসা!

২৭ শে জুন, ২০১৬ রাত ৮:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



ব্লগে বেশ কিছুদিন ধরে একের পর এক সমস্যা লেগেই আছে। আমি নিজেও খুব একটা পুরানো ব্লগার না। যে সময়টাকে সামুর স্বর্ণযুগ বলা হয় তখন আমি ছিলাম না। তবে তখন যে সামু সমস্যামুক্ত ছিল এমন বলা যাবেনা। এই কথা বলছি কারন এই ব্লগের অনেককেই বলতে শুনি সামুর সেই যুগ আর নেই। আবার তারাই এমন কিছু ব্যাপার সাজেস্ট করে থাকেন যা খুব কনফিউজিং। এখন সামুতে যেসব সমস্যা হচ্ছে তাকেও অতীতের কিছু সমস্যার প্রতিক্রিয়া বলেই মনে করি। সেসব নিয়েই এই পোস্টে হালকা ভাবে কিছু আলোচনা করব।

একটা সময় এই দেশে যখন ব্লগ এবং ফেসবুক বলে কিছু ছিলনা তখন মানুষ কিভাবে নিজেদের ভাবনা চিন্তা শেয়ার করত? আজ অনেকের কাছেই এই প্রশ্নটা অদ্ভুত লাগতে পারে! তবে আমি যখন স্কুলে পড়ি তখন এসব কিছুই ছিলনা। তখন খুব আগ্রহ নিয়ে পত্রিকায় কলামিস্টদের কলাম পড়তাম। কারো লেখা পড়ে খুব ভালো লাগত। আবার কারো লেখা পড়ে নিজেই বুঝতাম তিনি মিথ্যাচার করছেন। কিন্তু এসব ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানানোর মত কোন নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম ছিলনা। বন্ধুমহলে আলোচনা হত এবং বিতর্কটাও সেই ক্ষুদ্র পরিসরেই সীমাবদ্ধ ছিল। সাধারন মানুষদের মধ্যে যারা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে চাইত তাদের ভাবনা চিন্তা এবং যুক্তিগুলো এক এক জন বুদ্ধিজীবী কিংবা লেখককে কেন্দ্র করে আবর্তিত হত। যেমন যারা হুমায়ুন আজাদের বই পড়ত তারা অনেকেই অবিশ্বাসী হয়ে প্রচলিত প্রথাগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাইত। হুমায়ূন আহমেদ পড়ে কেউ কেউ হিমু হয়ে যেতে চাইত। জাফর স্যারের লেখা পড়ে রাজাকারদের খুন করে ফেলার ইচ্ছাও কারো কারো হত। কেউ আবার রুশ কিংবা ফ্রেন্স দর্শন এবং সাহিত্য পড়ে পড়ে ভাবত এই দেশের সবই ফালতু! কারো কাছে কার্ল মার্ক্সের দেখানো পথই একমাত্র মুক্তির পথ! আবার কারো কাছে ইসলামই প্রথম এবং শেষ কথা! কিন্তু বড় পরিসরে একে অপরের সাথে আলোচনার কোন প্ল্যাটফর্ম তখন ছিলনা।

এখন ব্যাপার পুরা উল্টা। সোশ্যাল মিডিয়ার কারনে সবাই এখন কবি এবং দার্শনিক হওয়ার একটা সুযোগ পেয়ে গেছে। একবার ভেবে দেখুন মার্ক্স আর হেগেল যদি একই প্ল্যাটফর্মে লিখত তবে কি হত? অথবা গান্ধী এবং হিটলারের যদি একে অপরের লেখায় কমেন্ট করার ব্যবস্থা থাকত তবে তারা কি করত? গান্ধী বলত শান্ত হও বৎস! তার জবাবে হিটলার বলত তোরে আমি গুল্লি কইরা মারুম!

এখন সব কিছুই অনলাইনভিত্তিক হয়ে গেছে। উচ্চস্তরের থিসিস পেপার থেকে শুরু করে কুৎসিত চটি সাহিত্য সবকিছুই অনলাইনে শেয়ার করা যায়। সেসব নিয়ে আবার একে অপরের সাথে আলোচনা তর্ক বিতর্ক সব কিছুই করা যায়। এ দেশে সামুই সম্ভবত প্রথম এ ধরনের প্ল্যাটফর্ম যেখানে সবাই একটা বড় পরিসরে লেখালেখির সুযোগ পায়। ফলে অনেক মতাদর্শের মানুষ হঠাৎ করে এক প্ল্যাটফর্মে চলে আসে। আওয়ামী, জাতীয়তাবাদী, বামপন্থি, জামাতি, আস্তিক, নাস্তিক, নির্বিবাদী সবাই একটা প্ল্যাটফর্মে এসে নিজেদের ভাবনা চিন্তা শেয়ার করা শুরু করে। সবাই ভাবত তারাই ঠিক। এতদিন কেউ তেমন কিছু বলতনা। এখন আস্তিক কিছু লিখলে নাস্তিক এসে বলা শুরু করল তুই মূর্খ! আবার নাস্তিক লিখলে আস্তিক বলে তুই শয়তান! বাম বলে দুনিয়ার মজদুর এক হও! আওয়ামী এসে বলে এদেশে মুজিব ছাড়া সব মিথ্যা! একমাত্র মুজিব সত্য! আর জামাতিরা তাদের অপপ্রচার চালানোর এক সুবর্ণ সুযোগ পেয়ে গেল। কবি সাহিত্যিকরাও বসে থাকল না। কার সহজ ভাষা কবিতা হয়ে ওঠেনি, কার জটিল ভাষা এই যুগে অচল- এইসব নিয়েও বিতর্ক শুরু হয়ে গেল। ফলে সংঘর্ষ অনিবার্য হয়ে উঠল। কারন এক মতবাদ এবং বিশ্বাস সবসময় আরেক মতবাদ এবং বিশ্বাসকে বাতিল করে দিতে চাইবে। সামুতেও তা শুরু হয়ে গেল। এখান থেকেই বিভিন্ন মতবাদকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গোষ্ঠীর সৃষ্টি হয়ে গেল। উদাহরন হিসাবে এ টিমের কথা বলা যায়! এমন অনেক গ্রুপ আছে! শুরু হল একে অপরের উপর আক্রমন। সেটা যে শুধু তর্কে বিতর্কে সীমাবদ্ধ ছিল তা না! অশ্লীল ভাষায় গালাগালি হতে শুরু করে অযৌক্তিক ব্যক্তি আক্রমন সবকিছুই হয়েছে। ফলে অনেকেই ব্লগ থেকে বিতাড়িত হয়েছে। অনেকেই অভিমান করে চলে গেছে। কেউ কেউ নিজের একটা ভক্ত গোষ্ঠী বানিয়ে ফেবুতে এ্যাকটিভ! আবার কেউ কেউ অন্য প্ল্যাটফর্মে লিখছে।


তবে সবচেয়ে মজার ব্যাপার এমন অনেকের কাছেই আমি সামুর নামে সামুর বদনাম শুনি। যারা আস্তিক তাদের ধারনা সামু নাস্তিকদের ব্লগ। যারা নাস্তিক তাদের ধারনা সামু জঙ্গিদের মদদ দেয়। যারা আওয়ামী তারা বলে সামু জামাতিদের দখলে, আবার যারা জামাতি তারা বলে সামু আওয়ামীদের ব্লগ। আমিও কনফিউজড হয়ে যাই সামু আসলে কি? তবে আমি কনফিউশন কাটানোর জন্য আবেগ অনুভূতিকে গুরুত্ব না দিয়ে যৌক্তিক অনুসন্ধানের চেষ্টা করি। এবারো তাই করলাম। এই ক্ষেত্রে তিনটা ব্যাপারের উপর আলোকপাত করলাম।

১) সামুর নীতিমালা যা স্পষ্ট ভাবে বলে দেয় সামুতে কি করা যাবে আর কি করা যাবে না!
২) সেই নীতিমালার আলোকে মডুদের কার্যকলাপ!
৩) আমাদের রাগ, ক্ষোভ এবং অভিমানের মানদণ্ড।


আস্তিক নাস্তিক বিতর্ক প্রসঙ্গে

প্রথমে এই ব্যাপারে সামুর নীতিমালা কি বলে একটু দেখে আসি।

বাক স্বাধীনতা প্রসঙ্গে সামু বলে, সামহোয়্যার ইন ব্লগের যাত্রা শুরু হয়েছিলো সাধারণ মানুষের কথা বলার একটি স্বাধীন মঞ্চ হিসাবে, যেখানে সবাই তাদের চিন্তা, মতামত, সৃজনশীলতা বিনিময় করতে পারবে। চিন্তাধারা যতই চরম-পন্থী(radical) কিংবা রক্ষণশীল (conservative) হোক না কেন, তার স্বাধীন মত প্রকাশকে আমরা সমর্থন করি, যতক্ষণ না তা রাষ্টীয় আইন বা অন্যের ব্যাক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে।

ধর্ম নিয়ে সুনির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলা না হলেও ৩ঞ এ বলা হয়েছে, বাংলাদেশ অথবা যে কোন স্বীকৃত জাতি বা দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, ইতিহাস, ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার করে, বিরুদ্ধাচারণ করে, অসম্মান করে অথবা সত্যের অপলাপ বা অর্থহীন পোস্ট মুছে ফেলা হতে পারে এবং ব্লগারের ব্লগিং সুবিধা সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে স্থগিত কিংবা বাতিল করা হতে পারে ।


তাহলে একদিকে দেখলাম সামু চরম-পন্থী(radical) কিংবা রক্ষণশীল (conservative) মত সমর্থন করে যদি তা রাষ্ট্রীয় আইন এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করে না থাকে। এবং এ দেশের এবং অন্য দেশের ধর্ম বিষয়ক সত্যকে অস্বীকার, বিরুদ্ধচারণ এবং অসন্মান করা যাবেনা।

এখানে ধর্ম বিষয়ক সত্য টার্মটা আমার কাছে ক্লিয়ার না। হয়তো অনেকের কাছেই ক্লিয়ারনা। এটার আরো সুস্পষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন আছে বলে মনে করি। তবে আমি যা বুঝলাম তা হচ্ছে ধর্মের প্রচার করা যাবে। ধর্ম নিয়ে সমালোচনাও করা যাবে! তবে তা হতে হবে যৌক্তিক উপায়ে। অর্থাৎ কাউকে কিংবা কারো বিশ্বাসকে অযৌক্তিক এবং অশ্লীল ভাবে আক্রমণ করা যাবেনা। আমার এই ধারনা কি ঠিক আছে? এই ব্যাপারে সহব্লগারদের এবং ব্লগার কাল্পনিক ভালোবাসার মতামত জানতে আগ্রহী।

নীতিমালায় আরেকটা ব্যাপার স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করা আছে। তা হচ্ছে অশ্লীল ভাষার প্রয়োগ এবং গালিগালাজ করা যাবেনা। এখন আমরা যারা সামুতে লিখব বলে আসি তারা এসব নীতিমালা মানব- এই শর্তে রাজি হয়েই কিন্তু পোস্ট দেই অথবা মন্তব্য করি। তাই এইসব নীতিমালা ভাঙ্গার পর যদি কারো বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয় তবে সেটাই কিন্তু স্বাভাবিক। তাই যারা এসব করে ব্যান খেয়ে সামুর নিন্দা করে তাদের আবেগটাই অযৌক্তিক। কারন তারা একদিকে সামুর এই নীতিমালা মানবে বলেই ব্লগিং শুরু করে এবং ভাঙ্গার পর যখন তাদের বিরুদ্ধে একশন নেওয়া হয় তখন তারা ক্ষেপে যায়। এই ব্যাপারটাকে আমার কাছে একধরনের প্যারাডক্সিক্যাল ভাবনা বলে মনে হয়। তবে সামুর নীতিমালা অবশ্যই বাইবেল না। সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধও করা যেতে পারে। তবে সেটা অন্য বিতর্ক।

অন্যদিকে মডুরা যদি এসব নীতিমালা ভঙ্গ না করার পরও যদি কারো বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় অথবা ভঙ্গ করলে কারো প্রতি সহমর্মিতা দেখায় তখন ক্ষোভ কিংবা অভিমান থাকার ব্যাপারটা যৌক্তিক। সেক্ষেত্রে মডুদের মনে রাখতে হবে যে, ব্লগাররা যেমন নীতিমালা মানবে বলেই ব্লগিং শুরু করে তেমনি তারাও এ ব্যাপারে অঙ্গিকারবদ্ধ।

রাজনৈতিক বিতর্ক

এই প্রসঙ্গে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই। তবে বিভিন্ন পয়েন্টে উল্লেখ আছে যে, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কিছু বলা যাবেনা। অসত্য ইনফো দেওয়া কিংবা অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে মিথ্যাচার করা যাবেনা। তবে প্রায়ই রাজনৈতিক বিতর্ক ব্লগে অশ্লীল ব্যক্তি আক্রমনে রুপান্তরিত হয়ে যায়। এবং এটাই সমস্যা। তখন অনেক দায়িত্বশীল ব্লগাররাও ভুলে যান যে তারা নীতিমালা ভাঙছে। মডুরাও অনেক সময় ভুলে যান। ফলে মান অভিমানের জন্ম হয়। সেখান থেকে আরো সিরিয়াস কিছু হয়ে যায়। যার অনেক উদাহরন অতীতে আপনারা দেখেছেন।

আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে জামাতিদের সব প্রচারকেই আমার কাছে অপপ্রচার বলে মনে হয়। তারা যাদের অনুসারি তারা একাত্তরে মানবতা বিরোধী অপরাধের জন্য কখনো ক্ষমা চায়নি। তার মানে এ দেশের স্বাধীনতা না চাওয়াটাকে তারা সঠিক মনে করে। তাদের ব্যাপারে আমি কখনো সহনশীল ছিলাম না। ভবিষ্যতেও থাকবনা। বিচার চাই কিন্তু ফাঁসি চাইনা বলে যারা মানবতাবাদি হইতে চায় আমি তাদের দলেও নাই। জামাতিদের ব্যাপারে আমি অমানবিক। কেন সেটা আরেক পোস্টে ব্যাখ্যা করব। আমিও অনেকের মত চাই সামু জামাতিদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাক। না দেখালে আমারও রাগ হয়।(অনেস্টলি স্পিকিং)! কারন তাদের সব প্রচারই আসলে নীতিমালা ভঙ্গ করে। কারন তাদের আদর্শটাই রাষ্ট্রবিরোধী।

মাল্টিনিক নিয়ে বিতর্ক

সাম্প্রতিক কালে ব্লগে এই মাল্টি নিক নিয়ে অনেক কিছুই হয়ে গেছে। চলেন দেখি এই ব্যাপারে সামুর নীতিমালা কি বলে।

৪ছ. যদি কোন ব্লগার অন্য কাউকে হেয় করবার উদ্দেশ্য নিয়ে কোন নিক রেজিস্টার করে।

৪জ. যদি আমরা কোন ব্লগারের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাই যে, সে ব্লগের পরিবেশ বিনষ্ট করতে একাধিক নিক ব্যবহার করে, ব্লগের পরিবেশ রক্ষা করতে তার নিয়মিত নিকটিসহ সবগুলো ব্যান করা হবে।


সামু মাল্টি নিক থাকাকে সমর্থন করে। কিন্তু মাল্টি নিক দিয়ে গালিগালাজ, অশ্লীল ছবি পোস্ট এবং ব্যক্তি আক্রমণ সমর্থন করেনা। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে স্বনামে লিখতেই পছন্দ করি। সেটা যাই হোক! তবে যারা মাল্টি নিকে লিখে থাকে কিংবা লেখা নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করে তাদের চর্চাকে আমি খারাপ কিছু মনে করিনা। বিদ্যাসাগর থেকে শরতচন্দ্র সবারই মাল্টি ছিল। শরৎচন্দ্র লেখার জন্য অনিলা দেবী নাম নিয়ে ছাইয়াও হইছিলেন! ;) তবে কোন টাইপ মাল্টি চর্চা খারাপ তা নীতিমালায় উল্লেখ করা আছে।



সামু নিয়ে ব্লগারদের ক্ষোভের কারন কি হতে পারে এবং কিভাবে নিজেদের এবং মডুদের কাজকে জাস্টিফাই করব তা ভাবতে গিয়েই এই পোস্ট লিখে ফেললাম। আসলে কে গেল আর কে থাকল এটা মুখ্য ব্যাপার না। আমরা নিজেরা কি করছি সেটা হচ্ছে মুখ্য ব্যাপার। আগে নিজেদের কাছে নিজেরা ক্লিয়ার হই। তারপর যদি যুক্তি দিয়ে দেখি নিজেরা ঠিক তখন নাহয় অন্যকে ঠিক করার চেষ্টা করা যেতে পারে।

লেখালেখির জগত এমন এক যায়গা যেখানে সংঘাত থাকবেই। মান, অভিমান, রাগ সবই থাকবে। কিন্তু সেটা যেন অযৌক্তিক কিছু না হয় সেটা মাথায় রাখতে হবে। আর অভিমান করে উল্টাপাল্টা অভিযোগ করা দুর্বল মানুষের লক্ষন। নিজের অভিযোগ যুক্তি দিয়ে প্রমান করার চেষ্টা এবং ভুল হলে মেনে নেওয়া সবল মানুষের লক্ষন।

পরিশেষে

একবার ব্লগার শায়মা আপুর কাছে বলেছিলাম সামুতে আর লিখতে ইচ্ছে করছেনা। সামু এই করে, সামু সেই করে! :P আপু আমাকে বলেছিলেন সামু যাই করুক এটাই আমাদের সামু। আমরা সামুকে ভালোবাসি। আপুর কথায় সামুর প্রতি এক গভীর মমত্ববোধ উপলব্ধি করি। আসলেই নিজে যে প্ল্যাটফর্মে লিখছি তাকে কিছুটা ভালোবাসতে না পারলে আর কেমনে কি?

সাম্প্রতিক সময়ে আরেকজন ব্লগারকে সামুর ভালো মন্দ নিয়ে গভীর ভাবে ভাবতে দেখেছি। তিনি হচ্ছেন ব্লগার গেম চেঞ্জার। ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইকে দেখেছি বিভিন্ন মূল্যবান কমেন্টে শুধু অভিযোগ না করে ব্লগের প্রতি মমতা থেকেই সমাধান নিয়ে ভাবতে। তাই আমার এই পোস্ট ব্লগার শায়মা আপু, ব্লগার গেম চেঞ্জার এবং ব্লগার আহমেদ জী এস ভাইকে উৎসর্গ করলাম।

সামুর জন্য ভালোবাসা। :)


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:০৮
৩৮টি মন্তব্য ৩৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমিও যাবো একটু দূরে !!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:২২

আমিও যাবো একটু দূরে
যদিও নই ভবঘুরে
তবুও যাবো
একটু খানি অবসরে।
ব্যস্ততা মোর থাকবে ঠিকই
বদলাবে শুধু কর্ম প্রকৃতি
প্রয়োজনে করতে হয়
স্রষ্টা প্রেমে মগ্ন থেকে
তবেই যদি মুক্তি মেলে
সফলতা তো সবাই চায়
সফল হবার একই উপায়।
রসুলের... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×